আবার সামনে এল বিপজ্জনক মোবাইল অ্যাপের তালিকা। ওই সব অ্যাপের বিরুদ্ধে অবৈধ ভাবে গ্রাহকের তথ্য ব্যবহার করা থেকে শুরু করে অসৎ উপায়ে গ্রাহকের থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে।
গত ডিসেম্বরে এ রকম ক্ষতিকারক কিছু অ্যাপকে গুগল্ তাঁদের প্লে-স্টোর থেকে মুছে ফেলেছিল। ফেব্রুয়ারি মাসেও তাঁরা ২৯টি অ্যাপের বিরুদ্ধে একই পদক্ষেপ করেছিল।
এ বারের তাঁরা প্লে-স্টোর থেকে মুছে ফেলল ক্ষতিকারক ১৭টি অ্যাপ।
এই ১৭টি অ্যাপের মধ্যে কোনও কোনওটি ৫০ হাজারেরও বেশি বার ডাউনলোড করা হয়েছিল। বেশ কিছু অ্যাপের রেটিং ছিল ৪.৮।
নীচে উল্লেখ করা কোনও অ্যাপ যদি আপনার ফোনে ইনস্টল করা থাকে তবে সেটিকে এখনই ডিলিট করে ফেলুন।
ডকুমেন্ট ম্যানেজার- ‘স্যাফরন টেক’ নামক সংস্থার এই অ্যাপটি ডকুমেন্ট, পিডিএফ এক জায়গায় রাখতে সাহায্য করত। কিন্তু অ্যাপটির বিরুদ্ধে ব্যবহারকারীদের মেল অ্যাড্রেস ও নানা তথ্য অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে।
কয়েন ট্র্যাক লোন— অনলাইন লোন প্রদানকারী এই অ্যাপটির বিরুদ্ধে অকারণে গ্রাহককে হেনস্থার অভিযোগ রয়েছে। গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য অপব্যবহার করার অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে এই অ্যাপের বিরুদ্ধে।
কুল কলার স্ক্রিন— ‘হেনড্রিকসন’ নামক সংস্থার এই অ্যাপটিকে ব্যবহার করে ফোনের ইন্টারফেস পাল্টানো যেত। গুগল্ তাঁদের প্লে-স্টোর থেকে মুছে ফেলেছে অ্যাপটিকে।
পিএসডি অথ প্রটেক্টর— গ্রাহকের অজান্তেই তাঁদের মোবাইলে ম্যালওয়্যার ঢুকিয়ে তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে অ্যাপটির বিরুদ্ধে।
ক্রুমা কিবোর্ড— ইতালীয় সংস্থা ‘লুপসি এসআরএল’-এর এই অ্যাপটির বিরুদ্ধে ব্যবহারকারীর তথ্য হাতানোর অভিযোগ রয়েছে।
ক্যমেরা ট্রান্সলেটর প্রো— ভিয়েতনামের সংস্থা ‘ইভলি অ্যাপ’-এর তৈরি এই অ্যাপটিকে নিষিদ্ধ করেছে গুগল্। এই অ্যাপের মাধ্যমে ফোনের ক্যামেরার সাহায্যে যে কোনও লেখা অনুবাদ করা যেত।
ফাস্ট পিডিএফ স্ক্যানার— এই অ্যাপটিও একটি ভিয়েতনামি সংস্থার তৈরি। এর মাধ্যমে যে কোনও ডকুমেন্টকে স্ক্যান করে পিডিএফে পরিণত করা যেত। অ্যাপটিতে ম্যালওয়্যার থাকার অভিযোগ রয়েছে।
এয়ার বেলুন ওয়ালপেপার— এই অ্যাপটির মাধ্যমে গ্যাস বেলুনের ছবি মোবাইলের ওয়ালপেপার হিসেবে রাখা যেত।
কালারফুল মেসেঞ্জার— মোবাইলের চ্যাটবক্সের ইন্টারফেস পাল্টানোর জন্য এই অ্যাপটি ব্যবহার করা হত।
থাগ ফোটো এডিটর— প্লে-স্টোরে ৪.৬ রেটিং ছিল এই অ্যাপটির। এক কোটিরও বেশি বার ডাউনলোড করা হয়েছে অ্যাপটিকে। যে কোনও ছবিকে নানা রকম ভাবে এডিট করে মজাদার করে তোলা যেত এই অ্যাপটির মাধ্যমে।
এ ছাড়াও অ্যানিমে ওয়ালপেপার, পিস এসএমএস, হ্যাপি ফোটো কোলাজ, পেলেট মেসেজ, স্মার্ট কিবোর্ড, ৪কে ওয়ালপেপার এবং অরিজিনাল মেসেঞ্জার নামক অ্যাপগুলিকে প্লে-স্টোর থেকে মুছে ফেলেছে গুগল্।
বড়সড় কোনও ক্ষতি হওয়ার আগেই গুগল্ অ্যাপগুলির বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ করেছে।
এই অ্যাপগুলি অবৈধ ভাবে ব্যবহারকারীদের অজ্ঞাতে তাঁদের মেল, বিভিন্ন পাসওয়ার্ড, ক্রেডিট কার্ডের যাবতীয় তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছিল।
এই সকল ক্ষতিকারক অ্যাপের হাত থেকে বাঁচতে আপনাকে নির্দিষ্ট কিছু পন্থা অবলম্বন করে চলতে হবে।
গুগল্ প্লে-স্টোর থেকে সবসময় নির্ভরযোগ্য অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে।
সন্দেহজনক কোনও অ্যাপ মোবাইলে চোখে পড়লেই তৎক্ষণাৎ সেটিকে মুছে ফেলতে হবে।
যদি সম্ভব হয়ে তবে বিশ্বস্ত সংস্থার ভিপিএন (ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক) ব্যবহার করা যেতে পারে।