তিন দশক ধরে বলিউডে রাজত্ব করে চলেছেন সলমন খান। ১৯৮৮ সালে বলিপাড়ায় পা রেখে একের পর এক সুপারহিট ছবি উপহার দিয়ে গিয়েছেন দর্শককে। বর্তমানে উপার্জনের শীর্ষে থাকা অভিনেতাদের মধ্যে তিনি অন্যতম।
সংবাদ সংস্থার সূত্রের খবর অনুযায়ী, সলমনের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৪০ কোটি ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৩১৮৩ কোটি টাকা)।
সলমনের সম্পত্তির কথা বললে সবার আগে চোখের সামনে ভেসে ওঠে মুম্বইয়ের ‘গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্ট’-এর ছবি। সাধারণত, এই বা়ড়ির সামনেই ভিড় করে থাকেন ‘ভাইজান’-এর অনুরাগীরা। সংবাদ সংস্থা সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, এই বিলাসবহুল বাড়ির মূল্য ১০০ কোটি টাকা।
সলমন মাঝেমধ্যেই নিজের পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে সময় কাটাতে চলে যান মুম্বইয়ের অদূরে পানভেলের খামারবাড়িতে। দেড়শো একর জমির উপর তৈরি এই খামারবাড়িটি মনের মতো করে সাজিয়েছেন অভিনেতা। জিম থেকে শুরু করে সুইমিং পুল, সামনে বিশাল সবুজে ঘেরা জমি... কী নেই এই খামারবাড়িতে!
পোষ্যদের থাকার জন্য আলাদা জায়গাও রয়েছে এখানে। রয়েছে আস্তাবলও। এই আস্তাবলে পাঁচটি ঘোড়া রয়েছে। শোনা যায়, এই খামারবাড়িটি বানাতে ৮০ কোটি টাকা খরচ করেছেন সলমন।
পানভেল ছাড়াও মুম্বইয়ের গোরাই সমুদ্রসৈকতের কাছে একটি বাংলো কিনেছেন অভিনেতা। পাঁচ বেডরুমবিশিষ্ট এই বাংলোতে রয়েছে জিম, বিশাল সুইমিং পুল, থিয়েটার এবং বাইক রাখার আলাদা জায়গা।
এখানে বছরের বিশেষ বিশেষ সময়ে পরিবারের সঙ্গে ছুটি কাটাতে যান সলমন। এই বিলাসবহুল বাংলোর মূল্য অবশ্য জানা যায়নি।
সময় কাটাতে মাঝেমধ্যেই দুবাইয়ে পাড়ি দেন সলমন। সেখানেও একটি বিলাসবহুল বাড়ি রয়েছে তাঁর। বুর্জ খলিফার কাছে অবস্থিত এই বহুমূল্য বাড়িরও দাম জানা যায়নি।
সমুদ্রের বুকে ঘনিষ্ঠদের নিয়ে পার্টি করবেন বলে নিজের জন্য একটি ইয়ট কিনেছেন অভিনেতা। ২০১৬ সালে তিন কোটি টাকা মূল্য দিয়ে ইয়টটি কেনেন সলমন। সম্প্রতি এই ইয়টটি আবার নতুন করে সাজিয়েছেন তিনি।
সলমনের বাড়ির গ্যারেজে সার দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে নামী ব্র্যান্ডের বহুমূল্য গাড়ি। তাঁর সংগ্রহে রয়েছে ল্যান্ড রোভার রেঞ্জ রোভার ভগ মডেলের গাড়ি। এই গাড়ির মূল্য আনুমানিক সওয়া দু’কোটি টাকা।
একটি টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার মডেলের গাড়িও সংগ্রহে রয়েছে সলমনের। এই গাড়িটির মূল্যও প্রায় দু’কোটি টাকা।
অভিনেতার নামের সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে রয়েছে ‘বিইং হিউম্যান’ সংস্থা। ২০১২ সালে এই সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন তিনি।
এখানে টি-শার্ট, গয়না এবং ঘড়ি পাওয়া যায়। নিম্নবিত্ত পরিবারের বাচ্চাদের পড়াশোনা এবং স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নতিতে খরচ করে এই সংস্থা। এই সংস্থার মোট সম্পত্তির পরিমাণ ২৩৫ কোটি টাকা।
এই সংস্থা ছাড়াও ‘সলমন খান ফিল্মস’ নামে নিজের প্রযোজনা সংস্থাও রয়েছে তাঁর। ‘রেস থ্রি’, ‘দবাং ৩’, ‘ভারত’, ‘রাধে’, ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ ছবির প্রযোজনা এই সংস্থার তরফেই করা হয়েছে। প্রযোজনা সংস্থা থেকে প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করেন ‘ভাইজান’।