আখনি পোলাও। ছবি: সংগৃহীত
পুজো তো আছেই, সেই সঙ্গে ভূরিভোজ বাঙালির আরও এক উৎসব। পুজোর এই কয়েকটি দিন খাবারদাবার নিয়ে রীতিমতো পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলে। কারও চাইনিজ পছন্দ তো কারও মোগলাই। কেউ পুজোর ভোজ খেতে উত্তরে পাড়ি দিন কেউ বা দক্ষিণে। উৎসব হলেও মায়ের হাতের রান্নাতেই ভরসা রাখছেন কেউ কেউ। তবে যা-ই খান, যেখানেই খান, ভূরিভোজে থাকা চাই উৎসবের মেজাজ। এমন নয় যে একেবারে নতুন কোনও পদ খেতেই হবে। পুজোর কোনও একটি দিন পাতে রাখতে পারেন পাঁঠার মাংসের আখনি পোলাও। জমে যাবে দুর্গাপুজো। শুনে যতটা কঠিন মনে হলেও তৈরি করতে কিন্তু ততটাও ঝামেলার হবে না। বাড়ির সকলকে পুজোর দিনে নতুন কিছু রেঁধে খাওয়াতে বানাতে পারেন এই পোলাও। রইল প্রণালী।
উপকরণ:
পাঁঠার মাংস: ৭৫০ গ্রাম
বাসমতি চাল: ৫০০ গ্রাম
গোলমরিচ: ১ চা চামচ
দারচিনি: ৩ টি
জয়িত্রী: ৪ টি
ছোট এলাচ: ৮-১০ টা
লবঙ্গ: ৫টি
তেজপাতা: ৩টি
গোটা রসুন: ২টি
আদা
আদা এবং রসুন বাটা: ২ টেবিল চামচ
পেঁয়াজকুচি: ১ কাপ
কাঁচালঙ্কা: ৪টে
টকদই: ১৫০ গ্রাম
প্রণালী:
প্রথমে মাংসের টুকরোগুলি ভাল করে ধুয়ে জল ঝরিয়ে একটি পাত্রে রেখে দিন।
এ বার মাংসের মধ্যে অর্ধেক পরিমাণে আদা-রসুন বাটা, পেঁয়াজকুচি, গরম মশলাগুঁড়ো, জিরে, মৌরি, ধনে এবং জল দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। বাকি অর্ধেক মশলা শুকনো তাওয়ায় ভেজে নিয়ে গুঁড়ো করে নিন।
মাংসের মিশ্রণটিতে পরিমাণ মতো নুন মিশিয়ে গ্যাসে বসিয়ে রাখুন। ফুটে উঠলে দেখবেন জলের রং কেমন ঘোলাটে হয়ে গিয়েছে। এর স্বাদ অনেকটা স্টু-এর মতো লাগবে।
মাংস সেদ্ধ হয়ে এলে মাংসগুলি আলাদা করে সরিয়ে স্টকটা ছেঁকে গোটা গরম মশলা ও পেঁয়াজ ছেঁকে ফেলে দিন।
এ বার অন্য একটি বড় পাত্রে ঘি গরম করতে বসান। পেঁয়াজকুচি দিন। পেঁয়াজগুলি সোনালি হয়ে এলে আদা-রসুন বাটা, গোটা কাঁচালঙ্কা দিয়ে নাড়াচাড়া করে নিন। কাঁচামশলার গন্ধ চলে কেটে গেলে সেদ্ধ করা মাংসের টুকরোগুলি দিয়ে দিন। বেশি নাড়াচাড়া করবেন না।
কিছু ক্ষণ কষানোর পর আগে থেকে ভিজিয়ে রাখা বাসমতি চাল দিয়ে দিন। এ বার হালকা হাতে চাল আর মাংসগুলি একসঙ্গে মিশিয়ে মাংসের স্টকটা দিয়ে ঢাকা দিয়ে রাখুন
জলের মাপ যেন চালের পরিমাণের থেকে বেশি হয়। চাল সিদ্ধ হয়ে মশলার সঙ্গে মিশে গেলে বেরেস্তা বানিয়ে উপর থেকে ছড়িয়ে পরিবেশন করুন পাঁঠার মাংসের আখনি পোলাও।