সমাজবাদী পার্টির শুরুর দিন থেকে পথচলা শুরু। দীর্ঘ রাজনীতির অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। পেয়েছেন বহু সম্মান। সেই এসপি পার্টির সাংসদ শফিকুর রহমান বর্ক প্রয়াত হলেন। তিনিই ছিলেন দেশের প্রবীণতম সাংসদ।
প্রবীনতম এই সাংসদের বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর। মঙ্গলবার সকালে তাঁর মৃত্যুর খবর জানা যায় এসপি সূত্রে। দীর্ঘ দিন বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগেছেন। মৃত্যুর সময় মোরাদাবাদের হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি।
দলের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে লেখা হয়, “একাধিক বারের সাংসদ শফিকুর রহমান বর্কের মৃত্যুতে আমরা দুঃখিত। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি।”
শফিকুরের পরিবারকে সমবেদনা জানিয়ে নিজের এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করেন এসপি প্রধান তথা উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব।
উত্তরপ্রদেশের সম্ভল কেন্দ্রের সাংসদ ছিলেন শফিকুর। ২০০৯ এবং ২০১৯ সালে সম্ভল থেকে জিতে তিনি লোকসভায় যান।
তার আগে ১৯৯৬, ১৯৯৮ এবং ২০০৪ সালে মোরাদাবাদ লোকসভা আসন থেকে জয়ী হন তিনি।
সম্ভল থেকে চার বার বিধায়ক হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন শফিকুর। হয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রীও।
দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী চৌধরি চরণ সিংহের হাত ধরে রাজনীতিতে আসেন শফিকুর।
যে সব নেতা মুলায়ম সিংহ যাদবের সঙ্গে এসপি গঠন করেছিলেন, তাঁদের মধ্যে শফিকুর ছিলেন অন্যতম।
দেশের বিবিধ বিষয়ে মুসলমান সম্প্রদায়ের হয়ে শক্তিশালী স্বর হিসাবে তাঁকে শ্রদ্ধা করতেন সব রাজনৈতিক দলের নেতারাই।
গত বছর সংসদের বিশেষ অধিবেশনে শফিকুরকে বসে থাকতে দেখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, “৯৩ বছর বয়সেও সম্ভলের সাংসদ শফিকুর রহমান বর্ক এখানে বসে রয়েছেন। সংসদের প্রতি এমনই আনুগত্য থাকা উচিত।”