শোওয়ার ঘরে রাতের অন্ধকারে বা আলো জ্বালিয়ে সঙ্গম করার সময় মানুষ নিজের সঙ্গীর সঙ্গে বিভিন্ন পরীক্ষানিরীক্ষা করে থাকেন।
মাঝেমধ্যে স্বাদবদলের জন্য বদল আসে সঙ্গম করার পদ্ধতিতেও। বদল আসে সঙ্গমের ভঙ্গিমাতে। সঙ্গমকে আরও উত্তেজনাপূর্ণ করে তুলতে সঙ্গমের মুহূর্তে কার অবস্থান কোথায় থাকবে, তা নিয়েও বার বার পরীক্ষানিরীক্ষা চলতে থাকে।
কিন্তু পৃথিবীতে এমন কিছু অদ্ভুত যৌনমিলনের প্রথা রয়েছে, যা জানলে আপনি অবাক হতে পারেন।
অস্ট্রিয়ার বেশ কিছু প্রত্যন্ত এলাকায় অল্পবয়সি মহিলারা একটি ঐতিহ্যবাহী নৃত্য পরিবেশন করেন। এই অনুষ্ঠানে নৃত্যরত মহিলারা বগলের নীচে এক টুকরো আপেল রেখে নাচতে থাকেন।
অনুষ্ঠান শেষে ওই মহিলারা নিজেদের পছন্দের পুরুষের কাছে যান এবং ওই আপেলের টুকরোটি তাঁর দিকে বাড়িয়ে দেন। যদি পুরুষটি ওই আপেলের টুকরোটি খেয়ে নেন, তা হলে তার মানে দাঁড়াবে এই যে, ওই পুরুষটি ওই মহিলার সঙ্গে যৌন আনন্দে লিপ্ত হতে রাজি। এর পরই এই যুগল উদ্দাম যৌন মিলন শুরু করেন।
আর যদি ওই পুরুষ আপেলের টুকরোটি ফিরিয়ে দেন, তা হলে আর তাঁদের মধ্যে যৌন মিলনের কোনও সম্ভাবনা থাকে না। আপেলের টুকরো নিয়ে অন্য পুরুষের দিকে এগিয়ে যান মহিলা।
মহাভারতে পাণ্ডবদের পাঁচ ভাইয়ের এক মাত্র স্ত্রী ছিলেন দ্রৌপদী। এই একই ঘটনার নিদর্শন পাওয়া যায় নেপালের কিছু উপজাতির মধ্যে।
নেপালের এই উপজাতির মধ্যে চল রয়েছে, বাড়ির সমস্ত ছেলে মিলে এক জন মহিলাকে বিয়ে করার। এর কারণ অবশ্য খুবই অদ্ভুত। যাতে সম্পত্তির বেশি ভাগ না হয়, সেই কারণেই সব ভাই মিলে এক জন মহিলাকে বিয়ে করেন। আর তাই এই উপজাতির পুরুষেরা বেশি সন্তানের জন্ম দেওয়াতেও বিশ্বাসী নন।
কুক দ্বীপপুঞ্জের একেবারে দক্ষিণ প্রান্তে মাঙ্গাইয়া দ্বীপ। দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে নিউজিল্যান্ডের থেকে মুক্ত একটি স্বশাসিত দ্বীপরাষ্ট্র। এই দ্বীপ এক অদ্ভুত যৌন ঐতিহ্যের কারণে বিখ্যাত।
মাঙ্গাইয়া দ্বীপে অল্পবয়সী যুবকদের সঙ্গে যৌনমিলন করেন বয়স্ক মহিলারা। কী ভাবে অল্পবয়সি যুবকেরা নিজের সঙ্গীকে খুশি করবেন, তা শেখানোর জন্যই তাঁদের প্রথমে বয়স্ক মহিলাদের সঙ্গে সঙ্গম করতে বলা হয়।
প্রাচীন গ্রিসে বিবাহিত এবং অবিবাহিত প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষেরা কিশোরদের সঙ্গে সঙ্গম করতেন। তবে শিশুদের সঙ্গে সঙ্গম করা হত না। সদ্য বয়ঃসন্ধি পেরনো কিশোর, যাদের বয়স সাধারণত ১৫ থেকে ১৯ বছরের মধ্যে, তাদের সঙ্গেই যৌনমিলন করতেন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষেরা।
কম্বোডিয়ার ক্রেউং উপজাতি তাদের সম্প্রদায়ের কিশোরী মেয়েদের সঙ্গমের জন্য একটি করে কুঁড়েঘর তৈরি করে। তবে মজার বিষয় হল, প্রতিদিন এই কুঁড়েঘরে আলাদা আলাদা ছেলেরা এসে এক রাত করে কাটায়। ওই কিশোরী উপযুক্ত সঙ্গী খুঁজে পেয়েছে বলে ঘোষণা করলে, তবেই বন্ধ হয় আলাদা আলাদা ছেলেদের আনাগোনা।
পশ্চিম আফ্রিকার নাইজারের ওদাবে উপজাতির বাসিন্দাদের বিয়ে দেওয়া হয় ছোটবেলাতেই। এর পর তারা বড় হলে বাৎসরিক গেরেওল উৎসবে ওদাবে পুরুষরা মেকআপ করে এবং পোশাক পরে অন্য পুরুষের স্ত্রী চুরি করার চেষ্টা করে।
যদি কোনও পুরুষ অন্য পুরুষের স্ত্রীকে চুরি করতে সক্ষম হন, তা হলে তারা একসঙ্গে থাকার অনুমতি পান। বৌহারা পুরুষটির কপালে আসে অন্য এক মহিলা।
মুরিয়া উপজাতির যুবকদের ‘ঘোটুল’ নামক ছাত্রাবাসে পাঠানো হয়। তবে এই ছাত্রাবাসে সাধারণ পড়াশুনা হয় না। এখানে শেখানো হয় সঙ্গমের পাঠ।
ঘোটুল-এ ছেলে-মেয়ে উভয়েই যায়। সেখানে ছেলে-মেয়েদের কাছাকাছি রাখা হয়, যাতে তারা যৌনমিলন শুরু করে। কিছু ঘোটুলে, কিশোর-কিশোরীর একটি মাত্র সঙ্গীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের শিক্ষা দেওয়া হয়। আবার কিছু ঘোটুলে শেখানো হয় যে, কেউ যেন কোনও এক বিশেষ জনের প্রতি দুর্বল না হয়ে পড়ে।
পাপুয়া নিউ গিনির অন্যতম বিশেষ উপজাতি সাম্বিয়ান। সাম্বিয়ান উপজাতির ছেলেদের সাত বছর বয়স হলেই মেয়েদের থেকে আলাদা করে রাখা হয়। ১০ বছর পর্যন্ত তাদের কোনও মেয়ের আশেপাশে যেতে দেওয়া হত না।
১০ বছর ধরে এই ছোট ছেলেগুলিকে সাম্বিয়ান উপজাতির সবথেকে শক্তিশালী যোদ্ধার বীর্য পান করতে হয়। বিশ্বাস করা হয়, এই নিয়ম মেনে চললে ছেলেরাও বড় যোদ্ধা হবে এবং তারা সঙ্গীদের সমস্ত রকম যৌনসুখ দিতে সমর্থ হবে।
আয়ারল্যান্ডের কাছে থাকা ইনিস বেগ দ্বীপে মানুষেরা নিজেদের অন্তর্বাস পরেই সঙ্গম করেন। চরম ঘনিষ্ঠ মুহূর্তেও তাঁরা নিজেদের অন্তর্বাস খুলে রাখেন না।