বিজয় সেতুপতি তামিল চলচ্চিত্র জগতে প্রতিষ্ঠিত অভিনেতা এবং প্রযোজক। ভক্তদের কাছেও তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয়।
তামিল চলচ্চিত্রের দুনিয়ায় তিনি ‘মাক্কাল সেলভান’ নামে পরিচিত। যার অর্থ ‘জনগণের ধন’।
তবে শুধু অভিনেতা নয়, এক জন সমাজকর্মী এবং প্রকৃত পরোপকারী হিসেবেও তাঁর জুড়ি মেলা ভার।
এক লক্ষেরও বেশি মানুষকে চাকরি পেতে সাহায্য করেছেন বিজয়!
তবে সংবাদমাধ্যম ও সাধারণের অগোচরেই তিনি দীর্ঘদিন ধরে বহু মানুষের উপকার করে চলেছেন।
বীররাঘবন নামে এক ব্যক্তি একটি অসরকারি সংস্থা (এনজিও)-র সঙ্গে যুক্ত। এই অসরকারি সংস্থা বিনামূল্যে তরুণদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে। এর জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজও করে এই সংস্থা।
এই অসরকারি সংস্থা পুদুচেরি এবং তামিলনাড়ুর অনেক বেসরকারি সংস্থাকে নির্ভরযোগ্য কর্মী খুঁজে দিয়ে সাহায্য করে।
বীররাঘবন সরকারি স্কুলের শিক্ষক হিসাবে কাজ করতেন। ২০১৬ সালে তিনি অস্থায়ী চুক্তির ভিত্তিতে বিভিন্ন কর্মহীন যুবককে চাকরি খুঁজে পেতে সাহায্য শুরু করেন। ২০১৯ সাল নাগাদ তিনি তিন হাজার জনেরও বেশি তরুণ-তরুণীকে চাকরি পেতে সাহায্য করেন।
এর পর ২০১৯ সালে তিনি সরকারি চাকরি ছেড়ে সব সময়ের জন্য এই কাজে ব্রতী হন।
বিজয় এই বিষয়টি জানার পর একটি রিয়েলিটি শো-তে বিশেষ অতিথি হিসেবে বীররাঘবনকে ডেকে পাঠান।
তাঁর শো ‘নাম্মা ওরু হিরো’, যার অর্থ ‘আমাদের গ্রামের নায়ক’ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানান বীররাঘবনকে। এই অনুষ্ঠানের সঞ্চালক হিসাবে কাজ করছিলেন বিজয়।
বীররাঘবন জানান, অনুষ্ঠানের শ্যুটিং শেষ হওয়ার পরে বিজয় তাঁকে যথাসাধ্য সাহায্য করবেন বলে আশ্বাস দেন।
বীররাঘবন বলেন, “অনুষ্ঠান টিভিতে সম্প্রচারিত হওয়ার পর পরই, একাধিক বেসরকারি সংস্থা থেকে চাকরিপ্রার্থীদের খোঁজে আমার কাছে ফোন আসতে থাকে। আমি এই বিষয়টি বিজয়কে জানালে, তিনি অবিলম্বে আমাকে পুদুচেরিতে অফিস তৈরি করে দেন।’’
অফিস চালানোর জন্য বিজয় তাঁকে কর্মচারীর ব্যবস্থা করে দেন বলেও বীররাঘবন জানান।
পাশাপাশি বীররাঘবন এবং অফিসের সব কর্মীর বেতনের দায়িত্বও নেন বিজয়।
২০২২ সালের ২০ মার্চ মোট এক লক্ষ ১৩৩ জনকে চাকরি পেতে সাহায্য করে এই অসরকারি সংস্থা। তবে তার অনেকটা কৃতিত্ব বিজয়েরই।