রান্নায় দারুণ পটু হলেও এমন অনেকে আছেন যাঁরা রুটি বানাতে গিয়েই বিপাকে পড়েন। ছবি: সংগৃহীত
রুটি খেতে ভালবাসলেও বানাতে পছন্দ করেন না অনেকে। রুটি বানানো অনেকের কাছেই বেশ ঝক্কির কাজ। রান্নায় দারুণ পটু হলেও এমন অনেকে আছেন যাঁরা রুটি বানাতে গিয়েই বিপাকে পড়েন। কারও রুটি গোল না হয়ে ভারতের মানচিত্র হয়ে যায়, কারও আবার রুটি ঠিকঠাক হলেও খানিক ক্ষণ পরে পাথরের মতো শক্ত হয়ে যায়! কয়েকটি ফন্দি জানলেই রুটি অনেক ক্ষণ পরে খেলেও শক্ত হবে না।
১) রুটির আটা মাখার সময়ে তাতে ঈষদুষ্ণ গরম জল ব্যবহার করুন। তার পর সেই জল দিয়ে ভাল করে আটা মাখুন। আটার সঙ্গে সামান্য তেলও মেশাতে পারেন। এই পন্থা মেনে চললে আটা শক্ত হয়ে যাবে না এবং রুটি বানানোর সময় সুবিধে হবে।
২) আটা মাখার সঙ্গে সঙ্গে তা দিয়ে রুটি তৈরি করবেন না। বরং একটি বাটিতে মাখা আটা রেখে ভিজে কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখুন। ১০-১৫ মিনিট পর লেচি তৈরি করুন।
৩) রুটি তৈরি করার সময়ে অনেকেই কিন্তু কম-বেশি শুকনো আটা ব্যবহার করে থাকেন। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই রুটি সেঁকে নেওয়ার আগে ভাল করে শুকনো আটা ঝেড়ে নেবেন।
৪) রুটি বানিয়ে হটপটে রাখাই শ্রেয়। তবে সে ক্ষেত্রেও কাপড়ে মুড়িয়ে রাখা ভাল। না হলে শক্ত হয়ে যাবে রুটি।
তাওয়া ভাল করে গরম না হলে রুটি কখনওই ফুলবে না। ছবি: সংগৃহীত
৫) অনেক সময়ে কোনও কোনও পদের সঙ্গে একটু মোটা রুটি খেতে ভাল লাগে। তবে আটা দিয়ে মোটা রুটি বানালে তা শক্ত হয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে আটার সঙ্গে খানিকটা দই মিশিয়ে নিতে পারেন।
৬) অনেকের ধারণা, রুটি পালতা করে বেললেই বুঝি নরম হয়। এই ধারণা ভুল। খুব বেশি পাতলা রুটি করলে তা খানিক ক্ষণ পরেই শক্ত পাঁপড়ের মতো হয়ে যায়। তাই খুব পাতলা রুটি না করাই ভাল।
৭) তাওয়া ভাল করে গরম না হলে রুটি কখনওই ফুলবে না। আবার খুব বেশি গরম হয়ে গেলে রুটি পুড়ে যাবে। তাই তাওয়া সঠিক মাত্রায় যাতে গরম থাকে, সে দিকে নজর রাখুন।