ছবি: বৈশালী সরকার।
মঞ্জীরার দিন শুরু হয়ে গেল। এখন হালকা জগিং, তার পর আধঘণ্টা জিম। সে পর্ব মিটলে কোনও
মতে রেডি হয়ে অফিসের জোয়াল টানতে যাওয়া।
এমনটাই চলছে গত বেশ কয়েক বছর ধরে।
পাঁচ বছরের ডাম্বোর হাত ধরে যে দিন শ্বশুরবাড়ির পাট পাকাপাকি ভাবে তুলে দিয়ে মায়ের এই ফ্ল্যাটে এসে উঠেছিল, সে দিনও কি ভেবেছিল, বাকি জীবনটা এই জায়গাতেই কাটাতে হবে তাকে?
সবটুকু দায় ঝেড়ে ফেলে চলে এলেও কি কিছুই বাকি থেকে যায় না? অথচ এমন এক দিনও কাটে না, যে দিন সেই নিরাপত্তার ঘেরাটোপে কাটানো ছ’টা বছরের কথা মনে পড়ে না তার।
আকাশদীপও কি ভাবে তার কথা? সম্ভবত না। উচ্চাকাঙ্ক্ষার যে রথে সে বিশ্ব পাড়ি দিচ্ছে, যে তুমুল ব্যস্ততায় একের পর এক শৃঙ্গ জয় করে চলেছে সে, তাতে পিছন ফিরে তাকানোর সময় কোথায় তার?
অথচ যুগ পাল্টেছে, মঞ্জীরার পরিচিত কত মেয়েই তো স্বামীর ছায়া থেকে বেরিয়ে এসে নিজের মতো জীবন কাটাচ্ছে। মনপসন্দ চাকরি, সন্তানপালন, মোটা ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স, জোরালো পুরুষসঙ্গী... কী নেই তাদের? এ সব তো মঞ্জীরারও আছে, তবু সব কিছু ছেড়ে কেন সে বেরিয়ে আসতে পারে না?
কেন আলমারির লকারে রাখা, আকাশদীপের পাঠানো ডিভোর্স পিটিশনে সই করে উঠতে পারল না আজও? সে কি এখনও অপেক্ষা করে আকাশদীপের ফিরে আসার?
হালকা কিছু স্ট্রেচিং সেরে ট্রেডমিলে উঠেছে মঞ্জীরা। ধীরে ধীরে বোতাম চেপে গতিবেগ বাড়াচ্ছে। পায়ের নীচে সরে সরে যাচ্ছে কনভেয়ার বেল্টের কৃত্রিম জমি। তালে তালে ক্রমশ গতি বাড়াচ্ছে মঞ্জীরাও।
তাদের আবাসনের জিমটা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। আজ এসির তাপমাত্রা বেশ কম করে দেওয়া আছে। তবুও ঘামছে মঞ্জীরা। হৃৎপিণ্ডের প্রচণ্ড লাব-ডুব শুনতে পাচ্ছে সে, রক্তকণারা তীব্র বেগে বইছে শিরা ধমনীর অলিগলিতে। তবু থামছে না মঞ্জীরা। কে যেন থামতে দিচ্ছে না তাকে।
ঠিক এমনটাই মনে হত তার বহু বছর আগে। স্প্রিন্টার হিসেবে ডিস্ট্রিক্ট লেভেলে একটা পদকও জিতেছিল ছোট্ট মঞ্জীরা।
তবে সে দৌড় বেশি দূর এগোয়নি।
কেন যে অকালে থেমে গেল মঞ্জীরা! বাবা চায়নি সে পড়াশোনা ফেলে রোদে রোদে দৌড়ে বেড়াক, তার মনে আছে বাবা প্রায়ই বলত, “গায়ের রং পুড়িয়ে ছুটোছুটি করলে আখেরে লাভ কিছু হবে না। এই পোড়া দেশে ক্রিকেট ছাড়া অন্য কোনও খেলার কদর আছে না কি! মিছিমিছি বিয়ের বাজারে নিজের দাম কমানো...”
আজ ভাবলে অবাক হয় মঞ্জীরা। আজকাল ছেলেমেয়েরা কত সচেতন! নিজের চাওয়া পাওয়া কী সুন্দর বুঝে নিতে পারে। বাকিদের কথা না হয় বাদ দেওয়া গেল, ওই যে অতটুকু ডাম্বো, সেও এখন থেকেই নিজের ক্রিকেট কেরিয়ার নিয়ে কী সাংঘাতিক পার্টিকুলার।
না, বাবার মর্জি নয়, স্পোর্টস-এ কেরিয়ার হয়নি তার, কারণ তার নিজেরই উচ্চাকাঙ্ক্ষা ছিল না।
অবশ্য কিসেই বা আকাঙ্ক্ষা ছিল তার? জীবনে কোন কাজটাই বা মন দিয়ে করেছে মঞ্জীরা?
গ্র্যাজুয়েশনের রেজ়াল্ট বেরোনোর আগেই মস্ত বনেদি পরিবারে সম্বন্ধ করে বাবা তাকে বিয়ের পিঁড়িতে বসিয়ে দিল, মুখ ফুটে না বলতে পেরেছিল মঞ্জীরা?
বছর ঘুরতে না ঘুরতে তার মেজাজ-মর্জির তোয়াক্কা না করেই অবাঞ্ছিত গর্ভাধান। ক্যালেন্ডারের পাতা ভাল করে পাল্টে ওঠার আগেই সে দিনের কলেজ-পড়ুয়া, ছটফটে মেয়েটা হঠাৎ একটা গাবদু-গুবদু বাচ্চার মা হয়ে গেল।
জীবনে কোন ঘটনাটাই বা হয়েছিল মঞ্জীরার মর্জিমাফিক?
এই সময়টায় পা, কোমর যেন ভেঙে পড়তে চায় মঞ্জীরার, তবু দৌড় থামায় না সে। পায়ে পায়ে পেরিয়ে যেতে চায় সব বাধা, পায়ের নীচে মাড়িয়ে দিয়ে যেতে চায় সব
না-পাওয়াগুলো।
তবু এক সময় থামতে হয় তাকে, হাঁটুতে হাত রেখে সামনে ঝুঁকে হাঁপাতে থাকে সে, তার ফর্সা গাল পরিশ্রমের ভারে লাল হয়ে ওঠে। জিম ভেস্ট ভিজে লেপ্টে যায় শরীরে। এ যেন নিজের শরীরের ওপর জীবনের অপ্রাপ্তিদের প্রবল প্রতিশোধ।
ধীরে ধীরে জিমের ম্যাটে বসে পড়ল মঞ্জীরা। আর তখনই নিজের পাশে একটা ছোট কিশোরী দেহের অস্তিত্ব অনুভব করল সে। এই মেয়ে বাস্তবের কেউ নয়, সে কিশোরীবেলার মঞ্জীরা। স্প্রিন্টার মঞ্জীরা। তার পরনে প্রতিযোগিতায় নামার শর্টস
আর টি-শার্ট।
বহু বছর কেটে গেলেও এই কিশোরী পুরোপুরি মঞ্জীরাকে ছেড়ে চলে যেতে পারেনি। মঞ্জীরার হারানো শৈশব, তার ধুলোবালি মাখা স্প্রিন্টিং ট্র্যাকের দিনগুলো নিয়ে এই মেয়ে আজও হঠাৎ-হঠাৎ ফিরে আসে তার কাছে। কয়েক মুহূর্তের ফিরে আসা। দুটো কথা, মৃদু খুনসুটি, ব্যস ওই পর্যন্তই। আজও সেই কিশোরী হাঁটু মুড়ে বসে পড়ল মঞ্জীরার পাশে।
“কী মঞ্জি! এইটুকুতেই হয়ে গেল? আর একটু টানলে পারতে।”
“অনেক হয়েছে। কী হবে এত ছুটে?”
“এখানেই তোমার সমস্যা। সে দিন রেসে পুরুলিয়ার মেয়েটাও পিছন থেকে এসে ওভারটেক করে বেরিয়ে গেল। তুমি এক বার শেষ চেষ্টাটুকুও করলে না!”
“আমি চেষ্টা করেছিলাম। শি ওয়াজ় টু গুড।”
“ছাই টু গুড। তুমি নিজেও জানো তুমি ওর থেকে বেটার স্প্রিন্টার। যে জোরটুকু দিলে মানুষ জিতে যায় সেই জেদটাই নেই তোমার।”
“আহ! আর কত দিন এই এক কথা নিয়ে...”
ঝাঁঝিয়ে উঠতে গিয়েও থমকে গেল মঞ্জীরা। পাশের ট্রেডমিল থেকে থলথলে চেহারার এক জন পুরুষ অবাক চোখে তাকিয়ে আছে তার
দিকে। হাওয়া বুঝে কখন যেন চম্পট দিয়েছে কিশোরী মঞ্জিও।
মঞ্জীরা তোয়ালে কাঁধে বেরিয়ে এল জিম থেকে।
তাদের বিল্ডিংয়ে ঢোকার মুখেই দেখা হল রঞ্জনাদির সঙ্গে। আলুথালু বেশ, নাইটির ওপর ওড়না চাপিয়ে উদ্ভ্রান্তের মতো ছুটছে কোথাও।
মঞ্জীরাকে দেখে দাঁড়িয়ে পড়ল রঞ্জনা, “আরে মঞ্জীরা, কত দিন পরে দেখলাম তোমায়। ফিরতে আজকাল খুব রাত হয় বুঝি?”
আন্তরিকতার আড়ালে প্রচ্ছন্ন শ্লেষ। মঞ্জীরা জানে, গত সপ্তাহে তার ফিরতে বেশ ক’দিন একটু রাত হয়েছে। সে হয়তো রঞ্জনাদির বরেরও বাড়ি ফিরতে রাত হয়েছে। তবে পুরুষের অফিস থেকে ফিরতে দেরি হওয়ার একটাই অর্থ, কাজের চাপ। মেয়েদের রাত হওয়ার হাজার একটা সম্ভাব্য কারণ আবিষ্কৃত হয়ে গেছে।
মঞ্জরী বলল, “একটা নতুন প্রোডাক্ট লঞ্চ হল গো, এই সময়টায় একটু চাপ যায়...” প্রসঙ্গ পাল্টাতে চাইল সে, “তুমি কোথায় ছুটলে?”
“এই দেখো না, সকালে উঠেই ছোট মেয়ে আবদার করেছে ব্রেড-ওমলেট না পেলে সে বিছানা ছাড়বে না। এ দিকে ফ্রিজে পাউরুটি নেই। যাই, নিয়ে আসি। এর নাম সংসার, বুঝলে?”
“আহা, ছেলেমানুষ, মায়ের কাছেই তো আবদার করবে!” লঘু স্বরে বলল মঞ্জীরা।
অন্যের ব্যাপারে আগ্রহ একটু বেশি থাকলেও আপদে-বিপদে রঞ্জনাদি ছুটে আসে, ডাম্বোটাকে একা রেখে বেরোতে হচ্ছে মাঝে মাঝে, কাজেই যতটা সদ্ভাব রাখা যায়।
মধ্য-তিরিশেই রঞ্জনার দেহে যৌবন বেশ বিপর্যস্ত, রীতিমতো পৃথুলা গিন্নিবান্নি হাবভাব তার স্থূল অবয়বে।
সামনে জিম ভেস্ট আর টাইট ট্র্যাক প্যান্টে এক আকর্ষণীয়া দাঁড়িয়ে থাকলে কোনও মেয়েরই স্বস্তি বোধ করার কথা নয়। বয়সে কতই বা ছোট হবে মঞ্জীরা তার থেকে?
রঞ্জনা চোখের কোণ দিয়ে মঞ্জীরার শরীরে হালকা চোখ বুলিয়ে নিচু গলায় বলল, “সে দিন তোমার বোনকে দেখলাম, ওই গড়িয়াহাটে একটা বুটিকে সেল চলছিল, ফেরার পথে ফ্লাইওভারের নীচে দেখি হনহন করে হাঁটছে মিহিকা আর পিছন-পিছন একটা ছেলে ঊর্ধ্বশ্বাসে ছুটছে। আমি তো প্রথমে ভয় পেয়ে গেছিলাম, তার পর দেখলাম, না, ভয়ের কী-ই বা আছে! ভরা বাজার চত্বর, দিনের বেলা, ভয়ের আর কী! আর তা ছাড়া এই তো বয়স... কী বলো?” ইঙ্গিতপূর্ণ হাসি হাসল রঞ্জনা।
প্রসঙ্গ অস্বস্তিকর, কী বলবে বুঝতে পারল না মঞ্জীরা। তাকে মুক্তি দিল রঞ্জনাদিই, হঠাৎ ব্যস্তসমস্ত হয়ে গোলগাল রঞ্জনা এগিয়ে যেতে লাগল, “না, চলি ভাই। তোমার দাদার আবার অফিস বেরোনোর সময় হয়ে যাবে। এই সময় আমার মনে হয় গ্যাসে পাঁচ-ছ’টা ওভেন থাকলে ভাল হত। বেঁচে গেছ ভাই, তোমায় এ সব ঝক্কি পোহাতে হয় না। না হলে তোমারও এই আমার মতো দশাই হত।”
শেষ বাক্যে আবার মৃদু ধাক্কা। দূরে যেতে যেতে রঞ্জনাদি বলে গেল, “তোমার ইয়ার-এন্ডের চাপ মিটলে এসো এক দিন, কত কাল যে দুটো গল্প করা হয় না, তোমরাও সব এত ব্যস্ত থাকো! কেমন যেন সব হয়ে যাচ্ছ তোমরা...”
ঈষৎ মাথা নাড়ল মঞ্জীরা। রঞ্জনাদির সঙ্গে বেশি ক্ষণ কথা বলা যায় না। ছোট থেকে ডাম্বোর দেখাশোনা অনেকটা এই ভদ্রমহিলা সামলে দিয়েছেন, এখনও প্রয়োজনে ডাকলে ছুটে এসে বুক দিয়ে সব করে দিয়ে যাবেন রঞ্জনাদি, জানে মঞ্জীরা।
তবু রঞ্জনাদির জিভে মোলায়েম একটা ছুরি আছে, মিছরির ছুরি। মিষ্টি হাসি দিয়ে সেই ছুরির জখমের ওপর লঙ্কাবাটা ঘষে দেয় রঞ্জনাদি।
ধীর পায়ে লিফটে উঠে ছ’তলার বোতাম টিপেছে মঞ্জীরা। মনটা তেতো হয়ে গেছে। রঞ্জনাদির শেষ কথাটা তাকে হুলের মতো বিঁধেছে।
রঞ্জনাদির যা আছে, তা কি মঞ্জীরারও হতে পারত না? এই ফ্ল্যাট থেকেই অফিস আর স্কুলে যাওয়ার জন্য এক সঙ্গে বেরোত আকাশদীপ আর ডাম্বো? সকাল থেকে তাদের পরিচর্যায় নিজের দিকে তাকানোর ফুরসত পেত না মঞ্জীরা।
আচ্ছা, আকাশদীপ থাকলে কি এই চাকরিটা করতে দিত মঞ্জীরাকে? যা মেজাজ ছিল বাবুর, হয়তো নিদান দিয়ে বসত, ‘ভুলে যাচ্ছ তুমি আকাশদীপ গাঙ্গুলির বৌ, আজ বাদে কাল যে লোক বিধানসভায় গিয়ে বসবে, তার বৌ করবে ওই পটেটো চিপস কোম্পানির সেলস ম্যানেজারের চাকরি!’
নিজেকে মৃদু ধমক দিল মঞ্জীরা। আর কত দিন? সে নিজেও জানে আকাশদীপ ফিরবে না তার কাছে।
স্বেচ্ছায় ডাম্বোর কাস্টডি পর্যন্ত ছেড়ে দিয়ে রাজনীতি করে বেড়াচ্ছে আকাশদীপ। ডাম্বোর জন্য মাঝে মাঝে তার তরফ থেকে দামি গিফট এসে হাজির হয়, ডাম্বোর জন্মদিনে ফোন আসে একটা নিয়ম করে। এর বাইরে কি আকাশদীপ গাঙ্গুলির কোনও অস্তিত্বই আছে তার জীবনে? মঞ্জীরাকে কি সত্যিই আর আকাশদীপের বৌ বলা যেতে পারে?
তাদের সেপারেশনের তো প্রায় ছ’বছর হতে চলল।
মুখে ব্রাশ নিয়ে বেসিনের সামনে দাঁড়িয়ে ছিল মিহিকা, মঞ্জীরাকে ফ্ল্যাটে ঢুকতে দেখামাত্র সুড়ুত করে বাথরুমে ঢুকে গেল।
দেখেই গা জ্বলে গেল মঞ্জীরার। সকাল হতে না হতে প্রায় দিনই দুই বোনের মধ্যে এই সূক্ষ্ম লুকোচুরিটা চলে। দিদি ডাম্বোকে বাসে তুলে জিম-জগিং সেরে ফিরবে এ কথা মিহিকার অজানা নয়, তার পরেও যেন সে অপেক্ষায় থাকে, দিদি ফেরামাত্র বাথরুমের দখল চাই তার। পিঠোপিঠি বোন হলে নিশ্চিত চুলোচুলি লেগে যেত, কিন্তু দশ বছরের ছোট বোনের ওপর কতটাই বা রাগ করা যায়?
মঞ্জীরা গজগজ করতে করতে রান্নাঘরে ঢুকল। সকালে ডাম্বোর সঙ্গে সঙ্গে মিহিকার জন্যও ব্রেকফাস্ট তৈরি করেছিল সে। গরম করল খাবারগুলো। মহারানি আবার সামান্য ঠান্ডা খাবারও মুখে তুলতে পারেন না। কফিও করল দু’কাপ। এটাও মিহিকার প্রেফারেন্স। সকাল সকাল বেশি চিনি দিয়ে এক কাপ কড়া কফি না হলে নাকি তার চোখ খুলতে চায় না, সারা দিন আলুনি ভাব থাকে শরীরে।
ব্রেকফাস্ট টেবিলে এসে অবশ্য দেখা গেল মিহিকা দারুণ চটপটে, আজ অন্তত মর্নিং সিকনেস কাটাতে কফির দরকার পড়েনি। চটপট পরোটা ছিঁড়ছে, আলুভাজা জড়িয়ে মুখে তুলছে, দৃষ্টি স্থির হয়ে আছে খবরের কাগজে।
মঞ্জীরা বলল, “এত তাড়াহুড়ো করছিস কেন? রয়েসয়ে খা। বিষম লাগবে।”
মিহিকা কাগজ থেকে চোখ সরাল না, “একটু তাড়া আছে।”
“কিসের তাড়া? আজ রেজ়াল্ট বেরোবে? অ্যানাউন্স করেছে কিছু?” মঞ্জীরা একটু উৎকণ্ঠা নিয়ে জানতে চাইল।
“নাঃ, তা জানায়নি কিছু।”
“তা হলে? ক’টায় ক্লাস? এত আগে কলেজ গিয়ে কী করবি?”
মিহিকা মন দিয়ে কাগজ দেখছে, উত্তর দিচ্ছে না। তার মুখেচোখে সন্ন্যাসিনীর উদাসীনতা।