লক্ষ্মীপুজোর ভোগের মেনুতে হোক স্বাদবদল। ছবি: সংগৃহীত।
দেবী দুর্গা বিদায় নিয়েছেন, তবে সামনেই লক্ষ্মীপুজো। ঠাকুরমশাইকে ডেকেই হোক কিংবা ঠাকুরের আসনে নিজেই পাঁচালি পড়ে— কমবেশি সব বাঙালি বাড়িতেই লক্ষ্মীপুজোর আয়োজন হয়। পুজো মানেই ঠাকুরকে ভোগ নিবেদন। কেউ বাজার থেকে ফল-মিষ্টি কিনে এনে, কেউ আবার বাড়ির হেঁশেলেই ভোগ বানিয়ে ঠাকুরকে নিবেদন করতে ভালবাসেন। সকাল থেকে পুজোর জোগান সেরে হেঁশেলে খুব বেশি সময় থাকতে ভাল লাগে না কারও। এ ক্ষেত্রে ভোগের মেনুতে কী কী রাখতে পারেন, রইল হদিস।
নারকেল পোলাও: কড়াইতে ঘি গরম করে তাতে গোটা গরমমশলা, তেজপাতা আর কাজু-কিশমিশ ভেজে নিন। এ বার ধুয়ে রাখা গোবিন্দভোগ চাল দিয়ে মিনিট পাঁচেক ভেজে নিন। সামান্য হলুদ দিয়ে নাড়াচাড়া করুন। এ বার ১ কাপ চাল হলে এক কাপ নারকেলের দুধ আর ১ কাপ জল মিশিয়ে ফুটতে দিন। জল ফুটে উঠলে নুন, চিনি আর কোরানো নারকেল মিশিয়ে ঢাকা দিয়ে দিন। চাল সেদ্ধ হয়ে গেলে উপর থেকে আরও খানিকটা নারকেল কোরা ছড়িয়ে দিয়ে গ্যাস বন্ধ করে দিন।
ফুলকপির কালিয়া: ডুমো করে কেটে রাখা আলু, ফুলকপি ও মটরশুঁটি নুন মেশানো গরম জলে কিছু ক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন। এ বার আলু ফুলকপির গায়ে হলুদ মাখিয়ে কড়াইয়ে তেল গরম করে লালচে করে ভেজে নিন। মটরশুঁটি একটু ভাপিয়ে রাখুন। ভেজে তুলে রাখার পর সেই তেলেই সাদা জিরে, গোটা গরম মশলা ও তেজপাতা ফোড়ন দিন। এ বার একটি পাত্রে অল্প গরম জলে লঙ্কাগুঁড়ো, হলুদ, আদা বাটা, জিরেগুঁড়ো, কাজুবাদাম বাটা মিশিয়ে গুলে রেখে দিন। ফোড়ন দেওয়া তেলে এ বার টম্যাটো দিয়ে কষিয়ে নিন। এই সময় একটু নুন দিন। কিছু ক্ষণ কষানোর পর এ বার ওই গুলে রাখা মিশ্রণ এতে মেশান। অল্প কষুন। তেল ছেড়ে এলে যোগ করুন ভেজে রাখা আলু ও ফুলকপি। ভাপানো মটরশুঁটিও যোগ করুন। উপর থেকে ঘি আর গরমমশলার গুঁড়ো ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।
ডাবের পায়েস: একান্ত যদি পায়েস বানাতেই হয়, তবে চালের পায়েসের পরিবর্তে ডাবের পায়েস বানিয়ে ভোগ দিতে পারেন। একটি বড় ডাবের শাঁস বার করে মিক্সিতে ঘুরিয়ে নিন। দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করে নিন। এর পর আগে থেকে জ্বাল দিয়ে রাখা দুধের মধ্যে গোলাপ জল, চিনি, কনডেন্সন্ড মিল্ক মিশিয়ে ফুটিয়ে নিন। মিশ্রণটি ফুটে ঘন হয়ে এলে তাতে আগে থেকে মেখে রাখা ছানা দিয়ে অল্প আঁচে নাড়তে থাকুন। এর পর ডাবের শাঁস দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। পায়েস ঠান্ডা হয়ে এলে উপর থেকে পেস্তা, কাজু ছড়িয়ে দিন।
পালং লুচি আর আলুর দম: ঠাকুরকে অন্নভোগ দেন না অনেকেই। সে ক্ষেত্রে সাধারণ লুচি না বানিয়ে পালংশাক বাটা দিয়ে ময়দা মেখে নিতে পারেন। তার সঙ্গে ভাজা মশলা দিয়ে আলুর দম দারুণ জমবে।