Bengali Feature

প্রয়াত লেখকের লেখায় যুগোপযোগী কাটাছেঁড়া

ভাল-মন্দ, উচিত-অনুচিতের ধারণা বদলাচ্ছে। তাই পুরনো লেখার নতুন সম্পাদনা প্রয়োজন। এই যুক্তিতে বিশিষ্ট সাহিত্যিক রোয়াল্ড ডালের লেখায় বদলে দেওয়া হচ্ছে ওজন, সৌন্দর্য, মানসিক স্বাস্থ্য, জাতি সম্পর্কিত অজস্র অংশ। লেখাগুলো কি আর তাদের সময়ের বৈশিষ্ট্য তুলে ধরতে পারবে? 

Advertisement

অতনু বিশ্বাস

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০২৩ ০৮:৪৮
Share:

গল্পকার: রোয়াল্ড ডাল। (ছবি: গেটি ইমেজেস)। ডান দিকে, তাঁর বই ‘চার্লি অ্যান্ড দ্য চকলেট ফ্যাক্টরি’-তে তিনি বেশ কিছু বদল ঘটিয়েছিলেন জীবদ্দশাতেই। কিন্তু তাঁর অবর্তমানে লেখায় বদল নিয়ে তীব্র আপত্তি ছিল তাঁর।

রোয়াল্ড ডাল বিখ্যাত শিশু সাহিত্যিক। বেঁচে থাকাকালীনই দুনিয়ার এক নম্বরের তকমা পেয়েছেন। মৃত্যুর বত্রিশ বছর পরে তাঁকে তোলা হয়েছে বিচারের কাঠগড়ায়। বিচারে সাজাও হয়েছে কিংবদন্তি শিশু সাহিত্যিকের— তাঁর লেখার শব্দ, বর্ণনা, এমনকি চরিত্র চিত্রণেও ঘটানো হয়েছে শত শত বদল— যাতে ‘আজকের দিনে সবাই তা উপভোগ করতে পারে।’

Advertisement

রোয়াল্ড ডালের সঙ্গে ব্রিটিশ চিত্রকর ফ্রান্সিস বেকনের চল্লিশ বছরের পুরনো এক আলাপচারিতা ব্যাপক প্রচার পেয়েছে সম্প্রতি। কথোপকথনটা ঘটেছিল বাকিংহামশায়ারের গ্রেট মিসেনডেনে, লেখকের বাড়িতে। চিত্রকরের প্রশ্নের জবাবে লেখক বলছেন, তাঁর মৃত্যুর পরে যদি প্রকাশকরা তাঁর লেখার কোনও রকম পরিবর্তন করে, তবে তিনি চাইবেন বজ্রের দেবতা থর যেন তাঁর ‘মিয়লনিয়র’ নামের হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করেন তাঁদের মাথায়। অথবা তিনি নিজেই ‘সুবিশাল কুমির’ পাঠাবেন তাঁদের গিলে খাবার জন্য।

কী পরিবর্তন ঘটানো হয়েছে রোয়াল্ড ডালের লেখায়? বদলে দেওয়া হয়েছে ওজন, সৌন্দর্য, মানসিক স্বাস্থ্য, সহিংসতা, লিঙ্গ এবং জাতি সম্পর্কিত শয়ে শয়ে অংশ। যেমন, ‘চার্লি অ্যান্ড দ্য চকলেট ফ্যাক্টরি’-তে অগস্টাস গ্লুপ আগে ছিল ‘বিশাল মোটা’ (এনরমাসলি ফ্যাট), এখন সে শুধুমাত্র ‘বিশাল’ (এনরমাস)। সুপারমার্কেটের ক্যাশিয়ার হওয়া বা কোনও ব্যবসায়ীর চিঠি টাইপ করার পরিবর্তে, ‘দি উইচেস’ গল্পের আপাত-সাধারণ অতিপ্রাকৃত ভদ্রমহিলা, এখন একটি কোম্পানি পরিচালনা করতে পারেন বা হতে পারেন এক জন শীর্ষ বিজ্ঞানী। ‘জেমস অ্যান্ড দ্য জায়ান্ট পিচ’-এ ‘ক্লাউড-মেন’ এখন ‘ক্লাউড-পিপল’। ‘দ্য টুইটস্‌’ গল্পের মিসেস টুইট আগে ছিলেন ‘কুৎসিত এবং বিশ্রী’ (আগলি অ্যান্ড বিস্টি), আর এখন শুধুই ‘বিশ্রী’ (বিস্টি)। ‘দি এনরমাস ক্রোকোডাইল’-এ আগে বলা ছিল ‘আমরা ছোট ছেলেমেয়েদের খাই’, তা বদলে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ‘আমরা ছোট বাচ্চাদের খাই’। ‘ম্যাটিল্ডা’ পড়ত রুডিয়ার্ড কিপলিং-এর বই। পরিবর্তিত ম্যাটিল্ডা এখন পড়ছে জেন অস্টেনের লেখা। পরিবর্তিত সংস্করণে ম্যাটিল্ডা কিপলিং-এর সঙ্গে ভারতেও আসছে না। মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সমাজের সচেতনতা বাড়ার জন্যই হয়তো ছেঁটে ফেলা হয়েছে ‘ম্যাড’ কিংবা ‘ক্রেজ়ি’র মতো বেশ কিছু শব্দও।

Advertisement

কিন্তু রোয়াল্ড ডাল তো আর যে-সে লেখক নন! অন্তত ৬৮টা ভাষায় অনূদিত হয়েছে তাঁর লেখা। তাঁর লেখা বইয়ের অন্তত ৩০ কোটি কপি বিক্রি হয়েছে দুনিয়া জুড়ে। ২০২১-এও ‘ফোর্বস’-এর বিচারে তিনি প্রয়াত সেলিব্রিটি হিসেবে দুনিয়ার সবচেয়ে বেশি রোজগেরে। এহেন রোয়াল্ড ডালের লেখায় কাঁচি চালালে কিঞ্চিৎ হইচই তো হবেই। সলমন রুশদির মতো বুকার প্রাইজ-বিজয়ী লেখক, যিনি ভালই জানেন সেন্সরশিপ নিয়ে বিতর্কটা ঠিক কী বস্তু, তিনি পর্যন্ত রোয়াল্ড ডালের লেখায় এই বদলকে বলে বসলেন ‘অবাস্তব সেন্সরশিপ’। লন্ডনের সানডে টাইমস পত্রিকার উপ-সাহিত্য সম্পাদক লরা হ্যাকেট একে বললেন ‘জঘন্য অস্ত্রোপচার’। প্রায় ৭,৫০০ লেখকের সম্প্রদায়— মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষপাতী মার্কিন সংস্থা ‘পেন আমেরিকা’— হয়ে পড়েছে শঙ্কিত। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক পর্যন্ত শব্দ নিয়ে এ রকম ছটফটানির বিরোধিতা করেছেন।

লেখকের লেখায় প্লাস্টিক সার্জারির এ ধরনের প্রচেষ্টা অবশ্য নতুন নয় একেবারেই। সেই ১৮০৭ সালেই ব্রিটিশ চিকিৎসক টমাস বাউডলার প্রকাশ করেন ‘দ্য ফ্যামিলি শেক্সপিয়র’ নামে শেক্সপিয়রের কুড়িটি নাটকের এক বিশোধিত সংস্করণ, যা প্রস্তুত হয়েছিল (তাঁদের বিবেচনা মতে) পরিবারে, বিশেষ করে মহিলা ও শিশুদের সামনে, উচ্চস্বরে পড়া যায় না এমন শব্দ এবং অভিব্যক্তিগুলিকে বাদ দিয়েই। সেই থেকে, ‘বাউডলারাইজিং’ শব্দটিই প্রযুক্ত হয়ে চলেছে সাহিত্য, চলচ্চিত্র এবং টেলিভিশন থেকে নৈতিক কারণে শিশুদের জন্য অনুপযুক্ত মনে করা কোনও কিছুকে ছেঁটে ফেলার প্রক্রিয়ার বর্ণনায়।

শেক্সপিয়রই শুধু নন, নামজাদা লেখকদের লেখার ‘বাউডলারাইজিং’-এর অজস্র উদাহরণ ছড়িয়ে রয়েছে সভ্যতা জুড়ে। যেমন, আর এক জবরদস্ত ব্রিটিশ শিশু সাহিত্যিক এনিড ব্লাইটনের লেখার সমালোচনা এবং সে নিয়ে বিস্তর কাঁটাছেঁড়া হয়েছে গত চার দশকে। ‘দ্য ফারঅ্যাওয়ে ট্রি’ এবং ‘দ্য ফেমাস ফাইভ সিরিজ়’ নিয়ে। এই তো ২০২১-এই বলা হল, দিকপাল আমেরিকান শিশু সাহিত্যিক ডঃ সিয়াসের ছয়টি বই নাকি আর ছাপা হবে না, বইগুলোর উপর জাতিগত অসংবেদনশীলতার চিত্রায়ণের অভিযোগ। এ নিয়ে তীব্র আলোড়ন হয়, প্রকাশনা বন্ধ করাকে ‘বাতিল সংস্কৃতি’র উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন অনেকেই। টিনটিনের গল্প ‘টিনটিন ইন দ্য কঙ্গো’ অথবা আগাথা ক্রিস্টির হত্যারহস্য ‘অ্যান্ড দেন দেয়ার ওয়্যার নান’-এর উপরেও জাতিবিদ্বেষের অভিযোগ উঠেছে বারবার। বাংলায় এমনকি রবীন্দ্রনাথ, নজরুলের মতো কবি-লেখকের বহু শব্দ দুই বাংলায় দু’রকম ছাপা হয়, এতো আমরা জানিই। যেমন, আমরা পড়েছি ‘নব-নবীনের গাহিয়া গান/ সজীব করিব মহাশ্মশান’, বাংলাদেশে সংস্করণে তা ‘গোরস্থান’। তাই লেখকের লেখা বদলানোর পিছনে সামাজিক-রাজনৈতিক-ধর্মীয় নানা ধরণের কারণ থাকাই সম্ভব।

ঘটনা হল যে, রোয়াল্ড ডালের লেখায় কিছু বদল ঘটেছে তাঁর জীবনকালেই, তাঁর সম্মতি নিয়েই। ‘চার্লি অ্যান্ড দ্য চকলেট ফ্যাক্টরি’র ১৯৬৪-র মূল সংস্করণে উম্পা-লুম্পারা ছিল কালো পিগমি। মেল স্টুয়ার্টের ১৯৭১-এর চলচ্চিত্রে তারা হয়ে গেল সবুজ চুল এবং কমলা চামড়ার চরিত্র। আর বইটির ১৯৭৩-এর সংস্করণে এদের বর্ণনা করা হয়েছে ‘ছোট্ট কাল্পনিক প্রাণী’ হিসেবে। এই সব পরিবর্তনগুলি করা হয়েছিল ‘ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য অ্যাডভান্সমেন্ট অব কালারড পিপল’ এবং শিশুসাহিত্যের পেশাদারদের চাপে।

কিন্তু এক জন লেখক তাঁর জীবনকালে নিজে যদি লেখায় পরিবর্তন করেন বা বদল ঘটাতে সম্মতি দেন, সেটা এক বিষয়। লেখকের মৃত্যুর পর তাঁর লেখায় বিশৃঙ্খল অস্ত্রোপচার স্পষ্টতই এক ভিন্ন সংস্কৃতি। মূল প্রশ্ন অবশ্যই এই যে, লেখকদের লেখার এই ধরনের সম্পাদনা হওয়া উচিত কি না, বিশেষ করে তাঁদের মৃত্যুর পরে। এটা ঠিক যে, রোয়াল্ড ডাল বারবার তোপের মুখে পড়েছেন তাঁর ইহুদিবিদ্বেষের জন্য। সলমন রুশদি যেমন বলেছেন, ডাল কোনও দেবদূত নন। কিন্তু তা বলে কি তাঁর লেখা বদলে ফেলা যায়? তাঁর ১৯৮২-র অধুনা বহুল-প্রচারিত বৈঠকে ডাল ফ্রান্সিস বেকনকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন, কোনও শিল্পীর মৃত্যুর পরে তাঁর মূল কাজের কোনও পরিবর্তন হওয়া উচিত নয়। সেই সঙ্গে তিনি ঈশ্বরের কাছে আশা করেছিলেন যে তাঁর ক্ষেত্রে এমনটা যেন কখনই না ঘটে।

এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করা যেতে পারে, আফ্রিকানদের বর্ণবৈষম্যমূলক প্রসঙ্গের অভিযোগে ‘টিনটিন ইন দ্য কঙ্গো’ বইটি নিষিদ্ধ করার অনুরোধ নিয়ে বহুচর্চিত মামলা হয় বেলজিয়ামের এক আদালতে। ২০১২-তে বেলজিয়ান আদালত খারিজ করে মামলাটা। বলে, বইটি এমন সময়ে লেখা হয়েছিল যখন ঔপনিবেশিক ধারণাগুলি প্রচলিত ছিল, এবং ভীতিকর, প্রতিকূল, অবমাননাকর বা অপমানজনক পরিবেশ তৈরি করার লক্ষ্য ছিল না বইটির। বেলজিয়ামের আদালতের এই রায় কি বিভিন্ন পরিস্থিতিতে একটা টেমপ্লেট হিসেবে কাজ করতে পারে? একটি বইকে হয়তো একটি নির্দিষ্ট ঐতিহাসিক সময়ের উপস্থাপনা হিসেবেই দেখা উচিত। সময়কালটা সেখানে সবিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। সময়ই তার আসল চরিত্র।

বই কি সত্যিই তার সময়ের ইতিহাস আর সংস্কৃতিকে তুলে ধরে না? সেই সঙ্গে, সাহিত্য সমাজে যে সমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গির প্রসার ঘটায় এই ধরনের সেন্সরশিপ, তাকে ঢেকে ফেলে অস্পষ্ট আবছায়ায়। অনেকে মনে করেন, সেন্সরশিপের বদলে বইগুলির শুরুতে বরং ‘ডিসক্লেমার’ দেওয়া যেতে পারে যে, এগুলো তাদের সময়ের প্রতিফলন এবং বর্তমানের নিরিখে সুপ্রযোজ্য নাও হতে পারে। ঠিক যেমন ওয়ার্নার ব্রাদার্স তাদের কিছু কার্টুনের শুরুতে ‘ডিসক্লেমার’ ব্যবহার করে, দর্শকদের মনোভাব এবং ভাষা সম্পর্কে অবহিত করে। তা হলে কি এই ভাবে ইতিহাস পুনর্লিখনের চেষ্টা না করে, প্রাপ্তবয়স্কদেরই উচিত শিশুদের পুরনো সময়ের বৈশিষ্ট্য বুঝতে সাহায্য করা? এ বিতর্ক চলতেই থাকবে।

এ ভাবে যদি দীর্ঘকাল আগে প্রয়াত লেখকদের কাজ অন্যরা বদলে দিতে থাকে, দেখা যাবে যে এ ধরনের সাহিত্য এবং তা নিয়ে বিক্ষুব্ধ সংবেদনশীলতা উভয়ই অন্তহীন। আর কতটা দূর অতীত বদলানোর কথাই বা ভাবা যাবে? মিল্টন? ভলতেয়ার? মেকিয়াভেলি? কৌটিল্য? বাইবেল? মহাকাব্যগুলি? এটাও তো ঠিক যে, বইগুলো যদি এ ভাবে বদলানো হয়, তবে সেগুলো আর মৌলিক থাকে না।

রোয়াল্ড ডালের লেখা সম্পাদনা প্রসঙ্গে প্রশ্ন উঠেছে আরও। ম্যাটিল্ডা আর কিপলিং-এর সঙ্গে ভারতে আসছে না বটে, কিন্তু এখনও এই সম্পাদিত সংস্করণে সে আর্নেস্ট হেমিংওয়ের সঙ্গে আফ্রিকা ভ্রমণ করছে আগের মতোই। কিপলিংকে ‘ম্যাটিল্ডা’ থেকে ছেঁটে ফেললেও হেমিংওয়ের উল্লেখ অপরিবর্তিত রয়েছে। হেমিংওয়ের দুর্দান্ত শ্বেতাঙ্গ শিকারি ব্যক্তিত্ব, তাঁর মদ্যপান, তাঁর কথিত স্ত্রী-প্রহার, তাঁর বহু নারীতে আসক্তি এবং তাঁর বিরুদ্ধে ইহুদিবিদ্বষের অভিযোগ সত্ত্বেও। আবার লন্ডনের ‘ডেলি টেলিগ্রাফ’-এর শিল্প ও বিনোদন বিভাগের সম্পাদক অনিতা সিংহ এই সেন্সরশিপের বোকামিতে বড্ড বিরক্ত: ‘ফ্যাট’ শব্দটি বাদ দিলেও অগাস্টাস গ্লুপের বাকি বর্ণনায় বোঝা যাচ্ছে সে স্পষ্টতই ‘মোটা’!

যাই হোক, রোয়াল্ড ডালের লেখা বদল নিয়ে তীব্র সমালোচনার প্রেক্ষাপটে আপাত ভাবে খানিকটা পিছু হটেছে প্রকাশক ‘পাফিন’। ঘোষণা করেছে তারা এই ‘সংশোধিত’ সংস্করণের সঙ্গে সঙ্গে প্রকাশ করবে ‘অসংশোধিত’ মূল সংস্করণও। পাঠকরা বেছে নিতে পারবে যেটা তাদের পছন্দ। এটা কি সমালোচকদের জয়, নাকি দু’সেট বই প্রকাশ করে প্রকাশকদের ব্যবসার পথ আরও প্রশস্ত হওয়া?

সমাজে নিশ্চয়ই অনেক মানুষ আছেন, যাঁরা রোয়াল্ড ডালের লেখার পরিবর্তন চান। কিংবা পরিবর্তন চান আরও অনেকের অনেক লেখায়। আবার এমন মানুষও অনেক, যাঁরা মনে করেন সেন্সরশিপ মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে খর্ব করছে, নির্মাণ হচ্ছে এক ঝাপসা লেন্সের। এটি অল্পবয়সি এবং প্রাপ্তবয়স্ক সকলের পক্ষেই একটি অবাস্তব বিশুদ্ধীকরণ উপস্থাপিত করছে। সম্পাদিত এবং অসম্পাদিত— দু’ধরনের বই যেন দুই বিপ্রতীপ মানসিকতার সামাজিক সহাবস্থান।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement