জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের সময় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল তাঁকে। প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রধান অতিথি হয়ে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবু কেন আসছেন না জো বাইডেন?
আগামী প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ কর্মসূচিতে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
বাইডেনের অনুপস্থিতির কারণে জানুয়ারির চতুর্থ সপ্তাহে কোয়াড (‘কোয়াড্রিল্যাটেরাল সিকিউরিটি ডায়লগ’) বৈঠকও বাতিল হচ্ছে বলে ওই সূত্রের দাবি।
সেপ্টেম্বরে নয়াদিল্লিতে জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের পার্শ্ববৈঠকে বাইডেনকে ২৬ জানুয়ারির কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন মোদী। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সে বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়নি।
যদিও ভারতে নিযুক্ত আমেরিকার রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেটি সে কথা জানিয়ে বলেছিলেন, ‘‘আমাদের প্রেসিডেন্ট জানুয়ারির শেষপর্বে ভারত সফরের বিষয়ে বিবেচনা করছেন।’’
শুধু বাইডেন নয়, চর্তুদেশীয় অক্ষের (কোয়াড) বোঝাপড়া বৃদ্ধির লক্ষ্যে আগামী ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসে ‘বিশেষ অতিথি’ হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদাকে আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে বলে সে সময় কেন্দ্রের একটি সূত্রে ‘খবর’ মিলেছিল।
সে ক্ষেত্রে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের মোকাবিলায় কোয়াড-এর চার সদস্যরাষ্ট্রের (ভারত, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া এবং জাপান) সমন্বয় আরও নিবিড় করার লক্ষ্যে নয়াদিল্লিতে চার রাষ্ট্রনেতার বৈঠক হবে বলেও জানা গিয়েছিল।
কিন্তু বাইডেনের অনুপস্থিতির কারণে সেই বৈঠক হবে না বলে সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে নয়াদিল্লির রাজপথে প্রজাতন্ত্র দিবসের কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসাবে আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল ভারত সরকার।
কিন্তু, ঘরোয়া কর্মসূচির কারণে সেই আমন্ত্রণ রক্ষা করতে পারেননি ট্রাম্প। তার আগে, ২০১৫ সালে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসাবে প্রজাতন্ত্র দিবসের কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসাবে হাজির ছিলেন বারাক ওবামা।