যিনি রাঁধেন তিনি চুলও বাঁধেন। এই প্রবাদ মেলে অশিতা সুদের ক্ষেত্রে। অশিতা এক দিকে যেমন আইনজীবী, তেমনই এক জন ইনস্টাগ্রাম প্রভাবী। রান্নাবান্নাতেও সমান পটু তিনি। রূপও যে কোনও বলি অভিনেত্রীকে টক্কর দেওয়ার মতো।
অশিতা বেঙ্গালুরুর একজন পেশাদার আইনজীবী। কিন্তু অবসর সময় কাটান ইনস্টাগ্রাম প্রভাবী হিসাবে। তবে আরও একটি পরিচয় রয়েছে অশিতার, তিনি ভারতীয় ব্যাটার মায়াঙ্ক আগরওয়ালের স্ত্রী।
অশিতা কর্নাটকের ডিজিপি প্রবীণ সুদের মেয়ে। তাঁর পরিবারের সকলেই উচ্চশিক্ষিত।
২০১০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বেঙ্গালুরুর ‘ক্রাইস্ট ইউনিভার্সিটি’তে আইন নিয়ে পড়াশোনা করেন অশিতা। এর পর তিনি লন্ডনের ‘কুইন মেরি ইউনিভার্সিটি’তে চলে যান।
২০১৭ সালে লন্ডন থেকে মেধা সম্পত্তি আইন (ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি ল) নিয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন অশিতা।
হিন্দি, কন্নড়, ইংরেজি এবং ফরাসি— এই চার ভাষায় সাবলীল ভাবে কথা বলতে পারেন অশিতা। নতুন নতুন জায়গায় ঘুরে বেড়ানো এবং বিভিন্ন সংস্কৃতিতে নিজেকে খাপ খাইয়ে নেওয়ার জন্যই তিনি একাধিক ভাষা শিখেছেন বলে অশিতার দাবি।
কিন্তু কী ভাবে ক্রিকেটার মায়াঙ্কের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লেন অশিতা? মায়াঙ্ক এবং অশিতার প্রথম দেখা হয়েছিল দীপাবলি উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে।
অশিতার পরিবারের তরফেই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। প্রথম দেখাতেই একে অপরের প্রেমে পড়েন তাঁরা। কয়েক দিনের মধ্যেই বুকে সাহস নিয়ে অশিতাকে প্রেম নিবেদন করেন মায়াঙ্ক। অশিতাও সেই প্রস্তাবে সাড়া দিয়েছিলেন।
চুটিয়ে প্রেম করতে শুরু করেন এই জুটি। বিয়ের আগে অনেক আন্তর্জাতিক সফরেও অশিতাকে সঙ্গী করে নিয়ে গিয়েছিলেন মায়াঙ্ক।
২০১৮ সালের জানুয়ারিতে বাগ্দান পর্ব সেরে ফেলেন মায়াঙ্ক এবং অশিতা। একই বছরের ৪ জুন তাঁদের চারহাত এক হয়। নতুন ইনিংস খেলতে জীবনের মাঠে নামেন যুগল।
চার বছর পর অর্থাৎ ২০২২-এর ৮ ডিসেম্বর পুত্রসন্তান আয়াংশের জন্ম দেন অশিতা।
মায়াঙ্কের মতোই তাঁর স্ত্রীও সমাজমাধ্যমে যথেষ্ট জনপ্রিয়। ইনস্টাগ্রামে তাঁর ১ লক্ষেরও বেশি অনুগামী রয়েছে।
আইনব্যবসার পেশার সঙ্গে যুক্ত থেকেও স্বামী-সন্তান-সংসার খুব সুন্দর ভাবে সামলান অশিতা। দেশি-বিদেশি পদ রান্না করারও শখ রয়েছে তাঁর।
আইপিএলের চলতি মরশুমে সাইরাইজ়ার্স হায়দরাবাদের হয়ে খেলছেন মায়াঙ্ক। কেরিয়ারের শুরু ভাল হলেও বর্তমানে তাঁর ব্যাটে সে রকম ভাবে রান উঠছে না।
চলতি মরশুমের নিলামে আইপিএলে মায়াঙ্ককে ৮ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা দিয়ে কিনেছিল হায়দরাবাদের দল। এর আগে তিনি খেলতেন পঞ্জাবের হয়ে।