Germany

The World's Weirdest Border: দুই পাশে জার্মানি, মাঝে বেলজিয়াম, বিচিত্র এই সীমান্তে আগে ছুটত রেলগাড়ি, এখন সাইকেল!

জার্মানি-বেলজিয়াম সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় একটি প্রাচীন এবং অব্যবহৃত রেলপথ ছিল। যার নাম ফেনবান। এখন সেখানে রাস্তায় সাইকেল চালান আরোহীরা।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০২২ ১৫:১৫
Share:
০১ ১৫

রাস্তার এ পারে জার্মানি। মধ্যিখানের জায়গা বেলজিয়ামের। আবার রাস্তার ও পার জার্মানির দখলে। বিশ্বের যে সমস্ত জটিল সীমান্ত রয়েছে, তার মধ্যে জার্মানি-বেলজিয়ামের এই এলাকা উল্লেখযোগ্য। এই সীমান্ত এলাকার বিবরণই এখানে তুলে ধরা হল।

০২ ১৫

জার্মানি-বেলজিয়াম সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় একটি প্রাচীন এবং অব্যবহৃত রেলপথ ছিল। যার নাম ফেনবান।

Advertisement
০৩ ১৫

তিন দেশের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে এই রেলপথ। শুরু হয়েছে জার্মানির আখেন শহর থেকে। এর পর রেলপথ গিয়েছে বেলজিয়ামের মধ্যে। শেষ অংশটি উত্তর লুক্সেমবার্গের ত্রভিয়ের্জের মধ্যে পড়েছে।

০৪ ১৫

এই এলাকাটি আদতে ছিল প্রুশিয়ার অধীনে। যা ১৮৭১ সালে জার্মান সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়।

০৫ ১৫

এলাকাগুলির মধ্যে সমন্বয় সাধনের লক্ষ্যে ১৮৮২ সালে এই রেলপথ নির্মাণ করা হয়। তবে আখেনের কয়লাখনি থেকে কয়লা নিয়ে লুক্সেমবার্গ ও লোরেনে নিয়ে যাওয়া হত মূলত। সেখানে ইস্পাত শিল্পের প্রসারের কাজেই কয়লা নিয়ে যাওয়া হত।

০৬ ১৫

প্রথম বিশ্বযুদ্ধে পরাজয়ের জেরে ক্ষতিপূরণস্বরূপ ইউরোপের দেশগুলিকে অনেক জমি ছাড়তে হয়েছিল জার্মানিকে। ফলে জার্মানির বেশ কিছু এলাকা বেলজিয়ামের দখলে চলে যায়। ওই এলাকার মধ্যে দিয়েই গিয়েছে ফেনবান।

০৭ ১৫

ফেনবান নির্মিত হয়েছিল জার্মানির মানুষষের শ্রমে। তাই তাঁদের দেশেই এই রেলপথ থাকা উচিত বলে দাবি করেছিল জার্মানি।

০৮ ১৫

কিন্তু এর বিরোধিতা করে বেলজিয়াম। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয় যে, এলাকাটি তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ফলে এই এলাকায় অবস্থিত যাবতীয় নির্মাণের উপর তাদের সার্বভৌম অধিকার রয়েছে।

০৯ ১৫

ফেনবান বেলিজিয়ান রেলওয়েরই অংশ হিসেবে স্বীকৃতি পায়। মজার ব্যাপার হল, ফেনবানের কিছু অংশ জার্মানির এলাকার মধ্যে দিয়ে গিয়েছে।

১০ ১৫

আর এর জেরেই সীমান্তে জটিলতা তৈরি হয়েছে। এই রেলপথ বেলজিয়ামের এলাকা অতিক্রম করে জার্মানির মধ্যে প্রবেশ করেছে।

১১ ১৫

শুধু মাত্র ফেনবানের দৌলতে জার্মানিতে সাতটি ছিটমহল ও বেলজিয়ামে একটি ছিটমহল রয়েছে। বর্তমানে জার্মান ছিটমহলের সংখ্যা পাঁচ।

১২ ১৫

দুই দেশের ভূখণ্ডের মধ্যে রেল পরিষেবায় যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সে জন্য একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। যেমন ট্রেন ভাড়া বা মাল-সামগ্রীর পরিবহণ মাশুল জার্মান ও বেলজিয়ান মুদ্রায় প্রদান করা যেত।

১৩ ১৫

রেলপথের দু’দেশের বাসিন্দাদের জন্য কর ছাড়ের ব্যবস্থা ছিল।

১৪ ১৫

১৯৪০ সালে অ্যাডলফ হিটলার পুনরায় ওই এলাকা দখল করেছিলেন। ফেনবানকে পুরোপুরি জার্মান রেলপথ হিসাবে পরিষেবায় ফেরানো হয়। ২০০০ সালের দশক পর্যন্ত এই রেল পরিষেবা চালু ছিল। এর পর পরিত্যক্ত হয়ে যায় রেলপথ।

১৫ ১৫

বেশির ভাগ রেললাইন সরিয়ে ফেলা হয়। রেলপথের অংশটিতে ১২৫ কিমি লম্বা সুন্দর রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। যা সাইকেল চালকদের জন্য ব্যবহৃত হয়। রাস্তার দু’পাশে মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশ মন টানবেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement