ভারী বৃষ্টি বা তুষারপাত, নয়তো বা ধুলোর ঝড়— বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রঙের সতর্কতা জারি করে মৌসম ভবন (আইএমডি)। কখনও লাল, কখনও কমলা, কখনও আবার হলুদ সতর্কতা। কেন জারি করা হয় এই রঙিন সতর্কতা? রঙগুলির অর্থই বা কী?
মূলত চার রঙের সতর্কতা জারি করে মৌসম ভবন— সবুজ, হলুদ, কমলা, লাল। প্রত্যেক রঙের নির্দিষ্ট সঙ্কেত রয়েছে। কিছু বিষয়ের উপর ভিত্তি করেই এই রঙিন সতর্কতা জারি করা হয়।
কতটা দুর্যোগ হতে পারে, তার উপর নির্ভর করে এই রঙিন সতর্কতা জারি করা হয়। সর্বোচ্চ পাঁচ দিনের জন্য এই সতর্কতা বৈধ থাকে।
কী ভাবে জারি করা হয় এই সতর্কতা? মৌসম ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত যদি ৬৪ মিলিমিটারের কম হয়, তা হলে সবুজ সতর্কতা জারি করা হয়।
পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত যদি ৬৪.৫ মিলিমিটার থেকে ১১৫.৫ মিলিমিটার হয়, তা হলে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়।
পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত যদি ১১৫.৬ মিলিমিটার থেকে ২০৪.৪ মিলিমিটার হয়, তা হলে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়।
পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত যদি ২০৪.৫ মিলিমিটারের বেশি হয়, তা হলে লাল সতর্কতা জারি করা হয়।
যে সব অঞ্চলে এই পরিমাণ বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়, সেখানকার নাগরিকদের সতর্ক করতেই এই রঙিন সতর্কতা জারি করা হয়।
ঝড়ের ক্ষেত্রে হাওয়ার গতিবেগের উপর নির্ভর করে সেই মতো রঙের সতর্কতা জারি করা হয়। যেমন, হাওয়ার গতিবেগ খুব বেশি হলে লাল সতর্কতা জারি করা হয়।
কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়া নিয়ে রঙিন সতর্কতা জারির ক্ষেত্রে মাপকাঠি হল দৃশ্যমানতা। দৃশ্যমানতা খুব কম হলে লাল সতর্কতা। বেশি হলে সেই মতো কমলা, হলুদ বা সবুজ সতর্কতা।
ধুলোঝড়ের ক্ষেত্রে রঙিন সতর্কতা জারির মাপকাঠি হল হাওয়ার গতিবেগ এবং দৃশ্যমানতা। এই দুইয়ের উপর ভিত্তি করেই তৈরি হয় রঙিন সতর্কতা।
সবুজ সতর্কতার অর্থ হল আবহাওয়ার কিছু পরিবর্তন হবে, তবে তার জন্য নাগরিকদের সতর্ক থাকার প্রয়োজন নেই।
হলুদ সতর্কতা জারির অর্থ হল, আবহাওয়া খারাপ হবে, তার প্রভাব দৈনন্দিন জীবনেও পড়বে। এমনকি আবহাওয়া আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে।
কমলা সতর্কতার অর্থ খুব খারাপ আবহাওয়ার পূর্বাভাস। যার ফলে বিঘ্নিত হতে পারে যান, ট্রেন, বিমান চলাচল। এমনকি বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন হতে পারে।
প্রচণ্ড খারাপ আবহাওয়ার পূর্বাভাসের ক্ষেত্রে লাল সতর্কতা জারি করা হয়। এ ক্ষেত্রে যান, ট্রেন, বিমান চলাচল বিঘ্নিত হওয়ার সম্ভাবনা তো থাকেই। পাশাপাশি প্রাণহানির আশঙ্কাও থাকে।