হাহাকার: এক দিন এখানেই ছিল টলটলে জলের হ্রদ। এখন শুকিয়ে খাঁ খাঁ। তারই মধ্যে জলের খোঁজ। চেন্নাই, জুন ২০১৯
এ বড় সুখের সময় নয়। কুরুক্ষেত্র যুদ্ধে শরশয্যায় শায়িত ভীষ্মের তেষ্টা মেটাতে অর্জুন ভূমিতে তির ছুড়ে তাৎক্ষণিক ফোয়ারা সৃষ্টি করেছিলেন। কিন্তু ভূগর্ভের জলতল গত কয়েক দশকে এতই নীচে নেমে গেছে, গোটাকতক তির ছুড়েও তার নাগাল পাওয়া এখন প্রায় অসম্ভব। সেও অবশ্য আমরা জানতে পেরেছি কিছু দিন মাত্র। সাম্প্রতিক কালে চেন্নাইয়ের জলসঙ্কট, নীতি আয়োগের রিপোর্ট ইত্যাদির সূত্র ধরে হঠাৎই আমাদের চোখকান খুলে গেছে। আমাদের অভিধানে ঢুকে গেছে ‘অ্যাকুইফার’, ‘ওয়াটার টেবল’, ‘ওয়াটার ফুটপ্রিন্ট’, ‘ওয়াটার-মার্কেট’, এমনকি ‘ওয়াটার মাফিয়া’র মতো শব্দও। আমরা জানতে পেরেছি, ২০৪০-৫০ সালের মধ্যে ‘সুজলাং’ ভারতবর্ষ জলশূন্য হয়ে যেতে পারে ।
বেশ কিছু বছর ধরেই কিন্তু পরিবেশবিজ্ঞানী এবং সমাজকর্মীরা এই সব তথ্য আমাদের শুনিয়ে আসছেন। সে সব আমাদের মাথায় ঢোকেনি, কারণ জলের মতো প্রাকৃতিক সম্পদটির বিষয়ে আমাদের একমাত্র ধারণা হল যে এটি সহজলভ্য। যেখান থেকে ‘জলের দাম’ কথাটা এসেছে। বিশেষত এই গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে, বছরে চার মাস বৃষ্টির কল্যাণে যেখানে পায়ে পায়ে খাল-বিল-পুকুর, সেখানে জল নিয়ে ভাবনা বাহুল্যই মনে হয় বটে। গ্রিনহাউস গ্যাস, ওজ়োন স্তরের ক্ষত, প্লাস্টিক দূষণের মতো অনেক শব্দ এখন আমাদের মুখে মুখে ঘোরে, কিন্তু সিস্টার্নের চাবি ঘুরিয়ে ঠিক কতটা পরিস্রুত জল নষ্ট করছি, আর সেই ক্ষতি আমাদের কোথায় নিয়ে যাচ্ছে, সেটা আমাদের পরিষ্কার জানা ছিল না এই সে দিন অবধিও। তাই রাস্তার কল থেকে জল পড়েই গেছে, তা দেখেও আমরা কলের মুখ বন্ধ করার কথা ভাবিনি কোনও দিন।
জল কোথা থেকে আমাদের কাছে আসে আর ব্যবহারের পরে কোথায়ই বা যায়, তার সবটুকু ঠিক মতো না জানলে তার অপচয় ও ফলাফল সম্পর্কে ধারণা হবেই বা কী করে! পৃথিবীর জলসম্পদের বেশির ভাগই কিন্তু পানের অযোগ্য। পৃথিবীর মোট জলভাগের মাত্র ৩% মিষ্টি পানীয় জল, বাকিটা সমুদ্রের নোনা জল। এই ৩% এর আবার বেশির ভাগটাই (৬৮.৭%) বরফ, মানে আমাদের হাতের বাইরে। আর বাকি ৩১.৩% এর মধ্যে ৩০.১% হল ভূগর্ভস্থ জল আর ১.২% হল ভূতলের জল— মানে নদী, পুকুর, হ্রদ আর জলাভূমি— যা থেকে আমাদের তেষ্টা মেটে। পরিমাণের দিক থেকে এই মিষ্টি জল পৃথিবীর মানুষের তৃষ্ণা মেটানোর পক্ষে যথেষ্ট। কিন্তু যেখানে যতটা দরকার সেখানে ততটা জল সব সময় পাওয়া যায় না। পৃথিবীর জলসঙ্কটের এই হল গোড়ার কথা।
যা হচ্ছে, যা হতে পারত
• কমোডে: ফ্লাশ করলে ২০ লিটার, বালতিতে ৫ লিটার সঞ্চয়: ১৫ লিটার
• স্নান: শাওয়ারে ১৮০ লিটার, বালতিতে ১৮ লিটার। সঞ্চয়: ১৬২ লিটার
• বাসন ধোয়া: কল খুলে ১১৬ লিটার, বালতিতে ৩৬ লিটার সঞ্চয়: ৮০ লিটার
• দাড়ি কামানো: কল খুলে ১০ লিটার, মগে নিয়ে ১ লিটার সঞ্চয়: ৯ লিটার
• গাড়ি ধোয়া: পাইপ দিয়ে ১০০ লিটার, বালতিতে ও ভিজে কাপড়ে ২০ লিটার সঞ্চয়: ৮০ লিটার
• কাপড় কাচা: কল খুলে ১২০ লিটার, বালতিতে ২০ লিটার সঞ্চয়: ১০০ লিটার
• জলশোধন: RO মেশিনে হলে ৮ লিটার বিশুদ্ধ জল পেতে ১২ লিটার জল নষ্ট করতে হয়
হিমশৈল থেকে সৃষ্ট নদীগুলোয় নাহয় সারা বছর কিছু না কিছু বরফ-গলা জল এসেই যায়, কিন্তু অন্যান্য নদীগুলোয় (যেমন দক্ষিণ ভারতের নর্মদা-কৃষ্ণা-কাবেরী) আর পুকুর-খাল-বিলে জল আসে কোথা থেকে! অবশ্যই বৃষ্টি থেকে। মাটির ঠিক নীচে থাকে ভূগর্ভস্থ জলের একটা স্তর, যাকে বলা হয় ‘ওয়াটার টেবল’ বা ‘জলতল’। মূলত বৃষ্টির জল জমে তৈরি এই জলতল আমাদের বিভিন্ন জলাশয়ে জলের জোগান দেয়। এর নীচে থাকে ভূগর্ভস্থ জলের সম্ভার (অ্যাকুইফার), যা কোথাও জলতলের কাছাকাছি আবার কোথাও মাটির অনেক গভীরে প্রায় বিচ্ছিন্ন অবস্থায় থাকে। ভূতলে উন্মুক্ত যে জলভান্ডার (নদী, পুকুর) সেখান থেকে যেমন জল তুলে নেওয়া হয়, জল বাষ্প হয়ে যায় (ডিসচার্জ), তেমনই বৃষ্টির সময় সেই জলভান্ডার ফের পূর্ণ হয়ে ওঠে (রিচার্জ)। বৃষ্টির জল চুঁইয়ে ঢুকে জলতল অবধিও সহজেই পৌঁছে যায়। সুতরাং এই জলতলের জলের সম্ভার অফুরন্ত না হলেও পুনর্নবীকরণযোগ্য।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জনসংখ্যা বেড়েছে, জীবনযাপনের পরিবর্তন হয়েছে, কৃষি ও শিল্পের উন্নতি হয়েছে। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তৈরি হয়েছে জলের হাজার রকম প্রয়োজনীয়তা। চাহিদাও বেড়েছে। বাড়তি দরকার মেটাতে হাত পড়েছে ভূগর্ভস্থ জলের ভান্ডারে। পাম্পের সাহায্যে জল তুলে নেওয়া হয়েছে ওয়াটার টেব্ল এবং অ্যাকুইফার থেকে। মোটামুটি ১৯৫০ সাল থেকে এই প্রবণতা এতই বেড়েছে যে আমরা অনেকে জানিই না, আমাদের মোট পানীয় জলের ৫০%, শিল্পের জন্য দরকারি জলের ৪০% আর সেচের জলের ২০% এখন আসছে ভূগর্ভস্থ আধার থেকে। এই অতিমাত্রায় নিষ্কাশনের জন্য ওয়াটার টেবল বিপজ্জনক ভাবে নেমে যাচ্ছে। বৃষ্টিপাতে জলস্তরের যে স্বাভাবিক রিচার্জ হয়, নিষ্কাশনের হার তার থেকে অনেকটা বেশি হয়ে পড়েছে। এমনিতে ওয়াটার টেব্লের নীচের মাটি জলে সম্পৃক্ত হলে সেই জল চুঁইয়ে ভূগর্ভস্থ জলভান্ডার অবধি পৌঁছে তাকেও রিচার্জ করতে পারে। কিন্তু যে ওয়াটার টেব্লের নীচে কাদামাটি বা শক্ত পাথরের স্তর থাকে সেখান থেকে জল চুঁইয়ে অ্যাকুইফার অবধি পৌঁছয় না; সেখানে জলের সম্ভার বেশি হয়ে গেলে তা পাশাপাশি গড়িয়ে সমুদ্রে চলে যায়। দক্ষিণবঙ্গে এই রকম অঞ্চল আছে বেশ কিছু। বছর কয়েক আগে বর্ষার শুরুতে দু-তিন দিন টানা বৃষ্টির বিপুল জল সমুদ্রে চলে গিয়েছিল। তাই এই রকম ওয়াটার টেবলের নীচে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় থাকে যে অ্যাকুইফার, তা থেকে পাম্প চালিয়ে জল তুলে নিলে স্বাভাবিক ভাবে সেই জল সব সময় রিচার্জ হয় না। কিন্তু গভীর নলকূপ বসিয়ে জল তুলে নেওয়ার সময় কেই বা এ সব বিচার করে! ব্যবহারের পর এই মিষ্টি জল সরাসরি অ্যাকুইফারে ফিরতে পারছে না। মিশছে সমুদ্রের নোনা জলের সঙ্গে, তার পর বাষ্প-মেঘ-বৃষ্টি চক্রের মধ্যে দিয়ে মাটিতে ফিরে এলেও তা সব সময় ভূগর্ভে পৌঁছচ্ছে না। আর এ ভাবেই খালি হয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন অঞ্চলের মাটির নীচের জল। কুয়োর জল নেমে যাচ্ছে, শুকিয়ে যাচ্ছে পুকুর, খাল, নদীও। তার সরাসরি প্রভাব পড়ছে পরিবেশে।
কিছু ক্ষতি সরাসরিই নজরে পড়ে। অনেক জায়গায় পানীয় জল দুর্লভ, লবণাক্ত এমনকি দূষিতও হয়ে পড়ছে। মাটি শুকিয়ে যাচ্ছে, ধসে যাচ্ছে, গাছপালা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সাম্প্রতিক কালে চেন্নাইয়ের জলকষ্ট, কয়েক বছর আগে লাতুরের ভয়াবহ খরার উদাহরণ চোখের সামনে। পরোক্ষ প্রভাবও আছে। জলাভূমি ধ্বংস হলে সেখানকার জলজ উদ্ভিদ-প্রাণীর জীববৈচিত্র্যও নষ্ট হচ্ছে। বাড়ছে হঠাৎ-বন্যার আশঙ্কাও। ২০১৫ সালে নাসা-র ‘গ্র্যাভিটি রিকভারি অ্যান্ড ক্লাইমেট এক্সপেরিমেন্ট’ (গ্রেস) উপগ্রহের পাঠানো তথ্যে দেখা গেছে, বেলাগাম অপব্যবহারের ফলে যে কয়েকটি দেশের ভূগর্ভস্থ জল দ্রুত শেষ হয়ে যাচ্ছে তাদের মধ্যে ভারত বেশ এগিয়ে।
আর একটা ছোট্ট হিসেব। যে কোন দেশের নাগরিকদের মাথাপিছু জলের জোগান কতটা, তার হিসেব থেকে সে দেশের জলচিত্রটা কিছুটা বোঝা যায়। ইউনেস্কোর হিসেব বলছে, আমাদের দেশের ১২৫ কোটি মানুষের জন্য মোট ব্যবহারযোগ্য জলের পরিমাণ হল ৭০০-১২০০ কোটি কিউবিক মিটার (বি সি এম)। অর্থাৎ মাথাপিছু জলের জোগান ১০০০ কিউবিক মিটারেরও (সি এম) কম। আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে এই পরিমাণটা ১৭০০ সি এম-এর কম হলেই সেই দেশকে জলসঙ্কটের আওতায় বলে ধরে নেওয়া যায়। অর্থাৎ বিপুল জনসংখ্যার দরুন মাথাপিছু যথেষ্ট জলের জোগানের হিসেবে এখন ভারত অনেক পিছিয়ে, যদিও ১৯৫১ সালে মাথাপিছু এই মাপটা ছিল ৫১৭৭ সি এম। এক ভারতীয় সংস্থার হিসেব বলছে, ২০২৫-এর মধ্যে এই গড় কমে দাঁড়াবে ৮১৪ সি এম। শুধু জোগানের পরিমাণের হিসেবই নয়, পানীয় জলের দুরবস্থাও ভারতে জলসঙ্কটের আর একটা দিক। যে সব জলধারা থেকে তেষ্টা মেটাতে হয়, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সেগুলো ভয়ানক দূষিত। ক্ষতিকারক বহু ধাতু (আর্সেনিক, সেলেনিয়াম, ক্রোমিয়াম), নানান রাসায়নিক বর্জ্য, কীটনাশক ও জীবাণুতে (বিশেষত কলিফর্ম)
ভরা এই জল পানের তো বটেই, স্নানেরও অযোগ্য।
গুপি বললেই যেমন বাঘা, তেমনই ‘পরিবেশ’ বললেই আমরা তার পরের কথাটা বলি ‘দূষণ’। পরিবেশভাবনার ক্ষেত্রে কিন্তু শুধু দূষণ রোধই নয়, প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের দায়টাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। আর এই ক্ষেত্রে অজ্ঞতা অপরাধেরই শামিল। বেশি পয়সা থাকলেই (বা পয়সা খরচ না হলেই) যে আমি প্রাকৃতিক সম্পদ বেশি খরচ (অর্থাৎ অপচয়) করতে পারি না বা ধ্বংস করতে পারি না এই বোধটা সকলের মধ্যে আসা দরকার। জলের বিষয়ে এটা আমরা এতটুকুও ভাবিনি। তাই পানীয় জলের ব্যবহার ও শুদ্ধতার বিচারে ভারত তো বিড়ম্বনায় আছেই। ও দিকে জল সংরক্ষণ ও ভূতলের জলের সঠিক ব্যবহার বিষয়ে সচেতনতাও আদৌ বাড়েনি।
অথচ করার আছে অনেক কিছুই। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে বর্ষাকালে বাড়ির পাইপ বেয়ে যে বিশুদ্ধ পানীয় জলসম্পদ নেমে নালানর্দমা দিয়ে বয়ে গিয়ে শেষে নোনা জলের সঙ্গে মিশে যায়, তা সঞ্চয় করতে পারলেই কাজ অনেকটা এগিয়ে যায়। কেন্দ্রীয় সরকারের ভূগর্ভস্থ জল নিয়ন্ত্রণ মন্ত্রকের স্পষ্ট নির্দেশিকাও আছে: ৮০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত হয় এমন অঞ্চলে ১০০ বর্গমিটারের বেশি আয়তনের যে কোনও বাড়ির ছাদই জল সংরক্ষণের উপযুক্ত বলে ভাবা যেতে পারে। এমনকি উদ্বৃত্ত বৃষ্টির জল কী ভাবে ভূগর্ভে ফিরিয়ে দেওয়া যাবে, সে ব্যাপারেও বলা আছে। মনে রাখা দরকার, মাটি উন্মুক্ত থাকলে তবেই সেখান দিয়ে বৃষ্টির জল ভান্ডারে ফিরে যেতে পারে। নানা জায়গায় গভীর গর্ত বা কুয়ো খুঁড়ে, জলাভূমিকে অটুট থাকতে দিলেই সে কাজ কিছুটা করা যায়। জলাভূমি, ঘাসজমি, খোলা মাটিকে আমরা যথেচ্ছ ভাবে কংক্রিটে ঢেকে চলেছি, ফলে জলস্তরের স্বাভাবিক রিচার্জ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সরকারি-বেসরকারি আবাসনগুলোকে বাধ্য করা যায় ভূগর্ভস্থ জলসঞ্চয় আধার তৈরি করতে, যাতে প্রয়োজনীয় জলের কিছুটা সেখান থেকে পাওয়া যায়।
রোজকার ঘরের কাজে কী ভাবে জলের অপচয় হয় তার হিসেব দিয়ে জল অপচয়ের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি করা যায়। কমোড ফ্লাশ করার সময় আমরা যে ৬-২০ লিটার পরিষ্কার জল খরচ করলাম, সেটা যে পয়ঃপ্রণালী বেয়ে গিয়ে সমুদ্রের নোনা জলের সঙ্গে মিশল, ভূগর্ভে সরাসরি ফিরে গেল না, সেটা ঠিক ভাবে জানলে লোকে তার বিকল্প খুঁজবে। এই চেষ্টা সরকারের তরফে শুরু হওয়া দরকার। সরকারি তরফে নদনদী সংস্কার করে, সেই জল সঠিক ভাবে শোধন করে পানীয় ও ব্যবহারযোগ্য করে তোলার কোনও ব্যাপক ও ধারাবাহিক চেষ্টাও দেখা যায়নি আজ পর্যন্ত। অথচ কাজটা অসম্ভব নয়। আমাদের দেশেই অনেকগুলো রাজ্যে যেখানে বৃষ্টি কম হয় (তামিলনাডু, রাজস্থান, গুজরাট), সেখানে সরকারি উদ্যোগে বৃষ্টির জল জমানো শুরু হয়েছে বহু দিন। ভারতে এখন বছরে ১১২৩ বিলিয়ন কিউবিক মিটার (বিসিএম) ব্যবহারযোগ্য
জল দরকার হয়। তার মধ্যে ৪৩৩ বিসিএম ভূগর্ভের জল। হিসেব বলছে, ২০৫০ সালের মধ্যে ভারতে বছরে ১১৮০ বিসিএম জল দরকার হবে। বাড়তি জলের চিন্তা এখন থেকেই করা দরকার।
আশার কথা, কলকাতারই একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান এখন এ কাজে এগিয়ে এসেছেন। বসু বিজ্ঞান মন্দিরের বিজ্ঞানীরা গ্রামের সাধারণ মানুষকে বৃষ্টির জল সঞ্চয়ের উপযোগিতা ও উপায় দুইই শেখাচ্ছেন। এতে বিশেষত স্বল্প বর্ষণের জেলাগুলো খুবই উপকৃত হবে। শহরের মানুষকেও শিখতে হবে এই পদ্ধতি। বসু বিজ্ঞান মন্দিরের অধ্যাপক সমীররঞ্জন শিকদার সেটাই বিশ্বাস করেন; তাই গত ১৪ বছর ধরে বাড়িতে বানানো ভূগর্ভস্থ জলাধারের জলই ব্যবহার করেন তিনি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। এই বর্ষায় জল সঞ্চয়টা নিজের বাড়ির ছাদ থেকেই শুরু করা যেতেই পারে।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।