ধারাবাহিক উপন্যাস  পর্ব ৮

শেষ নাহি যে

পূর্বানুবৃত্তি: শহর জুড়ে বন্‌ধ ও হিংসার মধ্যে চড়া দামে অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া করে দরিয়াকে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছেন সাম্যব্রত। এ দিকে চরম অপমান সহ্য করে সনতের কাছে টাকার জন্য হাত পাতে বিহান।  আর তখনই সে জানতে পারে, চাকরিটা তার আর নেই।অশান্ত উত্তাল সমুদ্র। তার পাড়ে একের পর এক ঢেউয়ের আছড়ে পড়া। সেখানে মুখ থুবড়ে পড়ে আছে এক শিশুর দেহ।

Advertisement

ইন্দ্রনীল সান্যাল

শেষ আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০০:০০
Share:

ছবি: শুভম দে সরকার

রাজুর এই অদ্ভুত পসচারের জন্যই সে ধরা পড়ে গেল। অ্যাম্বুল্যান্স দেখে কেউ কিচ্ছু বলেনি। মিছিল গাড়ি পেরিয়ে চলে যাচ্ছিল। মিছিলের শেষ দিকের একটি কমবয়সি ছেলে জানালা দিয়ে হাত গলিয়ে রাজুর পিঠে খোঁচা মেরে বলল, “কী রে! কোথায় মাথা গুঁজে রেখেছিস?”

Advertisement

খোঁচা খেয়ে মাথা তুলে রাজু বলল, “কেন বে? তোর কী?”

ছেলেটা রাজুকে দেখে অবাক হয়ে বলল, “ও বাবিনদা! খরাজ পার্টির জোকারটা আজকের দিনে অ্যাম্বুল্যান্স বার করেছে।”

Advertisement

মুহূর্তে মিছিল থমকে দাঁড়াল। বন্ধ হয়ে গেল স্লোগানবাজি। দরিয়া দেখল, বাবিন বড় বড় পা ফেলে এদিকে এগিয়ে আসছে। দরিয়া নিচু গলায় বলল, “রাজুদা, চলো।” সাম্যব্রতও বললেন, “রাজু, দাঁড়িয়ে থেকো না। গাড়িতে স্টার্ট দাও!”

কথাটা বলার দরকার ছিল না। রাজু বুঝে গিয়েছে, এখান থেকে পালাতে হবে। সে ইঞ্জিনে স্টার্ট দিয়েছে। ফার্স্ট গিয়ার, সেকেন্ড গিয়ার... গাড়ি এগোচ্ছে। মিছিলের শেষের দিকের লোকেরা দু’দিকে সরে যাচ্ছে হুটারের শব্দ শুনে। রাজু বোধ হয় বিপদ কাটিয়ে বেরিয়ে যেতে পারবে।

হঠাৎ কেউ একজন জানালা দিয়ে হাত গলিয়ে রাজুর সাদা শার্টের কলার চেপে ধরল। এবং রাজুর মাথাটা অ্যাম্বুল্যান্সের জানালায় ঠুকে দিল। হাতে স্টিয়ারিং, পায়ে ক্লাচ-ব্রেক-অ্যাক্সিলারেটর, কিন্তু শরীর আটকে আছে জানলায়। এই ভাবে গাড়ি চালানো যায় না। থার্ড গিয়ারে যেতেই রাজুর গলায় এমন টান লাগল যে সে খকখক করে কাশতে কাশতে ব্রেক চেপে গাড়ি থামিয়ে দিল। ব্রেক খুব জোরে চাপা হয়ে গিয়েছে। বিকট শব্দ করে গাড়ি হঠাৎ দাঁড়িয়ে গেল। দরিয়া আর একটু হলে স্ট্রেচার থেকে পড়ে যাচ্ছিল। জানালার ফ্রেমে হাত রেখে নিজেকে সামলে নিল। দেখল, রাজুকে চালকের আসন থেকে নামিয়ে মুখে ঘুষি মেরে বাবিন বলল, “শালা খরাজ পার্টির দালাল। কত টাকা ঝেড়েছিস তার হিসেব আমার কাছে আছে। আজই তোর বিচার হবে।”

ঘুষি খেয়ে রাজুর ঠোঁট কেটে রক্ত বেরোচ্ছে। ফিল্মি কায়দায় বাঁ হাতের পিছন দিয়ে ঠোঁটের রক্ত মুছে সে বলল, “যা ঝেড়েছি, তার অর্ধেক তোকে দিয়েছি। আজ তুই সতী সাজিস না।”

গাড়িতে বসে সাম্যব্রত কপাল চাপড়ে বললেন, “মার খাওয়ার রাস্তা প্রশস্ত করল বোকাটা!” তাঁর কথা নির্ভুল প্রমাণ করে বাবিন থাপ্পড় কষাল রাজুর গালে। লোকটা চড়ের অভিঘাতে রাস্তায় ছিটকে পড়ল। মিছিলের বাকিরা ঝাঁপিয়ে পড়ল রাজুর উপরে। দরিয়া চিৎকার করে বলল, “বাবা! কিছু করো। লোকটা মরে যাবে! ও না থাকলে আমরা বঙ্গবাসী হাসপাতালে যেতে পারব না।”

সাম্যব্রত হুড়মুড়িয়ে অ্যাম্বুল্যান্স থেকে নামলেন। দেড়শো লোকের জমায়েতের কেন্দ্রে যাওয়া সহজ নয়। একে গুঁতিয়ে, ওকে সরিয়ে, তাকে ধাক্কা মেরে কিছুটা এগোলেন। আর এগোনো যাচ্ছে না। মিছিলের ছেলেগুলো হাতে হাত ধরে শক্ত ব্যারিকেড তৈরি করেছে। সাম্যব্রতর মনে পড়ল, এই ভাবে তাঁরাও একদিন ব্যারিকেড তৈরি করতেন কলেজ স্ট্রিটে। পুলিশের লাঠি, টিয়ার গ্যাস, প্রকাশ্যে গুলি চালানো... সব কিছু থাকা সত্ত্বেও লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন। ‘তুমি আলো
আমি আঁধারের পথ ধরে, আনতে চলেছি লাল টুকটুকে দিন!’

লাল টুকটুকে দিন আর এল না। সেই সব অগ্নিগর্ভ দিন আর আজকের মধ্যে কত তফাত! একদা বিপ্লবী সাম্যব্রত এখন ডোমেস্টিক অ্যানিম্যাল। গর্ভবতী মেয়ের বাবা, অসুস্থ বৌয়ের স্বামী। এক সময় জয় করার জন্য ছিল গোটা বিশ্ব। আজ জয় করার জন্য কিচ্ছু পড়ে নেই। যা আছে, তা হল আশঙ্কা, দুশ্চিন্তা আর পরাজয়ের গ্লানি। আছে মেয়ে আর তার গর্ভস্থ সন্তানকে হারানোর ভয়। আজ সাম্যব্রতর ভিক্ষা চাওয়ার পালা। পাশঝোলায় হাত ঢুকিয়ে রেডবুক মুঠোর মধ্যে ধরে তিনি দূর থেকে চেঁচালেন, “বাবিন, আমি সোমুদা!”

বাবিন বুকে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে গণধোলাই তদারক করছিল। ‘সোমুদা’ ডাক শুনে চমকে উঠে এদিক ওদিকে তাকাল। ভিড়ের মধ্যে থেকে হাত নাড়লেন সাম্যব্রত। “এই যে! আমি এখানে।”

বাবিন ভুরু কুঁচকে সাম্যব্রতকে দেখল। হাতের ইশারায় চ্যালাচামুণ্ডাদের বলল, ধোলাই বন্ধ করতে। ভিড় ঠেলে সাম্যব্রতর দিকে এগিয়ে এসে বলল, “সোমুদা, আপনি?”

অ্যাম্বুল্যান্সের জানালা দিয়ে দরিয়া দেখল, বাবিন সাম্যব্রতর পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করল। প্রণাম চুকিয়ে পিঠ টান করে দাঁড়িয়ে গম্ভীর গলায় বলল, “এখানে কী করছেন?”

সাম্যব্রত বাবিনের হাত ধরে বললেন, “আমার মেয়ের লেবার পেন উঠেছে। ওকে নিয়ে বঙ্গবাসী হাসপাতালে যাচ্ছি। রাজু আমাদের নিয়ে যাচ্ছে। তোমরা ওকে বকাবকি করলে আমার যে যাওয়া হবে না বাবা!”

‘বকাবকি!’ সাম্যব্রতর শব্দচয়নের প্রশংসা করল দরিয়া। সামান্য বকাবকি করা হয়েছে। মারধর তো আর নয়!

সাম্যব্রতর কথা শুনে বাবিন অ্যাম্বুল্যান্সের দিকে তাকিয়েছে। দরিয়া দ্রুত চোখেমুখে যন্ত্রণার অভিব্যক্তি ফুটিয়ে তুলল। সে সাধারণ মানুষ। টাকা, ক্ষমতা, লোকবল, রাজনৈতিক ক্ষমতা— কিছুই নেই। যাদের কিছু নেই, তারাও সারভাইভ করে। যে ভাবেই হোক না কেন। দরিয়াও সারভাইভ করবে। চোখে জল এনে, হাতজোড় করে সে বলল, “খুব কষ্ট হচ্ছে দাদাভাই! আমি আর পারছি না!”

বাবিন তাড়াতাড়ি চোখ নামিয়ে নিল। ভিড়ের মধ্যে দিয়ে হেঁটে গিয়ে রাজুর কলার ধরে রাস্তা থেকে তুলে গালে আর একটা থাপ্পড় কষিয়ে বলল, “ছোটবেলায় সোমুদার কাছে অঙ্ক আর ইংরিজি পড়তাম। ক্লাস ওয়ান থেকে সিক্স পর্যন্ত পড়িয়েছিলেন। কোনও দিনও এক নয়া পয়সা নিইনি। নকশাল ছিলেন, ভুলভাল পলিটিক্স করতেন। কিন্তু সাচ্চা আদমি। তার মেয়েকে নিয়ে তুই হাসপাতাল যাচ্ছিস। তাই ছেড়ে দিলাম। না হলে এই গুলমোহর বাসস্ট্যান্ডে তোর লাশ পুঁতে রেখে দিতাম। যা এখান থেকে। পালা!”

দরিয়াকে এখন আর অভিনয় করতে হচ্ছে না। সে সত্যি সত্যিই কাঁদছে। মায়ের দেওয়া বিপত্তারিণীর প্রসাদি ফুল আঁচলে বাঁধা রয়েছে। আঁচল মুঠোয় ধরে সে বিড়বিড় করে বলল, “ঠাকুর! তুমি আমাদের বাঁচিয়ে দিলে ঠাকুর!”

পরমুহূর্তে মনে হল ঠাকুর নয়, বাবার সুনামের জন্য সে মুক্তি পেল। এখন ভালয় ভালয় রাজু অ্যাম্বুল্যান্সে উঠলে হয়। মার খেয়ে লোকটার হাড়গোড় ভেঙে যায়নি তো?

রাজু খোঁড়াতে খোঁড়াতে এগিয়ে আসছে। গাল আর কপাল থেকে ঝরঝর করে রক্ত বেরোচ্ছে। ঠোঁট ফুলে আলুর মতো হয়ে গিয়েছে। শখের সাদা শার্টে রক্তের দাগ। প্যান্টের হাঁটুর কাছটা ছিঁড়ে গিয়েছে। চুল উস্কোখুস্কো। হাতের উল্টো পিঠ দিয়ে আবার ঠোঁটের রক্ত মুছে সে চালকের আসনে বসল। সাম্যব্রত গাড়ির পিছনের দরজা খুলে দরিয়ার পাশে বসলেন। দরিয়া দেখল, বাবিন জানালা দিয়ে তার দিকে তাকিয়ে রয়েছে। দরিয়া হাতজোড় করে বলল, “অনেক ধন্যবাদ স্যর।”

বাবিন অ্যাম্বুল্যান্সের গায়ে চাপড় মেরে বলল, “রাজু! বেরিয়ে যা। ওখান থেকে ফিরে এক বার আমার সঙ্গে দেখা করিস।”

কথা না বলে রাজু অ্যাম্বুল্যান্সে স্টার্ট দিল।

হাওড়া স্টেশনের সামনে দিয়ে যে রাস্তাটা পুরনো আর নতুন স্টেশন কমপ্লেক্স পেরিয়ে রেল মিউজিয়ামের সামনে দিয়ে গিয়ে ফোরশোর রোডে পড়েছে, সেই রাস্তা ধরেছে রাজু। এই এলাকাটা রেল পুলিশের আওতায় বলে গন্ডগোল নেই। অল্প কিছু হকার আর ট্রেনযাত্রীদের দেখা যাচ্ছে।

অ্যাম্বুল্যান্সে ফার্স্ট এড বক্স আছে। রেল মিউজিয়ামের সামনে গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাজুর ড্রেসিং করে দিলেন সাম্যব্রত। গাল আর কপালের রক্ত বন্ধ হল।

মিনিট পাঁচের মধ্যে রাজুর চেহারা ভদ্রস্থ হয়েছে। উস্কোখুস্কো চুলে চিরুনি বুলিয়ে, টেরিটি কায়দা মতো কেটে, গাড়ি স্টার্ট দিয়ে সে গান ধরল, “চল চল চল মেরে সাথী, ও মেরে হাথি...”

হঠাৎ গান থামিয়ে সাম্যব্রতর দিকে তাকিয়ে রাজু বলল, “রাজু হেলা খারাপের কাছে খারাপ। ভালর কাছে ভাল। ওই বাবিনকে রাজু হেলা ঠিকই সালটে নেবে। কিন্তু আপনার সঙ্গে আজ থেকে রাজু হেলার অন্য সম্‌পক্কো। পাঁচ হাজার নয়। ওটা আমি এক হাজার করে দিলাম। ঠিকাচে?”

সাম্যব্রত মাথা নিচু করে ভাবলেন, রাজুর মুড ভাল থেকে খারাপ হয়ে যাওয়ার আগে টাকাটা নিয়ে নেওয়া যাক। তিনি হাত পেতে বললেন, “দাও।”

পকেট থেকে দুটো দু’হাজার টাকার নোট বার করে রাজু বলল, “আমরা বঙ্গবাসী হাসপাতালে এসে গিয়েছি।”

কলেজে পড়ার সময়ে এক বার বঙ্গবাসী হাসপাতালে এসেছিল দরিয়া। সে দিনই বিহানের মায়ের সঙ্গে তার প্রথম ও শেষ দেখা। সেই দিনটার কথা এখন দরিয়া মনে করতে চায় না। অ্যাম্বুল্যান্সের জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে সে দেখল, সব কিছু আগের মতোই আছে। বড় বড় বিল্ডিং, অজস্র মানুষের ভিড়, মাঝখানের খোলা জায়গায় কিছু গাছপালা।

সাম্যব্রত আর রাজু অ্যাম্বুল্যান্স থেকে নেমে গিয়েছে। দরিয়া পায়ের গোছ থেকে শাড়ি সরিয়ে দেখল, ব্যান্ডেজ রক্তে ভিজে গিয়েছে। তার উপরে এই লেবার পেন। গর্ভযন্ত্রণা কাকে বলে হাড়ে হাড়ে বুঝতে পারছে দরিয়া। ভয়ের চোটে বিপত্তারিণীর ফুল-ভর্তি আঁচলের খুঁট হাতের মধ্যে নিয়ে বলল, “আমাকে ভাল করে দাও ঠাকুর। দেখো, তোমারও ভাল হবে!”

পৌনে বারোটা বাজে। বকুলতলা বাসস্ট্যান্ডে বিহান দাঁড়িয়ে আছে পনেরো মিনিট ধরে। একটাও বাস আসেনি। এগারোটা নাগাদ পোর্টের অফিস থেকে বেরিয়ে এখান দিয়ে হেঁটে সে মেসে ফিরেছিল। তখন বাসস্ট্যান্ডে অল্প কিছু লোক ছিল। অভিরুচি-তে খদ্দের না থাকলেও দোকান খোলা ছিল। এখন অভিরুচির ঝাঁপ বন্ধ। বাসস্ট্যান্ডে সে ছাড়া আর কোনও যাত্রী নেই। তখন যে বাসটা কলকাতা যাচ্ছিল, তার কন্ডাক্টর চেঁচাচ্ছিল, “যারা যাবেন বাসে উঠে পড়ুন। এর পরে আর বাস নেই। তাড়াতাড়ি!” কথাটা সিরিয়াসলি নেয়নি বিহান। এখন মনে হচ্ছে, কন্ডাক্টর ঠিকই বলেছিল।

বাস নেই তো কী হয়েছে? বকুলতলা থেকে কলকাতা যাওয়ার জন্য গাড়ি ভাড়া পাওয়া যায়। আজ গাড়িতে করেই হাওড়া যাবে বিহান। পার্সে ছ’হাজার টাকা আছে। খরচ করা যেতেই পারে। গাড়ি চালকদের অফিসটা মূল রাস্তা থেকে সামান্য ভিতর দিকে। সে দিকে এগোল বিহান। অফিসের মধ্যে বসে ড্রাইভাররা টিভি দেখছে। বিহান গলা খাঁকারি দিয়ে বলল, “কলকাতা যাওয়ার কেউ আছেন না কি?”

চালকদের মধ্যে এক জন ঘুরে তাকাল। বছর পঞ্চাশ বয়স, কুচকুচে কালো গায়ের রং, বিশাল মোটা গোঁফ, পান খাওয়া ঠোঁট খয়েরের কারণে লাল টুকটুক করছে। অফিসের এক কোণে পিচ্‌ করে পানের পিক ফেলে বলল, “আজ কেউ গাড়ি বার করে? মাথাফাতা খারাপ না কি? দেকচেন না, খলিসানির মোড়ে বাসে আগুন লাগিয়ে দিয়েচে।”

চালক যে জায়গাটার নাম করল, সেটা হাওড়া জেলায়। ন্যাশনাল হাইওয়ের ধারে। তা হলে কি গন্ডগোল কলকাতা থেকে অন্য জেলায় ছড়াচ্ছে?

বয়স্ক চালক বলল, “হোয়াট্‌সঅ্যাপে ফোটো এসেচে। ওখানে খরাজ পার্টির পাঁচজনকে মেরে ফেলেচে।”

কমবয়সি এক চালক বলল, “তুমি ওই সব ভাটের কথা বিশ্বাস করছ দাদা!”

“ফোটো আচে। দেখতে চাস?”

“ওই সব পুরনো ফোটো দেখিয়েই গুজব ছড়ায়। আমি তো খবরের কাগজে না বেরোলে কিছুই বিশ্বাস করি না।”

ক্রমশ

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement