রোলস রয়েস, অডি, বুগাটি, মার্সেডিজ়, ল্যাম্বরগিনি মায় টেসলার বহুচর্চিত সাইবার ট্রাক— কী নেই তালিকায়! পুত্রের আবদারে একাধিক অত্যাধুনিক গাড়ি তৈরি করেছেন নিজের হাতে। বাড়ির মধ্যেই। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি।
ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ের বাক নিহ শহরের বাসিন্দা ত্রুয়ং ভ্যান ডাও তাঁর পাঁচ বছরের পুত্রের জন্য শুধুমাত্র কাঠ দিয়েই তাকলাগানো এমন সব গাড়ি তৈরি করেছেন যা দেখে হতবাক সমাজমাধ্যম ব্যবহারকারীরা।
ইউটিউবে একটি চ্যানেলও রয়েছে ত্রুয়ং ভ্যান ডাওয়ের। সেই চ্যানেলে প্রতিটি গাড়ি তৈরির ভিডিয়ো নিয়মিত পোস্ট করে করেন তিনি।
গাড়ির যন্ত্রাংশ সংগ্রহ থেকে শুরু করে কাঠ চেরাই করে নির্দিষ্ট গাড়ির আদল দেওয়া বেশির ভাগ কাজই নিজের হাতে করেন ভ্যান। তবে তাঁকে সাহায্য করার জন্য দু’জন সহকারী রয়েছেন।
২০২৩ সালে টেসলার সাইবার ট্রাকের প্রতিলিপি তৈরি করে চমকে দিয়েছিলেন এই যুবক। টেসলার আসল গাড়িটির আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশের আগেই ত্রুয়ং তাঁর পুত্রের জন্য একটি কাঠের সাইবার ট্রাক তৈরি করে দেন।
১০০ দিন ধরে গাড়িটি তৈরি করতে ১২ কোটিরও বেশি টাকা খরচ হয়েছিল বলে সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছিলেন ত্রুয়ং ভ্যান ডাও।
টেসলার কর্ণধার ইলন মাস্কের ভক্ত ডাও তার এই প্রতিলিপি গাড়িটি উপহার দিতে চান স্বয়ং মাস্ককে।
প্রতিলিপি করা প্রতিটি গাড়ির ভিতরের কিছু কাঠামো ও সামনের অংশ ছাড়া গাড়িগুলির পুরোটাই কাঠ দিয়ে তৈরি করেছেন ডাও। গাড়িগুলির অন্দরসজ্জাও মানানসই। বাহিরসজ্জাও নিখুঁত ভাবে করা হয়েছে। গাড়িতে লাগানো রয়েছে এলইডি আলো।
ভ্যানের দাবি, জলে ভিজলেও কোনও ক্ষতি হবে না অত্যাধুনিক গাড়ির আদলে তৈরি কাঠের এই প্রতিলিপি গাড়িগুলির। ভ্যানের সব গাড়িই বৈদ্যুতিক।
প্রতিটি গাড়িতেই প্রস্তুতকারক সংস্থার প্রতীক খোদাই করা হয়েছে।
সমাজমাধ্যম এক্স হ্যান্ডল (সাবেক টুইটার) থেকে ভ্যান ডাও জানিয়েছিলেন, তিনি তার গাড়িটি উপহার দিতে চান ইলন মাস্ককে। সেই ভিডিয়োটি দেখেন কয়েক লাখ মানুষ। প্রতিক্রিয়া জানিয়ে অনেকেই লিখেছিলেন টেসলার উচিত ভ্যান ডাওয়ের থেকে শেখা।
এই ভিডিয়োটি নজর এড়ায়নি খোদ মাস্কেরও। তিনিও জবাবে এক্স হ্যান্ডলে তাঁর কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেছিলেন ভ্যান ডাওয়ের কাছে।
শুধু টেসলা নয়, অডির পক্ষ থেকেও তাদের গাড়ির প্রতিলিপির তৈরির জন্য ডাওকে আমন্ত্রণ করা হয়েছিল।
একদা যুদ্ধবিধ্বস্ত ভিয়েতনামের ইতিহাসকে মনে রেখে পুত্রকে একটি কাঠের সাজোয়াঁ গাড়ি উপহার দেন ভ্যান ডাও। সেই গাড়ি নিয়ে শহরের রাস্তায় পুত্রকে নিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন তিনি।