ছবি কুনাল বর্মণ।
পূর্বানুবৃত্তি: মৌলবি আবদুর রহমানের বাড়িতে কবি মোজাম্মেল হক, নেতা মুজফ্ফর আহমেদ সহ অনেকের সঙ্গে আলাপ হল উষাপতির। সভার বিষয় ছিল, একটা সাহিত্য সমিতি স্থাপন করে, শিক্ষিত সমাজের মধ্যে এই বার্তা দেওয়া যে, মুসলমানরাও সাহিত্য রচনায় পিছিয়ে নেই। সভাতেই উষাপতির সঙ্গে দেখা হল তার ভগিনীপতি রমানাথের দাদা নীলমণি বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। নীলমণির সঙ্গে তার কথা হল বিপ্লবের প্রসঙ্গে, বিপ্লবী অরবিন্দ ঘোষ, অমরেন্দ্রনাথের বিষয়ে, এমনকি উষাপতির ভাগনে শশিকান্তর স্কুলের ব্যাপারেও। সভার শেষে রাস্তায় উষাপতির সঙ্গে দেখা হল নিবারণ দত্তর। নিবারণ নানা কথা বলে তার থেকে দুটো টাকা আদায় করে নিল। অন্য দিকে রমানাথ অনেক দিন থেকেই সন্দেহ করেছিল, তার ভাই উমানাথ বদসঙ্গে মেশে। এ ভাবেই সতর্ক থেকে সে তার ভাইকে পাকড়াও করল মদ এবং চটুল গানের একটি আসরে।
নীলমণির মস্তিষ্কে এখন পরিকল্পনার জাল রচিত হচ্ছে... ছেলেটির হাতের নিশানা ভাল... ছেলেটি সাহসীও বটে...কী যেন নাম... বোধহয় সুরেশচন্দ্র... প্রয়োজন, ভীষণ জরুরি প্রয়োজন ছেলেটিকে...
“বড়দা, উমানাথের কীর্তি দেখো এক বার!” উমানাথকে নিয়ে রমানাথ সোজা উপস্থিত হলেন নীলমণির ঘরে।
নীলমণির চিন্তার সুতোগুলো ছিঁড়ে গেল। উন্মীলিত চোখে তিনি তাকালেন রমানাথের দিকে। পরক্ষণেই চোখ পড়ল উমানাথের দিকে। বললেন, “তুমি মদ খেয়ে এসেছ?”
রমানাথ প্রতিবাদ করে ওঠেন, “আসেনি, আমি ধরে নিয়ে এসেছি। জেঠামশাইয়ের সেই বাগানের ঘরে ইয়ার-বন্ধুদের নিয়ে মদের আসর বসিয়েছিল।”
নীলমণি তাকালেন উমানাথের দিকে। দৃষ্টিতে যেন আগুন ঝরছে। উমানাথ মাথা নামিয়ে নিল। কয়েক মুহূর্তের নিস্তব্ধতা। নীলমণি আরামকেদারা থেকে উঠলেন। দু’-তিন বার পায়চারি করলেন। তার পর আবার স্বস্থানে এসে বসলেন। দেহটা এলিয়ে দিয়ে বললেন, “তোমরা এখন এসো। আমাকে একটু বিশ্রাম করতে দাও।”
রমানাথ উমানাথকে নিয়ে চৌকাঠের বাইরে পা রাখলেন। পিছন থেকে নীলমণির জলদগম্ভীর নির্দেশ এল, “রমানাথ, কাল থেকে উমানাথ যেন পাটের গদিতে যায়। আর তুমি খানিক পরে আমার সঙ্গে দেখা কোরো।”
দরজার বাইরে নিভাননী দাঁড়িয়ে ছিল। উমানাথকে দেখে বলে উঠল, “মদ ধরেছ, এ বার মেয়েমানুষ জোটাও। ওটা আর বাকি থাকে কেন?”
উমানাথ কোনও উত্তর না দিয়ে তার ঘরের দিকে এগিয়ে যায়। এমনিতেই মেজদা গিয়ে তার নেশার দফারফা করেছে। তার উপর আবার বড়দা রোজ বেরোতে বলছে। রোজ যদি বেরোতে হয়, তা হলে তার আমোদের কী হবে?
বড় সুন্দর গান ধরেছিল হালদার। আহা, ছেলেটার গলায় সুর আছে! আচ্ছা, সুর আর সুরা ছাড়া পৃথিবীতে কিছু আছে নাকি? মেজদা, বড়দা এ সব বুঝবে না। মেজদার তবু সুর-তাল জ্ঞান আছে। পাখোয়াজের হাতটা ভালই। বড়দা সুরেও নেই, সুরাতেও নেই। শুধু আছে দেশোদ্ধারে।
তখন থেকেই মন খারাপ করে ঘরে শুয়ে ছিল উমানাথ। প্রায় আধ ঘণ্টা পর তার দরজায় লম্বা ছায়া পড়ল। সেটা লক্ষ করে বিছানায় উঠে বসল উমানাথ। বলল, “এসো বড়দা।”
নীলমণি কোনও উত্তর না দিয়ে নিঃশব্দে ঘরে প্রবেশ করলেন। ঘরের চার দিকে এক বার দৃষ্টি দিয়ে, উমানাথের দিকে তাকালেন। বললেন, “কত দিন যাচ্ছ জেঠামশায়ের বাগানবাড়িতে?”
“আজই গেছি। এর আগে কোনও দিন যাইনি,” উমানাথ বলল।
“মিথ্যে কথা বোলো না। আমি ওখান থেকে এইমাত্র ঘুরে এসেছি। তুমি যে অনেক দিন ধরেই ওখানে আসর বসিয়েছ, তার প্রমাণ আমি পেয়েছি।”
“আসর তো মেজদাও বসায় বাড়িতে, তখন তো তুমি কিছু বলো না।”
“মুখে মুখে কথা বোলো না। আমি সহ্য করতে পারি না। রমানাথ সুরের আসর বসায়। সুরার নয়।”
উমানাথ কোনও উত্তর দেয় না। মাথা নিচু করে বসে থাকে।
নীলমণি আরও বলেন, “কাল থেকে মেজদার সঙ্গে পাটের গদিতে যাবে। কাজ করো, দেখবে অন্য দিকে মন দেওয়ার সময় পাচ্ছ না। পাটের ব্যবসায় আজকাল অনেক লাভ।”
নীলমণি ঘরে ফিরে আসেন। প্রকাণ্ড জানালার সামনে এসে দাঁড়ান। বাইরে ঘন অন্ধকারের দিকে চেয়ে থাকেন অপলক। কেমন একটা শূন্যতা অনুভব করেন মনে। কী নেই তাঁর, যার জন্য এই শূন্যতা বুকে? সন্তান? সে তো অনেকেরই থাকে না। তা হলে? পিতা দ্বিতীয় বার দার পরিগ্রহ করতে বলেছিলেন। নীলমণি রাজি হননি। তাঁর সংসার করতে আর মন চায় না। মনে হয় সব ছেড়েছুড়ে কোনও শান্তির আশ্রমে গিয়ে দিন কাটান।
“বড়দা, আসব?” রমানাথের গলার স্বরে ভাবনার জগৎ থেকে সরে আসেন নীলমণি। জানালা থেকে না সরে, তিনি বলেন, “এসো রমানাথ, তোমার সঙ্গে কথা আছে।”
রমানাথ ঘরে এসে দাঁড়ান।
নীলমণি জানালার কাছ থেকে সরে আসেন। তাঁর বিষণ্ণতা রমানাথের নজর এড়ায় না। রমানাথ বলেন, “বড়দা, তোমার কি শরীর খারাপ?”
নীলমণি এড়িয়ে গেলেন রমানাথের প্রশ্ন। বলেন, “তোমার কত বয়স হল, তুমি জানো?”
রমানাথ বললেন, “হ্যাঁ, জানি। এই বোশেখে পঁয়ত্রিশে পড়ব।”
“স্ত্রীবিয়োগের পর অনেকগুলো বছর তো কাটিয়ে দিলে! তোমার দ্বিতীয় বার দার পরিগ্রহ করতে ইচ্ছে হয় না?” প্রশ্ন করেন নীলমণি।
খানিক নীরব থেকে রমানাথ উত্তর দেন, “বাবা অনেক বারই এ কথা আমাকে বলেছেন।”
“তুমি আগ্রহ দেখাওনি। তাই তো?”
“না, ঠিক তা নয়।”
“তার মানে এ বিষয়ে তোমারও আগ্রহ আছে, তা-ই ধরে নিচ্ছি।”
রমানাথ চুপ করে থাকেন। বলেন, “আমাকে আর একটু ভাবতে দাও।”
“বেশ, তা ভাবো। আসলে কী জানো, তুমি এখন এই সংসারের মাথা। আমি বড় হয়েও সংসারের কোনও দায়িত্ব নিতে পারি না। তোমাকে এখন থেকে এই দায়িত্বভার নিতে হবে। শুধু কোঁচা দুলিয়ে বড়বাজারে গিয়ে পড়ে থাকলেই হবে না। বাড়িতে কার কোথায় অসুবিধে হচ্ছে, দেখাটাও তোমার কাজ। এই যে উমানাথ বদসঙ্গে অভ্যস্ত হচ্ছে, মদ খাওয়া ধরেছে, সেটা তোমার আগেই বোঝা উচিত ছিল। চোখ রাখো রমানাথ, চোখ রাখো। উমানাথ অনেক দিন ধরেই জেঠামশাইয়ের ঘরে যাতায়াত করছে। আমি তার প্রমাণ পেয়েছি।”
“কী ভাবে?” রমানাথের চোখে বিস্ময়।
নীলমণির মুখে মৃদু হাসি, বলেন, “তোমার কাছ থেকে শোনার পর আমি জেঠামশাইয়ের ঘরে যাই। আমার ওই ঘরে যাওয়ার অন্য উদ্দেশ্যও ছিল। সেটা তোমার জানার কথা নয় অবশ্য। আর, তুমি তো জানো, এক সময় কত গেছি ওই ঘরে। তোমরা হয়তো ভাবতে, জেঠামশাইয়ের মতো আমিও তন্ত্রসাধনায় লিপ্ত হচ্ছি। তোমরা ভুল জানতে। জেঠামশাই শুধু তন্ত্রসাধক ছিলেন না, তিনি ছিলেন প্রকৃত দেশপ্রেমিক। আমার প্রথম বিপ্লবের মন্ত্র তাঁর কাছ থেকেই পাওয়া। যাক, যা বলছিলাম— উমানাথ যদি এক-দু’দিন ওখানে গিয়ে থাকে, তা হলে ঘরের চেহারা অন্য রকম হত। রীতিমতো লোক লাগিয়ে পরিষ্কার করেছে উমানাথ। আর আমার কাছে মিথ্যে কথা বলছে, এত সাহস! ওই ঘরে আমি তালাচাবি দিয়ে এসেছি। আর এক দিন যদি ওই ঘরে যাওয়ার চেষ্টা করে উমানাথ, মেরে ওর ঠ্যাং ভেঙে দেব, সেটা ওকে বুঝিয়ে দিয়ো!” নীলমণির মুখটা রাগে থমথম করে।
বাড়িতে সচরাচর বড়দাকে রাগতে দেখেননি রমানাথ। তাই তিনিও একটু অবাক হন। বলেন, “তুমি কিছু চিন্তা কোরো না, বড়দা। আমি উমাকে বুঝিয়ে বলব।”
নীলমণি কোনও উত্তর দেন না।
রমানাথ জিজ্ঞেস করেন, “তুমি কি আর কিছু বলবে আমায়?”
“হ্যাঁ, তোমার শ্যালক উষাপতির সঙ্গে দেখা হয়েছিল আজ। তার মুখেই শুনলাম, শশীর স্কুলটি বোধহয় তত ভাল নয়। তুমি কি স্কুল পরিবর্তনের কথা ভাববে?”
“শশীর স্কুলটি যথেষ্টই ভাল। তুমি শশীকে ডেকে জিজ্ঞেস করতে পারো। স্কুলটি অবৈতনিক হওয়াতেই ওঁদের আপত্তি। তবু তুমি যখন বলছ, আমি এক দিন ওর স্কুলে যাব।”
“আচ্ছা। তুমি এখন এসো।”
রমানাথ ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন।
নীলমণি আবার তাঁর প্রিয় আরামকেদারাটিতে বসেন। মনে পড়ে যায় জেঠামশাইয়ের কথা। সম্পূর্ণ আলাদা ধরনের মানুষ। তাই বোধহয় কারও সঙ্গে মানিয়ে উঠতে পারলেন না। কারও সঙ্গে মিশতেন না, কারও সঙ্গে কথা বলতেন না। কেউ কথা বলতে এলেও, তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতেন। সারা দিন শুধু বিড়বিড় করে কী সব বকতেন। সবাই ভাবল আদিত্যনাথ বাঁড়ুজ্যে আস্ত পাগল।
নীলমণি দেখা করলেন জেঠামশাইয়ের সঙ্গে। তখনও জেঠামশাই এ বাড়িতেই থাকতেন। এ বাড়ির অনেকগুলো ঘরের একটি ছিল আদিত্যনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। নীলমণির স্পষ্ট মনে পড়ে সেই দিনটার কথা। বেশ কিছু দিন যাবৎ জেঠামশাইয়ের পাগলামির মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছিল। খাওয়াদাওয়া বিশেষ করছিলেন না। পিতা বনমালী বন্দ্যোপাধ্যায় কথা বলতে গিয়ে বিড়ম্বনার মধ্যে পড়েছেন। অপমানিত হতে হয়েছে তাঁকে। পিতার আদেশে তাই নীলমণি গিয়েছিলেন জেঠামশাইয়ের কাছে। নীলমণিকে দেখে জেঠামশাইয়ের ভ্রুযুগল কুঞ্চিত হয়েছিল। তবু ঘরে বসতে বলেছিলেন।
নীলমণি মেঝেতে বসেছিলেন। সামনে জেঠামশাই পায়চারি করছিলেন। হঠাৎ নীলমণির সামনে এসে থেমেছিলেন। বলেছিলেন, “আত্মাকে জানো, দেশকে জানো।”
নীলমণির হতচকিত মুখের দিকে তাকিয়ে আরও বলেছিলেন, “পরিশুদ্ধ আত্মাই দেশকে মুক্তি এনে দেবে। তোমার মধ্যে সেই আত্মাই আমি দেখি। তুমি দেশমুক্তির সাধক। যাও ঝাঁপিয়ে পড়ো। বিপ্লবই তোমার মন্ত্র।”
ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন নীলমণি। কেমন একটা অন্য রকম অনুভূতি হচ্ছিল। মনে হচ্ছিল তক্ষুনি যদি কিছু করা যায়। সারা রাত ঘুম হল না। সকালে ঘুম থেকে উঠেই আবার জেঠামশাইয়ের কাছে। নীলমণিকে দেখে জেঠামশাই হাসলেন। যেন তিনি জানতেন ভাইপো আসবে। বললেন, “সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছ? ভেবে দেখো।”
নীলমণি উত্তর দিয়েছিলেন, “আমার ভাবা হয়ে গেছে জেঠামশাই। আর ভাবার দরকার নেই। আমি শুধু ভাবছি, কী ভাবে শুরু করব?”
জ্যাঠামশাই আদিত্যনাথ একটু ভাবলেন। তার পর বললেন, “তুমি ওতরপাড়ার অমরেন্দ্রনাথের সঙ্গে দেখা করো। সে-ই তোমাকে পথ বলে দেবে।”
দেশ জুড়ে তখন স্বদেশি আন্দোলনের ঢেউ। অমরেন্দ্রনাথ তাকে দায়িত্ব দিলেন হাতে তৈরি কাপড় বিক্রি করার। সেই শুরু। তার পর একটু একটু করে কেমন ভাবে জড়িয়ে গেলেন ইংরেজ-বিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে। জেঠামশাই খোঁজ নিতেন আন্দোলনের গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে। উল্লাসকর দত্ত, যাদুগোপাল মুখোপাধ্যায়, যতীন দাস, এমনকি বারীন ঘোষও ছিলেন তাঁর পরিচিত।
নীলমণি বুঝে উঠতে পারলেন না, জেঠামশাইয়ের জীবনের উদ্দেশ্যটা ঠিক কী ছিল। তিনি কি অর্ধোন্মাদ বেশে এক জন বিপ্লবীই ছিলেন? কে জানে? জেঠামশাইকে জিজ্ঞেস করেও এর কোনও উত্তর পাননি নীলমণি। তবু তাঁর মনে হয়, জেঠামশাইয়ের হৃদয়ও দেশের জন্য নিবেদিত ছিল। না হলে, কেন এমন কথা বলেছিলেন সেই দিন?
জেঠামশাইয়ের মৃত্যুর দু’দিন আগে, নীলমণি যখন তাঁর ঘরে দেখা করতে গিয়েছিলেন, জেঠামশাই তাঁর দেরাজের চাবি হাতে তুলে দিয়ে বললেন, “দেরাজ খুললেই একটি যন্ত্র পাবে। এখন থেকে সময়বিশেষে যন্ত্রটিকে সঙ্গে রেখো।”
দেরাজ খুলে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন নীলমণি। দেরাজের কোণে ঘুমিয়ে আছে একটি মাউজ়ার পিস্তল। সেটি নিয়ে জেঠামশায়ের কাছে এলে, তিনি বললেন, “দিয়ে গেলাম। হয়তো কাজে লাগবে।”
সেই শেষ কথা জেঠামশাইয়ের। জেঠামশাইয়ের দেহ দাহ করে এসে নীলমণি দেরাজ খুলে স্পর্শ করেছিলেন পিস্তলটিকে। আজও খানিক আগে স্পর্শ করলেন। দেরাজের মধ্যে ঘুমিয়ে আছে, থাক। হয়তো সত্যিই এক দিন জাগাতে হবে ওকে।
নিঃশব্দে ঘরে প্রবেশ করলেন নিভাননী। সেটা টের পেয়ে উঠে বসলেন নীলমণি। বললেন, “সে কি আজও আসেনি কালীঘাটের বাপের বাড়ি থেকে?”
নিভাননী নীলমণির জন্য বিছানা করতে করতে বললেন, “বাপের বাড়ি না ছাই! আছে তো দুটো মাতাল দাদা। কী খাতির-যত্ন পায় তা জানা আছে।”
নীলমণি হাসেন। বলেন, “আমার উপর রাগ করে যায়। বিয়ে করাই আমার উচিত হয়নি। দেখি কাল এক বার যদি কালীঘাটে যাওয়া যায়।”
নিভাননী বলেন, “খুব তো রমাকে বলছিলে বে করার কথা। রমার না-হয় বৌ নেই। আর তোমার যে বৌ থেকেও নেই। বাঁজা মেয়েছেলেকে নিয়ে ঘর করছ! এত দিন একটাও বাচ্চাকাচ্চা হল না।”
ক্রমশ