ধারাবাহিক রহস্য উপন্যাস: পর্ব ২৩

স্বাধীনতা তুমি...

সে  হিজড়েদের সঙ্গে থাকে বলে তাকে রাস্তাঘাটে কত টিটকিরি শুনতে হয়! সে জন্যেই প্রথমে রত্না বা বুলাকিদার কথা শুনে এ বাড়িতে এসে উঠতে চায়নি পল্টন। অনেক দিন যাওয়া-আসা করেছে। তার পর একটা সময়ে ওদের কথা আর ফেলতে পারেনি।

Advertisement

সঞ্জয় দাশগুপ্ত

শেষ আপডেট: ১৪ মে ২০১৭ ০০:৫২
Share:

ছবি: ওঙ্কারনাথ ভট্টাচার্য

সে  হিজড়েদের সঙ্গে থাকে বলে তাকে রাস্তাঘাটে কত টিটকিরি শুনতে হয়! সে জন্যেই প্রথমে রত্না বা বুলাকিদার কথা শুনে এ বাড়িতে এসে উঠতে চায়নি পল্টন। অনেক দিন যাওয়া-আসা করেছে। তার পর একটা সময়ে ওদের কথা আর ফেলতে পারেনি। এ ভাবে কেউ কোনও দিন তাকে ডাকেনি যে!

Advertisement

বুলাকিদার দেহ সৎকার করা যাবে না? হঠাৎ একটা কথা মনে হল পল্টনের। পুলিশের এই বড়বাবুটি একটু আগেই তো বললেন, স্বাধীনতার ষাট বছরে এ বারে খুব ধুমধাম করে অনুষ্ঠান হবে। ষাট বছরের স্বাধীনতা হবে যে দেশে, সে দেশে কেবল হিজড়ে বলে একটা মানুষের মৃতদেহ সৎকার করা যায় না?

পল্টনের হতবাক অবস্থা দেখে একটু সুর নরম করলেন অলকেশ। ‘শুনুন, আমরা একটা বন্দুকের খোঁজ করছি। কী হয়েছে, কী ভাবে হয়েছে, সেটা ধরতে পারলেই বডি ছেড়ে দেওয়া হবে।’

Advertisement

‘বন্দুক?’

‘হ্যাঁ, গুলি করে মারা হয়েছে আপনার রিলেটিভকে। যে বন্দুক দিয়ে মারা হয়েছে, সেটা খুঁজছি আমরা। একটা বিশেষ ধরনের শক্তিশালী বন্দুক। সম্ভবত বাইরে থেকে স্মাগল করে আনা। চট করে এ দেশে পাওয়া যায় না ও রকম বন্দুক।’

তা হলে বুলাকিদাকে সত্যিই কেউ গুলি করেছে! বন্দুকের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে বুলাকিদার, এ সন্দেহটা তো ছিলই। কিন্তু এই ক’দিন ধরে ক্রমাগত মর্গ থেকে থানা, থানা থেকে মর্গ ঘোরাঘুরি করেছে পল্টন, তদন্তের ব্যাপারটা কেউ তাকে জানায়নি! জানানোর প্রয়োজনও বোধ করেনি!

পল্টন কথা খুঁজে পাচ্ছে না। অবাক চোখে তাকিয়ে আছে অলকেশ লাহিড়ীর দিকে। কিন্তু তার দিকে আর মনোযোগ দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করছেন না চিত্তরঞ্জন জিআরপি থানার অফিসার-ইন-চার্জ। তত ক্ষণে অন্য কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। টেবিলের উপর রাখা ফোনটার বোতাম টিপতে টিপতে নিজের মনেই যেন বলে উঠলেন, ‘কিন্তু এ অঞ্চলে ওই ধরনের বন্দুক কী ভাবে এল, সেটাই প্রশ্ন। যা ভাবছি তা-ই যদি হয়,... শালা চোখের সামনে দিয়ে সে দিন... ঠিক আছে, আমিও দেখে নেব... শিউলিবাড়ি থানার ওসি নিরঞ্জন ঝা’র সঙ্গে কথা হয়ে গেছে আমার... বন্দুক কোথায় পাচার করছে বোধহয় হদিশ পেয়ে গেছি... শালা চিত্তরঞ্জনে পা দিলে হয় এক বার... আর হবি তো হ শালা এই সময়েই স্বাধীনতা দিবসের ঝামেলা...’

ছেঁড়া ছেঁড়া, অসংলগ্ন বাক্য। কিছুই বুঝতে পারছে না পল্টন। অলকেশবাবুর চোখের সামনে কী হল? শিউলিবাড়িতে কী আছে? সেখানকার থানার ওসি নিরঞ্জন ঝা-র সঙ্গে কী কথা হয়েছে অলকেশের? একটা বন্দুক খুঁজে বেড়াচ্ছেন ওঁরা, কিন্তু তাঁর সঙ্গে বুলাকিদার ডেডবডি রিলিজ করা না করার কী সম্পর্ক? আর বারে বারে স্বাধীনতা দিবসের কথাই বা উঠছে কেন?

পল্টনের মনের কথা যেন পড়ে ফেললেন ভদ্রলোক। ‘এই ঝামেলাটা ভালয় ভালয় মিটুক, তার পর দেখে নেব, বুঝলেন? খুনটা যে করেছে, সে কিছুতেই ছাড়া পাবে না! শালা বাপের নাম ভুলিয়ে দেব। তবে আগে বন্দুকটা চাই। উপরমহল থেকে হুড়ো আসছে— একটা তো নয়, ও রকম আরও ওয়েপন ঢুকেছে কি না, জানা দরকার। তাদের কী মতলব? কোনও নাশকতামূলক কাজ করতে চায়?’

ওহ্‌, তা হলে সেটাই আসল ভয়? সেই জন্যই বুলাকিদা সম্বন্ধে, তাদের বনগাঁর বাড়ি সম্বন্ধে, অত ক্ষণ ধরে তাকে জেরা করলেন ভদ্রলোক! পল্টন অবশ্য যথাসম্ভব বাঁচিয়ে বলেছে। আর রত্নার তো নামও উল্লেখ করেনি। তাও পুলিশের পক্ষে সব বার করে ফেলা তো কোনও ব্যাপার না!

‘শুনুন, পুলিশ যেতে পারে আপনাদের ঠিকানায়, তদন্ত করতে। যদি যায়, কো-অপারেট করবেন। বুলাকিলাল সম্বন্ধে আর কোনও তথ্য যদি আপনার মনে পড়ে, কোনও ঘটনা, বা অতীতে কারও সঙ্গে কোনও শত্রুতা ছিল কি না, সঙ্গে সঙ্গে জানাবেন। কোনও তথ্য গোপন করলে কিন্তু ফল ভাল হবে না।’

পাথরের মতো স্থির দৃষ্টিতে অলকেশ লাহিড়ী তাকিয়ে আছেন তার দিকে। মাথা নাড়ল পল্টন। তার মনের মধ্যে বয়ে যাচ্ছে প্রশ্নের ঝড়।

পুলিশ হন্যে হয়ে খুঁজে বেড়াচ্ছে একটা বন্দুক! কিন্তু খুঁজে বার করবে কী করে? যার জিনিস, সে কি এত দিন ধরে সেটা নিজের কাছে রেখে দিয়েছে? বনগাঁয় পুলিশ পাঠানোর কথা কেন বললেন ভদ্রলোক? তাকেই কোনও ভাবে সন্দেহ করছেন না তো? কী এমন শক্তিশালী বন্দুক, যা এত মরিয়া হয়ে খুঁজছে পুলিশ? উনি তো এইমাত্র বললেন, বন্দুক কোথায় পাচার করা হয়েছে তার হদিশ নাকি তাঁরা পেয়েছেন! সত্যি পেয়েছেন, না কি এটা পুলিশের নিষ্ফল আস্ফালন? ও রকম একটা বন্দুক কোথায় লুকনো যায়?

১১

নষ্ট মেয়ের ঋণ

‘না না, বন্দুক রাখতে পারবুনি গো। উরে বাবা। মাসি জানতি পারলি একবারে খায়ে ফ্যালবে আমারে। তাড়ায়ে দেবে।’

কথাটা শুনেই হাঁউমাঁউ করে উঠল তুলসী।

‘কেউ জানতে পারবে কেন? তোর খাটের তলায় ওই বাক্সটার মধ্যে রেখে দিবি,’ চাপা গলায় ধমকে উঠল গৌরাঙ্গ। ‘ওখানে কে দেখবে?’

‘কে দেখবি কী গো? তুমি জানুনি তো এখানে কী হয়! হুট-হাট করে মাসি দুলাল, ঝাঁটু, চন্দনদের দিয়ে ঘর সার্চ করায়। সব উল্টায়ে পাল্টায়ে দেখে, আমরা কেউ ট্যাকা সরায়ে রাখিছি কি না। আসলামভাইও থাকে মাঝিমধ্যি। ধরা পল্লি কী মারে গো! আর মঙ্গলবারে পারুলরে ধরি ফেলিছিল! তিন হাজার ট্যাহা জমায়ে ফেলেছিল পারুল! আসলামভাই ওর পিঠি গরম খুন্তি দিয়ে ছ্যাঁকা দেছে!’

কথাটা শুনে স্তম্ভিত হয়ে গেল গৌরাঙ্গ। আসলামভাইকে বাইরে থেকে দেখে তো মনে হয় মোটাসোটা, হাসিখুশি অমায়িক একটা মানুষ। সে একটি মেয়ের পিঠে গরম খুন্তির ছ্যাঁকা দিয়ে দাগ ফেলে দিতে পারে!

এ বাড়ির রান্নার লোক আসলামভাই। কেতা করে আবার নিজেকে বলে বাবুর্চি! রাঁধে অবশ্য অমৃতের মতন। যখনই দেখা যায়, তখনই আসলামভাই আধো-অন্ধকার, স্যাঁতসেঁতে রান্নাঘর নিয়ে ব্যস্ত। দু’বেলা অন্তত ত্রিশ-বত্রিশটা পাত পড়ে এই বাড়িতে।

ধর্মতলার দিক থেকে এসে চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ ধরে এগোতে থাকলে কিছুটা গিয়ে বাঁ দিকে এঁকেবেঁকে ঢুকেছে মুক্তারামবাবু স্ট্রিট। সেই রাস্তাটি থেকে আবার যে সব সরু সরু উপশাখাগুলি বেরিয়েছে, তারই একটার মুখে এই বাড়িটা। এ রাস্তাটাকে ঠিক সোনাগাছি পাড়ার মধ্যে বলা চলে না। তবে এক দিকে চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ, আর অন্য দিকে চিৎপুর রোডের মধ্যবর্তী যে বিশাল এলাকাটি কলকাতা শহরের ‘লালপাড়া’ বা রেড লাইট এরিয়া বলে খ্যাত, এ বাড়িটার অবস্থান প্রায় তার দক্ষিণ সীমান্তে।

জায়গাটা তাকে চিনিয়েছিল ঝন্টু। শিউলিবাড়ি থেকে কলকাতায় ফুর্তি করতে এসে এখানকার কোনও বন্ধুর সঙ্গে ঝন্টু এ বাড়িতে আসে চন্দনা বলে কোনও এক জনের ঘরে। ফিরে গিয়ে চন্দনার প্রশংসায় পঞ্চমুখ! পরের বার যখন মাল বেচতে কলকাতায় আসে তারা, ঝন্টু প্রায় জোর করেই তাকে নিয়ে এসেছিল এখানে। তবে চন্দনার ঘরে নয়, গৌরাঙ্গর পছন্দ হয়েছিল তুলসীকে।

সেটা বছর তিনেক আগেকার কথা। তুলসী তখন ষোলো বা সতেরো বছরের সদ্য যুবতী। এ লাইনে সবে এসেছে। নিমতিতার দিকে কোনও গ্রামে থাকত। গ্রামেরই একটি ছেলে, কলকাতায় গিয়ে বিয়ে করার লোভ দেখিয়ে সোজা এখানে তোলে। পরিচিত গল্প। তবে তুলসীর কথাবার্তা শুনে গৌরাঙ্গর মনে হয়েছিল, তুলসীর গরিব বাপেরও হাত ছিল ব্যাপারটায়। হয়তো কিছু টাকাপয়সা তাকে দিয়েছিল ছেলেটি! এখন তুলসীরও তাই ধারণা।

যে দিন প্রথম তুলসীর ঘরে ঢোকে গৌরাঙ্গ, তখন এ বাড়িতে তুলসীর এক সপ্তাহও হয়নি। সস্তার একটা লাল-সবুজ ডুরে শাড়ি পরা। ভীত, অসহায় মুখ। শরীরে যৌবন উপচে পড়ছে। শারীরিক মিলনে কিন্তু কোনও অনীহা দেখায়নি তুলসী। নিজের ভবিতব্য সে সহজেই মেনে নিয়েছে। একটু একটু করে মানিয়ে নিতে শুরু করেছে বিশাল, জরাজীর্ণ তিনতলা বাড়িটির কোলাহলমুখর পরিবেশের সঙ্গে। খুব অবাক লেগেছিল গৌরাঙ্গর। কামার্ত সঙ্গমে সোৎসাহে লিপ্ত হল যে মেয়েটি, সেই পরে নিজের অতীতের কথা, গ্রামের কথা বলতে গিয়ে অপরিচিত পুরুষের কাঁধে মাথা রেখে হু-হু করে কেঁদে উঠল!

পরে অবশ্য অপরিচিত আর থাকেনি গৌরাঙ্গ। সে দিনের পর থেকেই তুলসীর প্রতি একটা আকর্ষণ তৈরি হয় তার। কী ভাবে যেন সপ্তদশী একটি গ্রাম্য কিশোরী, তার মনের এক কোনায় নিজের একটা ঠাঁই করে নিয়েছিল পাকাপাকি।

আজকাল মাসে অন্তত এক বার এসে তুলসীর খোঁজ নিয়ে যায় সে। কখনও কখনও একাধিক বার। এমনও হয়েছে, শুধু তুলসীকে দেখতেই ধান্দার নাম করে কলকাতা এসে ঘুরে গিয়েছে গৌরাঙ্গ। তুলসীর টাকার দরকার হলে সে এখন অকপটে তার কাছে হাত পাতে। ধার নিয়ে সব সময় টাকা ফেরত দেয় তুলসী। মেয়েটার এই একটা গুণ। কিন্তু টানাটানি না থাকলে সে তুলসীকে টাকা দিয়ে ফেরত নেয় না। তুলসীকে কি সে ভালবাসে? অতটা গভীরে ভাবতে রাজি নয় গৌরাঙ্গ। চিন্তাটা মাথায় এলেই ঝেড়ে ফেলে সে। যেমন চলছে চলুক না! তবে এটুকু সে বোঝে, তুলসী তাকে আর এখন খদ্দের হিসেবে দেখে না।

অনেক দিন এমনও হয়, সে আর তুলসী শুধু খাটে বসে গল্প করে। আবার অন্য সময়, সে কিছু বলার আগে তুলসীই তার কাছ থেকে শরীর দাবি করে। এই লাইনে এত দিন থাকার পরও, শরীরের সাংঘাতিক খিদে তুলসীর। আর সেটা সে জমিয়ে রাখে যেন গৌরাঙ্গর জন্যই।

তাই বন্দুকটা কিছু দিন নিরাপদে রাখার একটা জায়গার প্রয়োজন হয়ে পড়তে, প্রথমেই তুলসীর কথা মনে হয় গৌরাঙ্গর। গত কাল রাতেই সে কলকাতা পৌঁছেছে, কিন্তু অত রাতে এলে নির্ঘাত দেখত তুলসীর ঘরের দরজা বন্ধ। তুলসী কোনও ‘কাস্টমার’-এর সঙ্গে। তাই রাত্রে আর এ দিকে আসেনি গৌরাঙ্গ। হাওড়ায় তার একটি পরিচিত ছেলের ডেরায় রাতটা কাটিয়ে আজ সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ তুলসীর ঘরে উঁকি দিয়েছিল।

সকালবেলাটা এ বাড়ির ঘরোয়া সময়। অনেকেরই ধারণা, এ সব পাড়ায় সকালে সবাই ঘুমিয়ে থাকে। ধারণাটা যে ঠিক নয়, এ বাড়িতে আসা-যাওয়া শুরু করার পরই তা টের পেয়েছে গৌরাঙ্গ। এ বাড়ি এবং বাড়ির বাসিন্দাদের যিনি কঠোর হাতে নিয়ন্ত্রণ করেন, তাঁর নাম সরলা কুণ্ডু। বাড়ির মালিক তিনিই। ছেলে-বুড়ো নির্বিশেষে এ পাড়ায় তাঁকে মাসি বা মাসিমা বলে। এ বাড়িতে বিভিন্ন বয়সের যে পনেরো জন মেয়ে থাকে, তারা কাগজে-কলমে সবাই তাঁর ভাড়াটে, কিন্তু আসলে তারা এক ধরনের ক্রীতদাসীই বলা যেতে পারে।

সন্ধে ছ’টার পর মেয়েরা যে কাউকে ঘরে নিয়ে আসতে পারে, কিন্তু কার ঘরে কখন খরিদ্দার আসছে, তার অনুপুঙ্খ হিসেব রাখে ঝাঁটুচরণ, মাসির বিশ্বস্ত অনুচর। কোনও দিন যদি মাসির বিশেষ কোনও ‘ক্লায়েন্ট’ থাকে, তা হলে মাসি যাকে ডেকে পাঠাবেন, তার যত আপত্তিই থাক না কেন, সেই ব্যক্তিকে তার ‘সার্ভিস’ দিতে হবে। তিনতলার উপরে মাসির নিজস্ব ফ্ল্যাটটিতে শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র লাগানো আছে। উলটো দিকে বিশেষ বিশেষ ক্লায়েন্টদের জন্য তিনটি বিলাসবহুল ঘর, সে তিনটি ঘরও শীতাতপনিয়ন্ত্রিত, প্রতিটি ঘরের সংলগ্ন ঝকঝকে শৌচাগারগুলিও অনেক খরচায় তৈরি।

দোতলার ঘরগুলি অবশ্য অতি সাধারণ। নোনা ধরা দেওয়ালে পলেস্তারা খসে আসছে, ক্ষয়ে যাওয়া মলিন সবুজ জানলার কপাট, দরজায় ময়লা পরদা ঝুলছে সব ঘরেই। পুরনো আমলের ভারী লোহার রেলিং দেওয়া ঘোরানো টানা বারান্দার এক দিকে সারি সারি ঘর। বারান্দা দিয়ে ঘুরে বাড়ির পিছনের দিকে গেলে নীচের শ্যাওলা-ধরা উঠানটা দেখা যায়, এক পাশে বিরাট একটা চৌবাচ্চা। তাতে টাইমের কলে জল আসে।

ক্রমশ

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement