তিনি সোনার চামচ মুখে দিয়েই জন্মেছেন। পৈতৃক সূত্রে তাঁর অঢেল সম্পত্তি। তবুও তাঁর নিজের কিছু করে দেখানোর তাগিদ রয়েছে। আর সেই কারণেই ব্যাট হাতে বাইশ গজে নেমেছেন ব্যবসায়ী পরিবারের এই পুত্র। ভারতীয় ক্রিকেটার হিসাবে এখনও তেমন ছাপ ফেলতে পারেননি ঠিকই। তবে তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ জানলে আশ্চর্য হবেনই। তিনি আর্যমান বিড়লা।
সচিন তেন্ডুলকর, বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মাদের নিয়ে জনমানসে কৌতূহলের অন্ত নেই। জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন তাঁরা। তাঁদের সম্পত্তির অঙ্কও নজরকাড়া। কিন্তু সচিন-বিরাটদের টপকে গিয়েছেন এই তরুণ ক্রিকেটার।
সচিন-বিরাটরা কেউই সোনার চামচ মুখে দিয়ে জন্মাননি। কঠোর পরিশ্রম আর ক্রিকেট সাধনার জেরেই তাঁরা সফল। তাঁদের সম্পত্তির অঙ্ক হাজার কোটি টাকারও বেশি। কিন্তু আর্যমানের ক্ষেত্রে গল্পটা অন্য রকম।
বিত্তশালী পরিবারের সন্তান। কোটি কোটি টাকার ছড়াছড়ি। ঠিক যেন রুপোলি পর্দায় ‘লার্জার দ্যান লাইফ’ জাতীয় গল্পের কোনও নায়ক। আর্যমানের কাহিনি অনেকটা তেমনই।
আর্যমানের বাবার সুনাম রয়েছে দেশে। দেশের অন্যতম নামী ব্যবসায়ী কুমার মঙ্গলম বিড়লার পুত্র আর্যমান। তাঁদের সংস্থার খ্যাতি রয়েছে দেশে। বিদেশেও।
এক জন সফল ব্যবসায়ী পরিবারের সন্তান আর্যমান। সেই সূত্রেই বৈভবে মোড়া জীবন তাঁর।
১৯৯৭ সালের ৯ জুলাই জন্ম আর্যমানের। মুম্বই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাণিজ্য বিভাগে ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। বাবা ব্যবসায়ী হলেও ক্রিকেটে মজেন আর্যমান।
২০১৭ সালের ২৫ নভেম্বর রঞ্জি ট্রফিতে মধ্যপ্রদেশের হয়ে বাইশ গজে হাতেখড়ি হয় আর্যমানের।
আইপিএলেও নাম লিখিয়েছেন আর্যমান। ২০১৮ সালে রাজস্থান রয়্যালস দলে যোগ দেন তিনি। ৩০ লক্ষ টাকায় আর্যমানকে কিনেছিল রাজস্থান দল।
ওই বছরের নভেম্বর মাসে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে প্রথম বার সেঞ্চুরি হাঁকান আর্যমান। তবে ক্রিকেট জীবনে পথচলা মসৃণ হয়নি তাঁর। বাইশ গজে সে ভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি তিনি।
পারিবারিক ব্যবসাতেও যোগ দিয়েছেন আর্যমান। বর্তমানে পারিবারিক ব্যবসাই সামলাচ্ছেন এই ক্রিকেটার।
আর্যমানদের সংস্থার বাজারমূল্য ৪.৯৫ লক্ষ কোটি টাকা। তাঁর বাবা কুমার মঙ্গলম বিড়লারই মোট সম্পত্তির পরিমাণ দেড় লক্ষ কোটি টাকা।
ফলে পৈতৃক সূত্রেই দেড় লক্ষ কোটি টাকার মালিক আর্যমান। এ ছাড়া তাঁর নিজের সম্পত্তির পরিমাণও নেহাত কম নয়!
শোনা যায়, আর্যমানের ব্যক্তিগত সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকা। দেশ তো বটেই, বিশ্বের অন্যতম ধনী ক্রিকেটার আর্যমানই।
বিরাট-রোহিতরা সফল ক্রিকেটার হয়েও সম্পত্তির দৌড়ে আর্যমানকে টেক্কা দিতে পারেননি। আর এই কারণেই আলাদা করে নজর কেড়েছেন আর্যমান।