ধারাবাহিক রহস্য উপন্যাস: পর্ব ১৮

স্বাধীনতা তুমি...

চিত্তরঞ্জন জিআরপি’র অফিসার ইন-চার্জ অলকেশ লাহিড়ী, এটা খোঁজ নিয়ে জেনেছিল পল্টন। কিন্তু সিলেট আর জিআরপি অফিসে ফিরে যেতে রাজি হয়নি। গত কাল ভদ্রলোক যে ভাবে তাকে আপাদমস্তক দেখছিলেন, তাতে একটু ঘাবড়ে গেছে সিলেট।

Advertisement

সঞ্জয় দাশগুপ্ত

শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০১৭ ০০:০৮
Share:

ছবি:ওঙ্কারনাথ ভট্টাচার্য

চিত্তরঞ্জন জিআরপি’র অফিসার ইন-চার্জ অলকেশ লাহিড়ী, এটা খোঁজ নিয়ে জেনেছিল পল্টন। কিন্তু সিলেট আর জিআরপি অফিসে ফিরে যেতে রাজি হয়নি। গত কাল ভদ্রলোক যে ভাবে তাকে আপাদমস্তক দেখছিলেন, তাতে একটু ঘাবড়ে গেছে সিলেট।

Advertisement

তার চেয়ে কলকাতা ফিরে গিয়ে রত্নাদিকে এখানকার অবস্থাটা জানালে, ও হয়তো রঘুনন্দনলালজিকে বলে কোনও ব্যবস্থা করতে পারবে। থানায় একটা মিসিং রিপোর্ট করা যায় কি না, সেটাও দেখতে হবে।

এ সব ভেবে কলকাতা ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় পল্টন। পরের বার সে একাই আসবে। বা অন্য কাউকে সঙ্গে আনবে। ওর পরিচয় কেউ জেনে ফেললে বা কিছু কেউ সন্দেহ করলে মুশকিল।

Advertisement

ওদের পরিচয় যে জানা হয়নি, সেই কথাটাই তখন অলকেশকে একটু ভাবাচ্ছে।

শ্যামল সেই যে সকালে বেরিয়েছে, এখনও ডেস্কে ফেরেনি। দিন প্রায় শেষ হয়ে এল। যে ছেলেগুলো মৃত ব্যক্তির খোঁজ করতে এসেছিল, তাদের কোনও রকম জিজ্ঞাসাবাদ না করেই ভাগিয়ে দিয়েছে শ্যামল। অন্তত সুলেখা মিত্রর তো তাই বক্তব্য। এটা চূড়ান্ত গাফিলতি। মৃত লোকটির কোনও পরিচয় এখনও জানা যায়নি। তার মৃতদেহ নিতে এসেছিল যারা, তাদের একটু জিজ্ঞেস করা হবে না, তারা কারা, কোথা থেকে আসছে?

ছেলে দুটি এক বার এসে ফিরে গিয়েছে। হয়তো আবারও আসবে। কিন্তু না এলে সমস্যা হতে পারে।

এই দুশ্চিন্তার মধ্যেই দিন শেষ হল অলকেশের। কোয়ার্টারে ফিরে দেখলেন আলো নেই। কোথাও একটা শর্ট সার্কিট হয়েছে। ইলেকট্রিকের ছেলেটি ঘণ্টা দুয়েক সময় নিল লাইন ঠিক করতে। সারা দিন খাটুনির পর বাড়ি অন্ধকার দেখলে মেজাজ বিগড়ে যায় ঠিকই, তবে আজকের ব্যাপারটা একটু আলাদা। আজ অলকেশের নৈশভ্রমণের দিন। রাত্রে খাওয়ার পর সূচনা আর তার মা কিছু ক্ষণ জেগে থাকে। মেজাজ ভাল থাকলে ওই সময়টা স্ত্রী অনীতা আর মেয়ের সঙ্গে বসে একটু গল্প করেন অলকেশ।

আজ নানা কারণে অলকেশের মুড ভাল নেই। তাই খাওয়ার পর আর কথা বাড়ালেন না অনীতা। তিনি জানেন, আজ তাঁর স্বামী বাক্যালাপে আগ্রহী হবেন না। অনেক দিন ধরে দেখছেন তিনি অলকেশকে। স্বামীর প্রতিটি ভ্রুকুঞ্চন, প্রতিটি অভিব্যক্তি পরতে পরতে চেনেন তিনি। তিনি জানেন, আজ মধ্যরাত্রে এমন কোনও এক অভিযানে বেরোবেন তাঁর স্বামী, যা নিয়ে কোনও প্রশ্ন করা চলবে না। তাই বাতি নিভিয়ে শুয়ে পড়ার পরও যখন দেখলেন অলকেশ বাইরের ঘরে বসে আছেন, মুখে গভীর চিন্তার রেখা, তখন আগ বাড়িয়ে আর কোনও প্রশ্ন করলেন না অনীতা। এই সময় কোনও রকম অনুসন্ধিৎসা প্রকাশ করলে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠবেন অলকেশ। চিৎকার করে যা মুখে আসে তা-ই বলবেন। রাগলে নিজের মুখের উপর কোনও আগল থাকে না অলকেশের। মেয়ে বড় হয়েছে। এখন আর এ সব ঝামেলা ভাল লাগে না অনীতার। নিজের ভাগ্যকে তিনি নীরবে মেনে নিয়েছেন।

অলকেশ বেরোলেন রাত দশটার কিছু পরে। তাঁর কোয়ার্টার থেকে স্টেশন খুব একটা দূরে নয়। পুলিশের ইউনিফর্ম পরেননি অলকেশ, এখন তাঁর পরনে সাধারণ একটা গাঢ় রঙের হাফ-শার্ট আর নেভি ব্লু ট্রাউজার। চিত্তরঞ্জন স্টেশন এখনও ঝিমিয়ে পড়েনি। জনসমাগম যথেষ্ট। রাত্রে ডিউটি করছিল যে কনস্টেবলটি, তার নাম শিউশরণ। সাহেবকে দেখে অবাক হল না সে। সাহেব মাঝে মাঝেই রাতে আসেন। এটাতে তারা অভ্যস্ত। তার মানে আজ রাত্রের কোনও ট্রেনে সাহেবের
মাল আসছে।

প্ল্যাটফর্মে অলস ভাবে পায়চারি করছিলেন অলকেশ। এ রকম সময়ে নানা চিন্তা ভিড় করে আসে মাথায়। এখন যেমন তাঁর সবচেয়ে বড় চিন্তা— সূচনার বিয়ে। কলকাতা যাওয়ার দরকার অবিলম্বে। খুড়শ্বশুরের আনা সম্বন্ধটা না হাতছাড়া হয়ে যায়। কবে যে একটু সময় করতে পারবেন! কবজি উলটিয়ে ঘড়ি দেখলেন অলকেশ। স্টেশনের ঘড়ির সঙ্গে মিলিয়ে নিলেন, অভ্যাসবশত।
দশটা সাতচল্লিশ।

দশটা ছাপ্পান্নর মিথিলা এক্সপ্রেস আজ লেট নেই। রক্সৌল থেকে কলকাতা যাওয়ার পথে চিত্তরঞ্জন ছুঁয়ে যাবে ট্রেনটা। দূরপাল্লার ট্রেন ঢোকার আগে স্টেশনে যে ব্যস্ততার শিহরণটা ছড়িয়ে পড়ে, সেটা শুরু হয়ে গেছে।

নিতাইবাবুর আজ চার নম্বর কামরায় থাকার কথা। অনেক দিন ধরে এই কাজ করছেন নিতাইচরণ হালদার। এমনিতে তিনি ট্র্যাভেলিং টিকিট ইন্সপেক্টর, রেলযাত্রীদের প্রচলিত ভাষায় টিটি। কিন্তু তাঁর একটা গোপন ব্যবসা আছে। নিতাইবাবুর কোনও এক আত্মীয় মিলিটারিতে কাজ করেন। কোনও এক সময় ভদ্রলোক রক্সৌলে পোস্টেড ছিলেন, পরে বদলি হয়ে যান। কিন্তু সেই আত্মীয়টি এমন কিছু লোকের সঙ্গে নিতাইবাবুর যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছিলেন, যারা সেনাবাহিনীর বরাদ্দ থেকে কিছু দামি বিদেশি মদের বোতল নিতাইবাবুর হাতে তুলে দিতে পারে। সেই থেকে এই ব্যবসা শুরু করেছেন নিতাইবাবু।

অলকেশ নিতাইবাবুর এক জন বাঁধা খরিদ্দার। রেল পুলিশের নজর এড়িয়ে মদের বোতল নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে নিতাইবাবুকে কিছুটা সাহায্য করেন অলকেশ। বদলে নিতাইবাবু কেনা দামে তাঁকে বিদেশি মদ সরবরাহ করেন। অন্তত তিনি বলেন কেনা দামে। কথাটা সম্পূর্ণ সত্য যদি না-ও হয়, মোটামুটি পছন্দসই দামেই বিদেশি মদের বোতল পান অলকেশ। আর্মির জিনিস, ভেজালের প্রশ্ন নেই। সবই ইম্পোর্টেড মাল।

কাল ফোন করেছিলেন নিতাইবাবু। ভাল হুইস্কি আছে। সেটা ডেলিভারি নিতেই আসা। টাকাও সঙ্গে করে এনেছেন, যদিও নিতাইবাবু কখনওই নগদ পয়সা দিতে হবে, এমন দাবি করেন না। কয়েক মাসও ধার রাখা যায় তাঁর কাছে। পরে মিটিয়ে দিলেই হল।

ট্রেনের আলো দেখা যাচ্ছে দূরে। জায়গা মতো গিয়ে দাঁড়ালেন অলকেশ। মিথিলা এক্সপ্রেস চিত্তরঞ্জনে দাঁড়ায় মাত্র দু’মিনিট। কিন্তু তার মধ্যেই কাজ সেরে ফেলতে কোনও অসুবিধা হল
না অলকেশের।

‘এ বার দামটা একটু বেশি নিলেন যেন,’ ব্রাউন পেপারে মোড়া ভারী প্যাকেটটা হাতে নিয়ে নিতাইবাবুকে বললেন কথাটা।

‘কী বলছেন স্যর, এক চুমুক দিলেই বুঝতে পারবেন কী জিনিস দিয়েছি। আপনার জন্য সবচেয়ে ভাল জিনিসটা আলাদা করে রেখে দিয়েছিলাম। খেয়ে দেখবেন স্যর। তখন স্মরণ করবেন এই নিতাইচরণ হালদারের কথা।’

নিতাইবাবুর কথা শেষ হওয়ার আগেই গাড়ি ছেড়ে দিয়েছে।

আর ঠিক তক্ষুনি অলকেশ দেখলেন, একটা লোক পিছন থেকে দৌড়ে এসে পাশের কামরাটায় উঠে পড়ল। কী একটা যেন খটকা লাগছে তাঁর। মুহূর্তের জন্য চোখের কোনা দিয়ে দেখলেন, একটা লোক ট্রেনে উঠছে, তার গায়ে একটা চাদর। অতি সাধারণ দৃশ্য। নিতাইবাবুর সঙ্গে বাক্যালাপের মাঝেই ব্যাপারটা লক্ষ করেছেন তিনি। এটাও তাঁর মনে হয়েছে, পুরো দৃশ্যটাতে একটা কিছু যেন বেখাপ্পা। এমন একটা কিছু, যেটা হওয়ার কথা নয়, বা থাকার কথা নয়। কিন্তু ঠিক কী বেখাপ্পা, তিনি বুঝেও বুঝে উঠতে পারছেন না।

মনে মনে দৃশ্যটা অনেক বার নাড়াচাড়া করতে করতে কোয়ার্টারের দিকে পা বাড়ালেন অলকেশ। বাড়ির কাছাকাছি এসে মনে পড়ল। ওই লোকটা তো গৌরাঙ্গ! এ অঞ্চলে ছোটখাটো ক্রাইম করে বেড়ায়! বড় কিছুতে কখনও ধরতে পারেনি ওকে পুলিশ, যদিও ওর নামে শোনা যায় নানা কথা। ওর হঠাৎ কলকাতা যাওয়ার দরকার পড়েছে এত রাতে?

কিন্তু আসল খটকাটা সেখানে নয়! মাথাটা হঠাৎ পরিষ্কার হল তাঁর। এখন অগস্ট মাস। বৃষ্টি হয়নি বেশ কিছু দিন। চাদর গায়ে দেওয়ার মতো ঠান্ডা নেই এই রাতেও। গৌরাঙ্গর গায়ে চাদর কেন? চাদরটা না থাকলে দৃশ্যটা অলকেশের নজর কাড়ত না! আর চাদরটা যে ভাবে পুরো মুড়ি দিয়ে গায়ে জড়িয়ে নিয়েছিল গৌরাঙ্গ, বছরের এই সময় সেটাই সবচেয়ে অদ্ভুত। চাদরের তলায় কী পাচার করছিল সে?

নিজের মনেই একটু হাসলেন অলকেশ। যে সব কথা না ভাবলেও চলে, সেই নিয়েই তিনি এখন চিন্তা করছেন। বয়সের দোষ! হাতের প্যাকেটটা এখনও খোলা হয়নি। এক চুমুক খেয়ে দেখবেন নাকি এখনই?

মুগ্ধতার বর্ণময় হাতছানি

ভিয়েনার ঝলমলে, সুসজ্জিত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অ্যারাইভ্যাল লাউঞ্জের এক কোনায় বসে মনোযোগ দিয়ে খবরের কাগজ পড়ছেন যে মধ্যবয়সী ভদ্রলোক, তিনি যে আসলে নিরাপত্তাকর্মী, সেটা বাইরে থেকে কারও পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়। ভদ্রলোকের পরনে সাদা হাফ-শার্ট আর ছাই রঙের ট্রাউজার। খুব দীর্ঘাঙ্গ নন, কিন্তু পেটানো, মেদহীন শরীর। মধ্য চল্লিশের সাধারণ যে কোনও অস্ট্রিয়ান পুরুষের মতো চেহারা। যেখানে বসে আছেন, তার ঠিক উলটো দিকে ডিজাইনার ভ্যানিটি ব্যাগের দোকানটির কাউন্টারে দাঁড়িয়ে তাঁকে লক্ষ করছিল মারিয়া। মারিয়ার বয়স উনিশ, তার ধ্যানজ্ঞান এখন বেহালা বাজানো। সে ভিয়েনা ফিলহার্মোনিকে যোগ দিতে চায়। আবেদনপত্র জমা দিয়ে রেখেছে বেশ কিছু দিন। কিন্তু যত দিন না সেখান থেকে কোনও খবর পাচ্ছে, তার ভরসা দোকানের এই চাকরিটি। মারিয়াও জানে না লোকটির আসল পরিচয়। তার ধারণা, লোকটি সাধারণ বিমানযাত্রী, বা কাউকে রিসিভ করতে এসেছে। ভদ্রলোক হাতে সময় নিয়ে এসেছেন, বোঝা যাচ্ছে।

ভিয়েনার মতো বিলাসবহুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও অত্যন্ত দামি ডিজাইনার হ্যান্ডব্যাগের দোকানে খুব একটা ক্রেতার ভিড় থাকে না। এয়ারপোর্টে বেশির ভাগ মানুষেরই হাতে সময় থাকে কম। প্লেন ধরার তাড়া, অথবা কাউকে খুঁজে পাওয়ার উৎকণ্ঠা, বিদায় জানাবার বিষাদ, কখনও বা বহু দিন পরে কাউকে জড়িয়ে ধরার আনন্দ। দু-একটা ভ্যানিটি ব্যাগ যে বিক্রি হয় না তা নয়, কিন্তু দোকানটির মূল উদ্দেশ্য বিজ্ঞাপন দেওয়া। আসা-যাওয়ার পথে থরে থরে সাজিয়ে রাখা ভ্যানিটি ব্যাগগুলি যাঁদের দৃষ্টি আর্কষণ করে, তাঁদের অনেকেই শহরে গিয়ে ওই একই দোকান খুঁজে বার করে সেই ব্যাগ কেনেন। তাই এয়ারপোর্টের দোকানে যখন ডিউটি পড়ে মারিয়ার, তখন তার হাতে অফুরন্ত সময়।

আর সেই কারণেই অলস কৌতূহলে মারিয়া লোকটিকে অনুসরণ করে চলেছে চোখ দিয়ে। কেমন যেন মনে হচ্ছে, লোকটির কাগজ পড়ার দিকে তেমন মন নেই। মারিয়া যেখানে দাঁড়িয়ে আছে, সেখান থেকে এই জায়গাটা পুরোটা দেখা যায়। কাগজের আড়ালে মুখ লুকিয়ে ভদ্রলোক মাঝেমধ্যে এদিক-সেদিক তাকাচ্ছেন। নাহ্‌... এদিক, সেদিক নয়! বাঁ দিকে কোনাকুনি একটা কিছু দেখার চেষ্টা করছেন। সেখানটা আবার আড়াল পড়ে গেছে মারিয়ার। ওখানে কী, বা কে আছে, তা সে দেখতে পাচ্ছে না। নিশ্চয়ই কোনও মহিলা! ওই বয়সের ভদ্রলোকের আর কীই বা মতলব হবে?

ওই তো আবার তাকাচ্ছেন ভদ্রলোক!

সে যা ভেবেছিল, ঠিক তা-ই! বাঁ দিক থেকে ট্রলি ঠেলে এগিয়ে আসছে এক তরুণী। সে দিকেই তাকিয়ে আছেন ভদ্রলোক, কাগজের আড়ালে মুখ লুকিয়ে! মুচকি হাসল মারিয়া। মেয়েটি বোধহয় দেখল তাকে হাসতে। ঠিক যখন এক চিলতে একটু আনমনা হাসি এসেছে তার ঠোঁটে, সেই মুহূর্তেই ভ্যানিটি ব্যাগগুলির দিকে তাকিয়েছে মেয়েটি। শ্বেতাঙ্গিনী নয়, খুব সম্ভবত ভারতীয়। অসামান্যা সুন্দরী। দারুণ ফিগার। পোশাক-আশাকে রুচি এবং অর্থকৌলীন্যের পরিচয়।

শাড়ি পরে আছে মেয়েটি। সেই দেখেই তো মারিয়ার মনে হল, মেয়েটি ভারতীয়। শাড়ি চেনে না মারিয়া, কিন্তু হালকা লাল রঙের শাড়িটার উপর সুতোর সূক্ষ্ম কাজগুলো দেখলেই বোঝা যায়,
খুব দামি শাড়ি। আর কানে যে ম্যাচ করা সোনার দুটো লম্বা দুল, তার মাঝখানের গভীর, লাল পাথরটা নিশ্চয়ই রুবি। হালকা রঙের লিপস্টিক, কপালে ছোট্ট একটি অগ্নিশিখার মতো লাল-কালো টিপ। কী যে অপূর্ব সুন্দরী মেয়েটি!

মারিয়া সমকামী। সে বুঝতে পারল, ভারতীয় মেয়েটিকে দেখে তার ভিতরটা চনমন করে উঠছে। নিজেকে ছোট্ট করে একটু ধমকাল সে। কাজের সময় এ সব কী চিন্তা?

ক্রমশ

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement