ঘোলই হয়ে উঠবে অতিরিক্ত ওজন কমানোর হাতিয়ার ছবি: সংগৃহীত
অতিরিক্ত ওজন ডেকে আনে ডায়াবিটিস ও হৃদ্রোগের মতো নানা শারীরিক সমস্যা। বাজারজাত ঠান্ডা পানীয় নিয়মিত খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেওয়া কার্যত অবশ্যম্ভাবী। বিশেষত নতুন প্রজন্মের ক্ষেত্রে এই সমস্যা অনেক বেশি প্রবল। অথচ কার্বন ডাই-অক্সাইড যুক্ত ঠান্ডা পানীয়ের বদলে ঘোল খেলে এই সমস্যা মিটতে পারে অনেকটাই। রইল এমন কিছু টোটকা, যাতে ঘোলই হয়ে উঠবে অতিরিক্ত ওজন কমানোর হাতিয়ার।
প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
ঘোল যে শুধু গরমে শরীর ঠান্ডা রাখে তাই-ই নয়, এটি পরিপাকেও সহায়তা করে। প্রাচীন আয়ুর্বেদ শাস্ত্রেও ঘোলের নানা ব্যবহার দেখা যায়। পাশাপাশি, দিনের যে কোনও সময়েই ঘোল খাওয়া যেতে পারে। তবে দুপুরের খাবারের পর ঘোল পান করাই সবচেয়ে বেশি উপকারী বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
১। ঘোলের মধ্যে দিয়ে দিন কিছুটা জিরে গুঁড়ো। এতে পেটের গোলযোগ যেমন কমবে তেমনই হ্রাস পাবে অতিরিক্ত ওজনও।
২। আদা বেটে রস করে নিন। এর পর এক চামচ আদার রস মিশিয়ে দিন ঘোলে। এটি পিত্ত রসের ক্ষরণ ঠিক রাখতে সহায়তা করে। যা ওজন কমাতে ও হজমশক্তি বাড়াতে খুবই প্রয়োজনীয়।
৩। যদি ঝাল খেতে অসুবিধা না থাকে, তবে একটি কাঁচা লঙ্কা বেটে মিশিয়ে নিন এক গ্লাস ঘোলে। এটি বিপাকে দারুন ভাবে সহায়তা করে।
৪। এক গ্লাস জলে মিশিয়ে নিন ছোট চামচের এক চামচ বিটনুন। এটি অতিরিক্ত ঘাম নিয়ন্ত্রণ করে ও জলশূন্যতার সমস্যা কমায়।
৫। ঘোলের স্বাস্থ্যগুণ বাড়িয়ে তোলার আর একটি সহজ উপায় হল পুদিনা পাতা মিশিয়ে নেওয়া। এক গ্লাস ঘোলে অল্প পরিমাণ পুদিনা পাতা মিশিয়ে নিলে তা শরীর ঠান্ডা রাখতে খুবই উপযোগী হয়। পাশাপাশি, এতে পাকরসের ক্ষরণ ভাল হয়। তা পরিপাক ও বিপাকে সহায়তা করে।