শ্রদ্ধা: কলকাতায় প্রথম বিশ্বযুদ্ধে শহিদদের স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভ। ছবি: দেশকল্যাণ চৌধুরী
পণ্ডিচেরিতে আসিয়া অবধি তাহারা যেরূপ যোগ্যতার সহিত কার্যাদি করিতেছে তাহাতে তাহাদের সুখ্যাতি না করিয়া থাকা যায় না।... ইহারাই আমার সকল সেনাদলের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ...’ লিখেছিলেন পণ্ডিচেরির ‘ফরাসি সমর বিদ্যালয়’-এর লেফটেন্যান্ট, তাঁর অধীনে ট্রেনিং নিতে আসা ২৬ জন বাঙালি সেনা সম্পর্কে।
অথচ প্রথম দিকে ভাবনাটা এমন ছিল না। বাঙালিরা যুদ্ধ করবে, সেও কি সম্ভব! ১৯১৪ সালের জুলাই মাসে শুরু হওয়া প্রথম বিশ্বযুদ্ধের বয়স তখন ১৫ মাস। তদানীন্তন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ডিসেম্বরের শেষে ঘোষণা করলেন, ‘ফরাসি ভারতের হিন্দু মুসলমান খ্রিস্টান প্রজামণ্ডলী স্বেচ্ছাসৈনিকের পদ গ্রহণ করিতে সমর্থ হইবে।’
এর মাসখানেক পর ফরাসি ভারতের গভর্নর মার্তিনো এই মর্মে চন্দননগরের রাস্তায় বিজ্ঞপ্তি টাঙিয়ে দিলেন। গোড়ায় নজর কাড়েনি তেমন। তবু তিন বাঙালি যুবক— সিদ্ধেশ্বর ঘোষাল, হারাধন বক্সী ও নরেন্দ্রনাথ সরকার উৎসাহী হলেন। অন্য যুবকদের উদ্বুদ্ধও করতে লাগলেন তাঁরা। কিছু লোক আবার বাধাও দিতে লাগল। এমন মনে করার কারণ নেই যে তারা সব বিদেশি শাসকের বিরোধী ছিল। বরং তারা ছিল শাসকভক্তই। এই ঘটনার বছর পঁচিশ আগেও এক বার এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। তখনকার পন্ডিচেরি থেকে গভর্নর চন্দননগর সফরে এসে যুবকদের ফৌজে যোগদানের আহ্বান জানালে, এই লোকেরা তা আটকেছিল। এক ধনাঢ্য ব্যবসায়ীর বাড়িতে গভর্নরকে আমন্ত্রণ করে বয়স্ক সমাজপতিরা হাতজোড় করে বলেছিলেন, তাঁরা বাঙালি, যুদ্ধবিগ্রহের ধারেকাছেও ঘেঁষেন না। সামরিক বাহিনীতে যোগদানের জন্য আইন হলে তাঁরা চন্দননগর ছেড়ে চলে যাবেন; বাঙালি ছাড়া আর যারা আছে তাদের ওপর এ আইন লাগু হোক। আর ফরাসি সরকারের অধীনে বাঙালিরা খুব সুখেই আছে। সেই সময় অনেকে চন্দননগর ছেড়ে চুঁচুড়া ও আশপাশে চলে গিয়েছিলেন। এ সব শুনে গভর্নর সে বার ফিরে গিয়েছিলেন। পরের ২৫ বছর আর সমস্যা হয়নি। কিন্তু এ বার বিশ্বযুদ্ধের জন্যে সরকার নোটিস লটকে দিল। আটকাতে পারল না কেউ।
চন্দননগর ও আশপাশের অঞ্চল থেকে ৭৫ জন সৈন্যদলে যোগ দেওয়ার জন্য দরখাস্ত দিলেন। তাঁদের ডাক্তারি পরীক্ষা হল। ৩২ জন তাতে পাশ করে ট্রেনিংয়ের জন্যে গেলেন পন্ডিচেরিতে (এখনকার পুদুচেরী)। সেখানকার ব্রিটিশ কনসালের আপত্তিতে চার জন, আর শরীর খারাপ হওয়ায় দু’জন ফিরে এলেন। বাকিরা গেলেন যুদ্ধে। হারাধন ও সিদ্ধেশ্বর পরে ব্রিগেডিয়ারও হয়েছিলেন। ২৬ জন বাঙালি শিক্ষানবিশির খ্যাতি কুড়িয়ে যুদ্ধে গিয়েই বিরাট দায়িত্ব পেলেন। ফ্রান্সের আলসাস লোরেন-এর কাছে কয়েকটি গ্রাম রক্ষার ভার দেওয়া হল তাঁদের। সেগুলো তখন জার্মানির দখলে, ফরাসি পদাতিক সৈন্যরা তখন খানিক পিছপা। বাঙালি দলে পাঁচ জন গোলন্দাজ ছিলেন, তাঁরা দ্রুত কাজ শুরু করে দিলেন। কাজে গতি এল। চন্দননগরের যোগেন্দ্রনাথ সেন এখানেই মারা যান।
ফরাসি যুদ্ধক্ষেত্রের কথা আবারও আসবে, আপাতত ইংরেজদের বাঙালি পল্টনে কর্মখালির বিজ্ঞাপন দেওয়ার কথা বলা যাক। অন্তত পাঁচ ফুট চার ইঞ্চি উচ্চতার, ষোলো থেকে পঁচিশ বছর বয়সি ছেলেদের স্থানীয় এসডিও, রেজিস্ট্রার অথবা কলকাতার বিডন স্ট্রিটের ডা. এস কে মল্লিকের কাছে দরখাস্ত দেওয়ার কথা বলা হল। সে সময়ের নিরিখে পাওনাগণ্ডার বিজ্ঞপ্তিটিও যথেষ্ট আকর্ষক। নির্বাচিতদের প্রথমেই ‘থাওকো পঞ্চাশ টাকা’ দেওয়া হবে। ভর্তির সময় দশ টাকা, আর করাচিতে ট্রেনিংয়ে গিয়ে চল্লিশ টাকা। পেনশন ও পুরস্কারের বন্দোবস্ত আছে। খাওয়ার খরচা ও পোশাক কোম্পানি দেবে। যাঁরা সরকারি অফিসে চাকরি করেন, পল্টনে যোগ দিলে তাঁদের চাকরি তো যাবেই না, উপরন্তু সেনার বেতনের সঙ্গে তাঁরা অফিসের অর্ধেক মাইনেও পাবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা যোগ দিলে অ্যাটেনডেন্স ও পারসেন্টেজ-এর কোনও ক্ষতি হবে না। প্রথমে ১১ টাকা, পরে ক্রমশ পদোন্নতিতে ১৩৭ টাকা অবধি বেতনের ব্যবস্থা থাকবে। বিজ্ঞাপনের সুবাদে বাঙালি পল্টন ভরে গিয়েছিল।
সেনায় যোগ দেওয়া ও এ ব্যাপারে উৎসাহিত করতে এগিয়ে এসেছিলেন রাজা, নবাবরাও। কুমিল্লার নবাবের ছেলে ও নবাব সিরাজুল ইসলামের জামাই সৈনিক হবার ট্রেনিং নিতে করাচি গিয়েছিলেন। তৎকালীন ‘হিন্দু’ পত্রিকা মন্তব্য করেছিল, ‘এরূপ দৃষ্টান্ত প্রচুর ফলোপদায়ক, সন্দেহ নাই।’ আর তখনকার ভাগ্যকুলের রাজা শ্রীনাথ রায়, জানকীনাথ রায়বাহাদুর ও সীতানাথ রায়বাহাদুর একত্রে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তৎকালীন মুন্সীগঞ্জ মহকুমার অধিবাসীদের মধ্যে যাঁরা ‘বাঙালি সৈন্য’ দলে যোগ দেবেন, প্রত্যেককে তাঁরা এককালীন ৫০ টাকা ও যুদ্ধকাল পর্যন্ত মাসিক ৮ টাকা বৃত্তি দেবেন। কেউ যুদ্ধে মারা গেলে তাঁর পরিবারের জন্যে প্রতি বছর ৫০ টাকা করে দেবেন। এই ‘অফার’ ছিল সৈনিকদের সরকারি বেতনের অতিরিক্ত।
ব্রিটিশরাজের বিজ্ঞাপন দেখে আবেদন করেছিলেন প্রায় ১২০০ বাঙালি। সরকারি কলেজ-ছাত্রদের জন্য অফার ছিল, তাঁরা যত দিন ট্রেনিংয়ে থাকবেন, তত দিন তাঁদের কাছ থেকে কলেজে পড়ার চার্জ নেওয়া হবে না। যাঁরা ছাত্রাবাসে থাকেন তাঁরা এত দিন পর্যন্ত যে ঘরভাড়া দিয়েছেন তা মকুব করে দেওয়া হবে। এতেও সাড়া মিলেছিল। ‘হিন্দু’ পত্রিকা লিখেছিল, ‘সম্প্রতি ইংরেজ রাজ বঙ্গবাসীকে সৈনিক বিভাগে প্রবেশাধিকার দিয়াছেন। এই অনুগ্রহ লাভে দেশের সকলেই কৃতজ্ঞ।’ তাদের আহ্বান: ‘বঙ্গসন্তান রণনৈপুণ্যের পরিচয় দিয়া রাজার মঙ্গল সাধন করুন ও জাতির অপবাদ বিদূরিত করুন।’ জাতির অপবাদ? বাঙালি ভীরু ও যুদ্ধবিমুখ, এই ধারণাটাই তখন চালু ছিল। খুব অমূলক ছিল কি? ফরাসি চন্দননগরের ঘটনা তো আগেই বলা হয়েছে।
কিন্তু এ ধারণাকে ভুল প্রমাণ করলেন চন্দননগরেরই দুই বীর সৈনিক। গভর্নর মার্তিনো নোটিস দেওয়ার প্রথম দিকে দু’জন আবেদন করেছিলেন, সিদ্ধেশ্বর মল্লিক ও নরেন্দ্রনাথ সরকার। সিদ্ধেশ্বর যখন মাতৃগর্ভে, তাঁর বাবা মারা যান। বিধবা মায়ের একমাত্র সন্তান তিনি, খবর শুনে মা কান্নাকাটি করতে লাগলেন। কিন্তু সিদ্ধেশ্বর অটল। এমনিতে তিনি অত্যন্ত মিশুকে, এলাকায় ভাল ছেলে হিসাবে সুনাম। তাঁর সাহস দেখে সকলে অবাক। ম্যাট্রিক পাস করে ছেলে ইন্টারমিডিয়েট পড়ছে, পড়াশোনার কথা ভাবল না! আর নরেন্দ্রনাথ ছিলেন সবচেয়ে বয়স্ক আবেদনকারী। তখন তিনি তিন সন্তানের বাবা। খবর শুনে স্ত্রী শয্যা নিয়েছিলেন। তাঁর বৃদ্ধ বাবা-মা’ও দিশেহারা হয়ে পড়েন। সকলের কাছ থেকে বিদায় নেওয়ার সময় তাঁর ছোট মেয়ে নাকি জিজ্ঞেস করেছিল, ‘‘বাবা, আমরা কার কাছে থাকব?’’ নরেন্দ্র কোনও উত্তর দেননি।
আগে বলা মোট ৭৫ আবেদনকারীর মধ্যে ৪৩ জন ছিলেন চন্দননগরের। তাঁরা সকলে দৃঢ়সঙ্কল্প ছিলেন না। তা ছাড়া বাড়ির চাপও ছিল। ৪৩ জনের মধ্যে তাই ১২ জন আবেদন তুলে নেন। আবার ডাক্তারি পরীক্ষার সময় ৪জন উপস্থিত হননি। বাকি ২৭ জনের মধ্যে ২০ জন পাশ করে। ১৯১৬ সালের ১৭ এপ্রিল যখন এই কুড়ি জন ফরাসি ত্রিবর্ণ পতাকা হাতে চন্দননগর থেকে তৎকালীন পন্ডিচেরি রওনা হন, সে দিন শহরে রাস্তার দু’ধারে লোকারণ্য। শহরের মূল কেন্দ্র থেকে রেল স্টেশন পর্যন্ত পথে যেতে যেতে মাঝে মাঝেই থামতে হচ্ছিল মিছিলকে। মেয়েরা ভাবী সেনাদের কপালে পরিয়ে দিয়েছিলেন চন্দনের তিলক, গলায় মালা। চারিদিকে শঙ্খধ্বনি, জয়ধ্বনি। হাওড়া স্টেশনে কলকাতার অনেক নামী ও ধনী মানুষজন এসে চন্দননগরের ২০ জন ও অন্যান্য এলাকার ১২ জনকে সংবর্ধনা দেন।
অতঃপর পন্ডিচেরি। সেখানেও বিভিন্ন কারণে ক’জন বাদ পড়লেন, বাকিরা গেলেন রণাঙ্গনে। কেমন সেই রণাঙ্গন? হারাধন বক্সীর যুদ্ধক্ষেত্রে লেখা দিনলিপি পড়ে জানা যায় তা। সে সময়ে তাঁর সঙ্গী ছিলেন হাবুল নামে এক জন। এক সন্ধ্যার ঘটনা। চারদিকে বোমা আর টর্পেডোর হানা, এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে সেগুলোর টুকরো চলে আসছে তাঁদের খুব কাছাকাছি। ওঁরা কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে প্রতি-আক্রমণে গেলেন না। সশস্ত্র, সতর্ক অবস্থাতেই নজর রাখলেন, শত্রুদের উৎসাহ কত ক্ষণ থাকে। এমনকি গুলিগোলা থামলেও পাল্টা আক্রমণে গেলেন না। বরং ঘুমিয়ে পড়লেন। জেগে উঠলেন রাত দুটোয়। দু’জনে কামানের কাছে গেলেন, উপরের ‘সবুজ জাল’ (সকালে কাটা ঘাস কামানের ওপর ছড়িয়ে বা চাবড়া দিয়ে ঢেকে তার উপরে টাঙানো সবুজ ছত্রি) সরিয়ে কামানের মুখটা বার করলেন। দেখে মনে হয় সব কিছু সবুজ রঙে ছোপানো, দূর থেকে যাতে বোঝা না যায়। কোন জায়গাটায় আক্রমণ শুরু করতে হবে তার সাঙ্কেতিক চিহ্ন জানার জন্যে কোম্পানির ডাগ আউটে গেলেন হারাধন। তার পর হাবুলের পকেট ল্যাম্পের সাহায্যে কামানের দিক ঠিক করলেন। হাবুল অস্ত্র রাখার জায়গায় গিয়ে নিয়ে এলেন শেল, ফিউজ়, বারুদ। সব ভরা হল কামানে। এরই মধ্যে শত্রুপক্ষ গোলাবর্ষণ শুরু করেছে। চারিদিকে গভীর অন্ধকার। আরও সৈনিক যোগ দিলেন ওঁদের দু’জনের সঙ্গে। শুরু হল পাল্টা গোলাবর্ষণ। হারাধনের ভাষায়, ‘তেমনতর গর্জন পূর্বে অন্য কোথাও শুনি নাই; আটকৌড়ের সময় ৬০০০ ছেলের ১২০০০ কাটি ঠকাই দিয়া তাড়াতাড়ি কুলাপেটার শব্দের মত মনে হইল।’ যুদ্ধক্ষেত্রেও হারাধন বক্সী ফিরে গিয়েছেন শৈশবে। নবজাতকের জন্মের অষ্টম দিনে অনেক বালক মিলে কাঠি দিয়ে কুলোপেটা করে, সে কথা মনে পড়ছে তাঁর।
এর পর চার দিকে গ্রেনেড ফাটার বিকট শব্দ। আকাশ রঙিন। ফিউজ়গুলো ছুটছে হাউইয়ের মতো। সাক্ষাৎ মৃত্যু যেন ছুটে বেড়াচ্ছে। এই অবস্থায় হারাধনের অনুভব, ‘বড় বিচিত্র দৃশ্য— সেখানে থাকিলেও যেন সুখ।’ প্রায় এক ঘণ্টা পরে যুদ্ধ থামল। হাবুল জানালেন, কামানের গোলায় চার দিক ঠাহর করতে না পেরে তাঁর হাত পুড়ে গিয়েছে। সৈনিকদের কাছে এ অবশ্য সামান্য ঘটনা।
আর এক দিন। হারাধন সে দিন একা। মাত্র ৫০ গজ দূরে একটা গোলা পড়ল। তিনি মাটিতে শুয়ে পড়লেন। মাথার ওপর আকাশে শার্পনেল ফাটছে, এ দিক-ও দিক পড়ল কয়েকটা। হারাধন একটু দৌড়ান আর শুয়ে পড়েন। এ ভাবেই ৫০০ গজ এগোলেন। গোপন সুড়ঙ্গপথে কোনও মতে ক্যাম্প অফিসে পৌঁছনোর পরেই আক্রমণ থেমে গেল। কিন্তু ফেরার সময় আবার গোলাবৃষ্টি! তার মধ্যেই ছুটে মাটির নীচে একটা ঘরে আশ্রয় নিলেন। প্রায় মৃত্যুমুখ থেকে ফিরে তাঁর অনুভূতি, ‘বড়ো আশ্চর্যের বিষয়, ছটকা টুকরাও আমায় স্পর্শ করে নাই।’
হারাধন জানিয়েছেন, আকাশ থেকে শুধু বোম নয়, রাতে প্যারাশুটে নামত জার্মান গুপ্তচরও। তারা চুপচাপ ফরাসিদের ডাগ-আউটে সেঁধিয়ে ঘুমন্ত সেনাদের মাথা কেটে ফেলত। মাটির নীচের ঘরে থাকলে তাঁরা তাই দরজা-জানলায় খিল দিয়ে, বন্দুকে টোটা ভরে মাথার কাছে রেখে ঘুমোতেন।
অকুতোভয় ছিলেন ব্রিগেডিয়ার হারাধন বক্সী। হাবুলের হাত পুড়ে যাওয়ার দিনে তাঁর যন্ত্রণা দেখে তিনি তাঁকে সান্ত্বনা দিয়েছিলেন এই বলে, ‘‘হাবুল, আমাদের মতো সহস্র লোক মরেছে— কারুর পা ভেঙেছে— কারুর দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে লোহার তারে জড়িয়ে গেছে... কত সুন্দর যুবক— দেখতে ফুলের মতো ফুটন্ত— তাদের খুলি উড়েছে, দাঁত বার হয়েছে— বিস্ফারিত চক্ষু হয়ে পড়ে আছে... তুমি কি এক বার তাদের কথা ভাববে না?’’ আমাদের বিশ্বাস, উত্তরে বাঙালি পল্টনের হাবুল তাঁর ঝলসানো হাত উপরে তুলে ঘাড় ঝাঁকিয়ে বলেছিলেন, ‘‘হ্যাঁ বন্ধু!’’
ঋণ: সাময়িকপত্রের আলোকে প্রথম মহাযুদ্ধ/ সঙ্কলন ও সম্পাদনা: বারিদবরণ ঘোষ