মাছের ঝোল রান্নার ত্রুটি। ছবি: সংগৃহীত।
মাছ ছাড়া বাঙালির চলে না। শত মনখারাপেও মাছের ঝোল-ভাত খেলে প্রাণ জুড়োয়। তবে বাঙালি যেমন মাছের ভক্ত, তেমনি খাবারের স্বাদও ভাল হওয়া চাই। সুস্বাদু খাবারের খোঁজেই তো রেস্তরাঁগুলিতে ভিড় হয়। তবে বা়ড়িতে তৈরি মাছের ঝোলও কিন্তু স্বাদে অতুলনীয় হয়ে উঠতে পারে। সব সময় তা হয় না। নিজের হাতে রান্না করা মাছের ঝোলও অনেক সময় নিজেরই মন জয় করতে পারে না। তার নেপথ্যে অবশ্য কিছু ভুল রয়েছে। কোন ভুলগুলি এড়িয়ে চললে বাড়িতে তৈরি মাছের ঝোল রেস্তরাঁর খাবারকেও পিছনে ফেলে দেবে?
মাছের ভালমন্দ
বাজার থেকে কিনে আনার সময় যাচাই করে আনা জরুরি মাছটি আদৌ ভাল কিনা। অনেক সময় খারাপ মাছ বরফ দিয়ে টাটকা রাখার চেষ্টা করা হয়। সেই মাছ রান্না করলে স্বাদ যে ভাল হবে না, সেটা বলা বাহুল্য। তাই মাছ কেনার সময় সতর্ক থাকা জরুরি।
ফ্রিজ থেকেই কড়াইয়ে
সব সময় টাটকা কিনে এনে রান্নার করার সময় থাকে না। আগে কিনে ফ্রিজে রেখে দেন অনেকেই। কিন্তু ফ্রিজ থেকে মাছ বার করেই নুন-হলুদ মাখিয়ে ভাজতে শুরু করে দেবেন না। রান্না শুরুর অন্তত ঘণ্টা খানেক আগে মাছ বার করে ঠান্ডা জলে ভিজিয়ে রাখুন। ফ্রিজের ঠান্ডা ছাড়িয়ে স্বাভাবিক হলে তবেই রান্না করুন।
কড়াই গরম না হতেই
তাড়াহুড়োয় রান্না করতে গিয়ে ভুলত্রুটি হয়েই থাকে। তবে মাছ ভাজতে দেওয়ার আগে দেখে নিন কড়াই ভাল করে গরম হয়েছে কিনা। কড়াই গরম হওয়ার আগে ভাজা শুরু করে দিলে মাছ ভেঙে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। স্বাদও খারাপ হয়ে যায়।
ভুল সময়ে নুন দেওয়া
মাছ বলে নয়, যেকোনও রান্নার ক্ষেত্রে নুন দেওয়ার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। তবে মাছ রান্নার সময় নুন দেওয়ার নিয়ম আছে। অনেকেই রান্নার মাঝপথে নুন দেন। সেটা করবেন না। তাতে স্বাদ বিগড়ে যেতে পারে। সব সময় রান্নার শেষে নুন দিলেই ভাল।
বেশি ক্ষণ ধরে রান্না
মাছ সেদ্ধ হওয়ার কোনও বিষয় নেই। শাকসব্জির ক্ষেত্রে যেমন বেশ খানিক ক্ষণ ফোটাতে হয়। মাছ রান্নায় এত সময় ব্যয় করার দরকার নেই। বেশি ক্ষণ কড়াইয়ে থাকলে মাছের স্বাদ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।