জুতসই ছিল না আলাপের শুরুটা। তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় ‘আমার সাহিত্যজীবন’-এ লিখেছেন, “আমার প্রথম গল্প রসকলি সর্বাগ্রে আমি প্রবাসীতেই পাঠিয়েছিলাম, আটমাস পড়ে ছিল ‘প্রবাসী’-র দপ্তরে; এর মধ্যে অন্তত আট জোড়া রিপ্লাই-কার্ড অবশ্যই আমি লিখেছিলাম এবং প্রত্যুত্তরে একই বাঁধা গৎ— ‘গল্পটি সম্পাদকের বিবেচনাধীন আছে…’ নীচে সই থাকত তাঁরই— ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়।”
শেষ পর্যন্ত এক দিন কলকাতায় এসে ‘প্রবাসী’ দফতরে গেলেন বিরক্ত তারাশঙ্কর, লেখাটি ফেরত নিতে। গিয়ে দেখেন, ছোট করে ছাঁটা চুল, সবল দেহ, নির্ভীকদৃষ্টি এক জন দরজার দিকে মুখ করে বসে আছেন। লেখা ফেরতের কথা বলতে, “গম্ভীর স্বরে প্রশ্ন করলেন—‘লেখার নাম? আপনার নাম?’ উত্তর দিতেই বিনাবাক্যব্যয়ে ফাইল বের করে কয়েক মিনিটের মধ্যেই লেখাটি দিয়ে দিলেন। তারপর আবার নিজের কাজে মন দিলেন।” এমন ব্যবহারে ক্ষুব্ধ তারাশঙ্কর গল্পটি দিলেন ‘কল্লোল’-এ, ১৩৩৪-এর ফাল্গুনে কল্লোলে বেরল ‘রসকলি’। তবে, সেই ছোট করে ছাঁটা চুল, সবল দেহ, নির্ভীকদৃষ্টি মানুষটির প্রতি তারাশঙ্করের জমে ওঠা ক্ষোভও মিটল কিছু দিন পরেই। অনুঘটকের কাজ করলেন সজনীকান্ত দাস। তিনি এক দিন তারাশঙ্করকে ‘প্রবাসী’-র জন্য একটি গল্প দিতে বললেন। তারাশঙ্কর খানিক ইতস্তত করে রসকলির অভিজ্ঞতার কথা জানালেন। সজনীকান্ত আশ্বস্ত করলেন, “এখন আর তা হবে না। আগের ব্যাপারে চিঠিতে সই করে ব্রজেনদা সব দায়টা ঘাড়ে করলেও দায়ী তিনি নন। কারণ গল্প নির্বাচন করেন অন্য লোকে।” সজনীকান্তের অনুরোধে ব্রজেনবাবুর হাতে গল্প দিলেন তারাশঙ্কর— ‘ঘাসের ফুল’। কবে নাগাদ খবর নেবেন গল্পটির ভবিষ্যৎ বিষয়ে? তারাশঙ্করের প্রশ্ন শুনে ব্রজেন্দ্রনাথ বললেন, “খবর? একটু হাসি তাঁর মুখে যেন খেলে গেল।… নেবেন। আবারও একটু হাসলেন, সঙ্গে সঙ্গে একটু দুললেন, এটি ছিল তাঁর স্বাভাবিক ভঙ্গি। লেখাটি সেই সংখ্যাতেই বেরিয়েছিল।”—লিখেছেন তারাশঙ্কর।
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ গবেষক-লেখক, বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ-এর প্রাণপুরুষ ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম ১৮৯১-এর ২১ সেপ্টেম্বর, তদানীন্তন হুগলির বালি কাঠগড়া লেনে। ১৮৯৩-এ যখন মৃত্যু হচ্ছে বাবা উমেশচন্দ্রের, ব্রজেন্দ্রনাথের বয়স তখন দুইও হয়নি। আর বছর বারোর মধ্যে ১৯০৩-এ প্রয়াত হলেন মা হেমাঙ্গিনী। প্রথমে ব্যান্ডেলের কনভেন্ট সংলগ্ন ইঙ্গ-বঙ্গীয় বিদ্যালয়, তার পর চুঁচুড়ার ইউনাইটেড ফ্রি চার্চ ইনস্টিটিউশনে লেখাপড়া শুরু ব্রজেন্দ্রনাথের। মেধাবী ছাত্র। কিন্তু অচল সংসারে কত দিন আর টানা যায় লেখাপড়া! অতএব, ছাড়তে হল নাইনেই। কাজের সন্ধানে চলে এলেন কলকাতায়, বলরাম দে স্ট্রিট সংলগ্ন বামুনপাড়া লেনে। এসেই ভর্তি হলেন ক্যান ফোনেটিক স্কুলে, টাইপ শিখতে। সঙ্গে চলল শর্টহ্যান্ড চর্চা। শর্টহ্যান্ড শিক্ষায় সাহায্য পেলেন মামাতো ভাই সতীশচন্দ্র গঙ্গোপাধ্যায়ের। মাত্র ১৭ বছর বয়সেই বারো টাকা মাইনের টাইপিস্টের কাজ জুটে গেল ‘ই কাওয়েন’ নামে এক ইহুদি চুরুট ব্যবসায়ীর সংস্থায়, ১৯০৮-এ। কর্মদক্ষতায় অল্প দিনের মধ্যেই বিখ্যাত জেমস ফিনলে কোম্পানির উঁচু পদে নিযুক্ত হলেন ১৯১১ সালে। এখান থেকে আরও বড় সংস্থা জে বি নর্টন কোম্পানিতে যোগ দিলেন ১৯১৬ সালে। এখানে ১৯২৮ পর্যন্ত বারো বছর কাজ করেছেন। ১৯২৯ সালে ‘প্রবাসী’ ও ‘মডার্ন রিভিউ’ পত্রিকার সহ-সম্পাদক হন। সওদাগরি অফিসের তথাকথিত কেরানির পদ পেলেন, এবং জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত সে অবস্থানে অটুট ছিলেন ব্রজেন্দ্রনাথ। এখানেই প্রেস ম্যানেজার সজনীকান্ত দাসের সঙ্গে তাঁর সংঘাত, তীব্র বিরোধ, অবশেষে মধুর বন্ধুতার কথা ইতিহাস জানে।
সওদাগরি অফিসের প্রবল কর্মব্যস্ততার মধ্যেও ব্রজেন্দ্রনাথের কলম থেমে থাকেনি। মাত্র আঠেরো বছর বয়সে ব্রজেন্দ্রনাথের প্রথম রচনা ‘স্বপ্ন-প্রসঙ্গ’ প্রকাশিত হয় ‘জাহ্নবী’ পত্রিকায়। বছর দুয়েকের মাথায় ১৩১৯ বঙ্গাব্দে (১৯১২) বেরোল ‘বাঙ্গলার বেগম’— বাংলার ছ’জন বেগমের কাহিনি আছে বইটিতে। প্রকাশের পর অত্যুৎসাহে ঐতিহাসিক যদুনাথ সরকারের কাছে বইটি পাঠান ব্রজেন্দ্রনাথ। যদুনাথ বললেন, “বইখানা পড়িয়া দেখিলাম, উহা উপন্যাস মাত্র, ইতিহাস নহে।” ভর্ৎসনায় বিরূপ না হয়ে ব্রজেন্দ্র যদুনাথের কাছে গিয়ে জানতে চাইলেন ঐতিহাসিক কাহিনি রচনার কৌশল। যদুনাথ তাঁকে অক্সফোর্ড থেকে প্রকাশিত ‘হিস্টোরিক্যাল এভিডেন্স’ বইটি পড়তে দিলেন। ব্রজেন্দ্রনাথের সামনে খুলে গেল নতুন পথ। শিখলেন গবেষণা-সংক্রান্ত লেখার ধরন। পর পর লিখতে শুরু করলেন ‘নূরজাহান’, ‘বেগম সমরু’, ‘মোগল যুগে স্ত্রী শিক্ষা’, ‘দিল্লীশ্বরী’, ‘রাজা রামমোহন রয়েজ় মিশন টু ইংল্যান্ড’, ‘শিবাজী মহারাজ’, ‘বিদ্যাসাগর প্রসঙ্গ’ প্রভৃতি একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বই। ‘প্রবাসী’-র সহ-সম্পাদক হওয়ার আগেই লেখা হয়ে গিয়েছিল বইগুলি। ব্রজেন্দ্রনাথের নিষ্ঠায় মুগ্ধ যদুনাথ বাংলা ও দেশের মহাফেজখানায় ব্রজেন্দ্রনাথের কাজের জন্য প্রয়োজনীয় ছাড়পত্রের ব্যবস্থা করে দিলেন। ‘মোগল পাঠান’ নামক শিশুপাঠ্য বইয়ের সপ্রশংস ভূমিকাও লিখলেন যদুনাথ। রামমোহন সম্পর্কে তাঁর গবেষণা পণ্ডিত-মহলে আলোড়ন তুলল। এ বার হাত দিলেন আরও বড় কাজে। শোভাবাজার রাজবাড়িতে সন্ধান পেলেন বাংলার অন্যতম প্রাচীন সংবাদপত্র ‘সমাচার দর্পণ’-এর। পরম নিষ্ঠা আর গভীর ইতিহাসবোধ নিয়ে ব্রজেন্দ্রনাথ সর্বসমক্ষে আনলেন বাংলা সাময়িকপত্রের প্রামাণ্য ইতিহাস। দেখালেন, উনিশ শতকের সমাজ আর মানুষের আশ্চর্য আরশি। তখন তাঁর বয়স তেতাল্লিশ। লিখলেন ‘সংবাদপত্রে সেকালের কথা’ (দু’খণ্ড)। প্রথম খণ্ডে ১৮১৮ থেকে ১৮৩০ পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় খণ্ডে ১৮৩০-১৮৪০ সংবাদ সঙ্কলিত হয়েছে। প্রথম খণ্ডের ভূমিকায় ব্রজেন্দ্রনাথ লিখেছেন— “এই পুস্তকে উদ্ধৃত সংবাদপত্রের বিবরণগুলিতে যে-যুগের পরিচয় পাওয়া যাইবে, সেটি বাংলা দেশ ও বাঙালী-সমাজের পক্ষে একটি স্মরণীয় যুগ।… বর্ত্তমান পুস্তকে সেই ইতিহাস লিখিবার চেষ্টা করা হয় নাই,— মালমশলা সংগ্রহ করা হইয়াছে মাত্র…” বাঙালি আর বাঙালি-সমাজের জন্য যে মালমশলা তিনি সংগ্রহ করে গিয়েছেন একার উদ্যোগে, তা আজ এবং ভবিষ্যতের জন্যও বিরাট সম্পদ। তাঁর ‘বঙ্গীয় নাট্যশালার ইতিহাস’, ‘দেশীয় সাময়িকপত্রের ইতিহাস’ প্রভৃতি বইগুলির কথা আমরা জানি। কিন্তু ‘সাহিত্য সাধক চরিতমালা’-র মতো বইয়ের স্রষ্টার জন্য কোনও বিশেষণই যেন যথাযথ নয়। বাংলার সাহিত্য-ব্যক্তিত্বদের জীবন এবং কীর্তি চিনিয়ে দিতে লেখা এই বই আজও বাংলা সাহিত্যের এক অমূল্য সম্পদ।
বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ-এর সঙ্গে ব্রজেন্দ্রনাথের সম্পর্কের কথা না বললে অসম্পূর্ণ থেকে যাবে তাঁর যাপনচিত্র। পরিষদের সঙ্গে তিনি যুক্ত হন ১৯৩০ (১৩৩৭ বঙ্গাব্দ) সালে। তখন পরিষদের সভাপতি ছিলেন হীরেন্দ্রনাথ দত্ত, সম্পাদক যতীন্দ্রনাথ বসু এবং পত্রিকা সম্পাদক সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়। দু’বছরের মাথায় তিনি কার্যনির্বাহক সমিতির সদস্য হন। এর পর নিজের যোগ্যতায় পরিষদ-সম্পাদক পর্যন্ত নির্বাচিত হন। ১৯৩২ থেকে ১৯৫২ এই একুশ বছরের পরিষদের যুগকে ‘ব্রজেন্দ্র-যুগ’ বলে উল্লেখ করে জগদীশ ভট্টাচার্য তাঁর ‘ব্যক্তিগত ব্রজেন্দ্রনাথ’ নামক রচনায় আরও জানিয়েছেন, “আমরা বলেছি, ১৯৩২ থেকে ১৯৫২— এই একুশ বৎসর পরিষদের ‘ব্রজেন্দ্র-যুগ’। এই উক্তি সংশোধন করে বলা যায়, এই কালসীমার প্রথম দু-এক বৎসর বাদ দিয়ে এই যুগ ‘ব্রজেন্দ্র-সজনীকান্ত’ যুগ।” উভয়ের সম্পাদনায় আঠারো-উনিশ শতকের সাহিত্য সাধকদের রচনাবলি প্রকাশিত হয়েছে। এঁদের মধ্যে ভারতচন্দ্র থেকে রামমোহন, বিদ্যাসাগর, বঙ্কিমচন্দ্রের রচনা যেমন আছে, তেমন আছে রামেন্দ্রসুন্দর, শরৎকুমারী চৌধুরানী বা বলেন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচনা। উল্লেখ্য, ‘আলালের ঘরের দুলাল’, ‘হুতোম প্যাঁচার নকশা’, ‘সারদামঙ্গল’, ‘স্বর্ণলতা’ প্রভৃতি বইও সম্পাদনা করেন তাঁরা। রমাকান্ত চক্রবর্তী ‘সাহিত্যসাধক-চরিতকার ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়’ শীর্ষক রচনায় লিখেছেন, “মৃত্যুকাল পর্যন্ত গবেষণা করার যে নজির ব্রজেন্দ্রনাথ রেখে গিয়েছেন, তা এক কথায় অসাধারণ।” তাঁর রচনার একটি তালিকায় নজর দেওয়া যেতে পারে— মৌলিক বইয়ের সংখ্যা ৩৮, সাহিত্য সাধক চরিতমালা ৯৫, সম্পাদিত দুষ্প্রাপ্য বই ১১, সজনীকান্ত দাসের সহযোগিতায় সম্পাদিত বই ২৩, বাংলা ভাষায় লেখা প্রবন্ধ ৪২৬, ইংরেজিতে লেখা প্রবন্ধ ৭২। হয়তো আরও কিছু লেখা ছড়িয়ে আছে কোথাও।
১৯৪৮ থেকে ১৯৫২, জীবনের শেষ চার বছরে ব্রজেন্দ্রনাথের গবেষণায় তথ্য-সংগ্রহকারী হিসেবে কাজ করেছেন তাঁর দৌহিত্র, ব্যবহারজীবী বিশ্বনাথ রায়। বিশ্বনাথ লিখেছেন, “তিনি (ব্রজেন্দ্র) তাঁহার বাষট্টি বৎসর জীবনকালের মধ্যে বাংলা সাহিত্যকে এক নতুন দিশা দেখাইয়াছেন… ব্রজেন্দ্রনাথের নিজের কথায়: আমি মহাসমুদ্রের তলদেশ হইতে অমূল্য মণিমাণিক্য তুলিয়া মালাকারদের (সাহিত্য গবেষক) হাতে মালা গাঁথার জন্য দিব এবং সেই মালা বাংলা সাহিত্যের গলায় পরাইয়া উহার শ্রীবৃদ্ধি ঘটাইব।… আমি সাহিত্যসাধক নহি। আমি সাহিত্যসেবক মাত্র।” এই সেবকের ঋণ বাংলা সাহিত্য চিরকাল স্বীকার করে যাবে। প্রসঙ্গত, রমাকান্ত চক্রবর্তীর পূর্বোক্ত রচনায় করা একটি মন্তব্য স্মরণ করা যেতে পারে— “ব্রজেন্দ্রনাথ কুম্ভীলকদের প্রায় সর্বনাশ করেছেন। তাঁর গবেষণা, তাঁর মৌলিক রচনাবলী প্রশ্নাতীত সততার দ্বারা বিশিষ্ট। তাঁর ঋণ স্বীকার না করলেও চলে; কিন্তু সর্বত্র ঋণ স্বীকার করেছেন।”
স্ত্রী বীণাপাণিকে বড় ভালবাসতেন ব্রজেন্দ্র। দীর্ঘ কাল একই বাড়ির বাসিন্দা তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, “সন্তানসন্ততিহীন জীবন ও সংসার। স্বামী এবং স্ত্রী পরস্পরকে নিবিড় ভালোবাসায় জড়িয়ে ধরেছেন, পরস্পরের জন্য কী ব্যাকুলতা, কী চিন্তা! তারই মধ্যে মাঝে মাঝে সজনীকান্তের শিশুকন্যা রমাকে নিয়ে কত সমাদর!... কখনও হাসি আসত এই প্রৌঢ় দম্পতির ছেলেমানুষি দেখে, কখনও চোখে জল আসত। বুঝতে পারতাম— মনে হত একটা শূন্য ঘরে অনন্ত শূন্যের বাতাস ভরে এসে ঢুকছে দীর্ঘনিশ্বাসের মতো।” শেষ দিকে মানসিক রোগে আক্রান্ত হন বীণাপাণি, বছরে কয়েক মাস অসুস্থ থাকতেন। তাঁকে মানসিক হাসপাতালে পাঠিয়ে ব্রজেন্দ্র অপেক্ষা করতেন, কবে সুস্থ হয়ে ফিরবেন তাঁর বীণাপাণি!
সেই ভালবাসাও ফুরোল। করোনারি থ্রম্বোসিসে আক্রান্ত হয়ে ৫৫ নম্বর ইন্দ্র বিশ্বাস রোডের বাড়িতে, ৬১ বছর বয়সে চলে গেলেন বাংলা সাহিত্যের এই বিশিষ্ট গবেষক। পড়ে রইল তাঁর অন্তহীন কাজ, ক্লান্তিহীন শ্রম শ্বাস ফেলল অজস্র বইয়ের পাতায়। সে তারিখটি ছিল ৩ অক্টোবর, ১৯৫২।
ঋণ: সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা, ৯৫ বর্ষ, ৩য়-৪র্থ, ৯৬-১০০ বর্ষ যুগ্ম সংখ্যা [১৩৯৫-১৪০০]; আমার সাহিত্য-জীবন- তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়; সাহিত্য সেবক ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়- বিশ্বনাথ রায়; ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়- দেবজ্যোতি দাস