সংসদে পা পঁচিশেই। তাঁরা যেন নতুন যৌবনের দূত। এ বারের কনিষ্ঠতম সাংসদ তাঁরা। দুই অঙ্কের সংখ্যা চার জনকে বেঁধে রেখেছে এক সুতোয়। মঙ্গলবার লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশ পাওয়ার পর সবচেয়ে কম বয়সের জয়ী প্রার্থী হিসাবে নজর কাড়লেন তাঁরা।
২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর নজর কেড়েছিলেন আম আদমি পার্টির (আপ) রাঘব চড্ডা। পাঁচ বছর পর লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশ পেতেই চার জন বিজয়ী নজর কেড়েছেন। তাঁদের প্রত্যেকের বয়স ২৫ বছর। ২৫ বছরেই লোকসভা ভোটে লড়াইয়ের জন্য টিকিট পাওয়া যায়। প্রথম সুযোগেই বাজিমাত করলেন চার তরুণ-তরুণী।
বিহারের সমস্তিপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন সম্ভবী চৌধুরি। লোক জনশক্তি পার্টির (এলজেপি) হয়ে লড়েছেন তিনি।
সম্ভবীর বাবা অশোক চৌধুরি বিহারের মন্ত্রী।
ভোটের প্রচারে বেরিয়ে নরেন্দ্র মোদী এনডিএ জোটের কনিষ্ঠতম প্রার্থী হিসাবে পরিচয় করিয়েছিলেন সম্ভবীর। শুধু তা-ই নয়, নেত্রী হিসাবে তাঁর প্রশংসাও করেছিলেন মোদী।
সম্ভবীর বয়স ২৫ বছর। সমস্তিপুর কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী সানি হাজারিকে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন তরুণী।
জয়ী প্রার্থী হিসাবে নজর কেড়েছেন আরও এক জন। তিনিও পঁচিশের তরুণী। নাম সঞ্জনা যাতব।
রাজস্থানের ভরতপুর কেন্দ্র থেকে কংগ্রেসের প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন সঞ্জনা। বিজেপি প্রার্থী রামস্বরূপ কোলিকে ৫০ হাজারের বেশি ভোটে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন তিনি।
২০২৩ সালে রাজস্থানের বিধানসভা নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন সঞ্জনা। কিন্তু জয়ের মুকুট পরতে পারেননি তিনি।
রাজস্থানের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থীর কাছে পরাজিত হয়েছিলেন সঞ্জনা। সঞ্জনার বিপক্ষে লড়াই করতে নেমেছিলেন বিজেপি প্রার্থী রমেশ খেড়ি। মাত্র ৪০৯ ভোটে হেরেছিলেন সঞ্জনা।
বিধানসভা নির্বাচনে ৪০৯ ভোটের ব্যবধানের জবাব লোকসভা নির্বাচনে দশ গুণের বেশি মাত্রায় ফিরিয়ে দিয়েছেন সঞ্জনা। এ বার ৫০ হাজারের বেশি ব্যবধানে বিজেপির সঙ্গে রাজনীতির মাঠে লড়াই করে জিতেছেন তিনি।
২৫ বছরের সঞ্জনা বিবাহিতা। তাঁর স্বামী অবশ্য রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নন, তিনি পেশায় পুলিশকর্মী।
নজর কেড়েছেন আরও দুই জয়ী। তাঁদের শুধু বয়সই এক নয়, পদবিও এক। সমবয়সি এবং সমপদবির দুই প্রার্থী আবার একই দলের সদস্য। তাঁরা হারিয়েওছেন একই দলের বিরোধী প্রার্থীকে। পুষ্পেন্দ্র সরোজ এবং প্রিয়া সরোজের বাবারাও রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।
উত্তরপ্রদেশের কৌশাম্বি কেন্দ্র থেকে সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী হয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন পুষ্পেন্দ্র। বিজেপি প্রার্থী হিসাবে কৌশাম্বি থেকে দাঁড়িয়েছিলেন বিনোদকুমার শঙ্কর।
বিনোদকুমারকে এক লক্ষের সামান্য বেশি ভোটে হারিয়ে দিয়েছেন ২৫ বছরের পুষ্পেন্দ্র। উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মন্ত্রী এবং পাঁচ বারের বিধায়ক ইন্দ্রজিৎ সরোজের পুত্র পুষ্পেন্দ্র।
উত্তরপ্রদেশের মছলিশহর কেন্দ্র থেকে সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী হিসাবে দাঁড়িয়েছিলেন প্রিয়া সরোজ। তিন বারের সাংসদ তুফানি সরোজের কন্যা তিনি।
মছলিশহর কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী ভোলানাথ সরোজকে ৩৫ হাজারের বেশি ভোটে হারিয়েছেন ২৫ বছরের প্রিয়া।