বলিপাড়ার ‘ভাইজান’। সলমন খানের কেরিয়ারে সফল ছবির সংখ্যা কম নয়। তবুও ঝুলিতে একটি এমন ছবি রয়েছে, যে ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন আট জন বলি অভিনেতা। শেষ পর্যন্ত সলমন অভিনয় করেন ছবিটিতে। কিন্তু বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে সেই ছবি।
২০০৮ সালে সুভাষ ঘাইয়ের পরিচালনায় মুক্তি পায় ‘যুবরাজ’। রোম্যান্টিক ঘরানার এই ছবিতে সলমনের পাশাপাশি অভিনয় করতে দেখা যায় ক্যাটরিনা কইফ, অনিল কপূর, জ়ায়েদ খান এবং বোমান ইরানির মতো তারকারা। কিন্তু ছবিনির্মাতাদের প্রথম পছন্দ ছিলেন না এঁদের অনেকেই।
‘যুবরাজ’ ছবিতে যুবরাজের চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায় সলমনকে। কিন্তু যুবরাজের জন্য অন্য বলি অভিনেতাকে প্রথমে পছন্দ করেছিলেন সুভাষ।
বলিপাড়া সূত্রে খবর, যুবরাজ চরিত্রের জন্য আমির খানকে পছন্দ করেছিলেন পরিচালক। কিন্তু সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন আমির।
‘যুবরাজ’ ছবিতে জ্ঞানেশকুমারের চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে অনিলকে। বলিপাড়ায় জনশ্রুতি, এই চরিত্রে অভিনয়ের জন্য শাহরুখ খানকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন সুভাষ। শাহরুখ সেই চরিত্রে অভিনয় করতে রাজি হননি। তার পর অনিলকে এই চরিত্রের জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়।
‘যুবরাজ’ ছবিতে ড্যানির চরিত্রে অভিনয় করেন জ়ায়েদ। বলিপাড়ার অধিকাংশের দাবি, এই চরিত্রের জন্য সলমনকে পছন্দ করেছিলেন সুভাষ। সলমন রাজিও হয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু অন্য চরিত্রে কে অভিনয় করবেন তা স্থির হচ্ছিল না বলে শুটিংয়ের কাজও পিছিয়ে পড়ছিল।
কানাঘুষো শোনা যায়, ‘যুবরাজ’ ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব দিতে অভিষেক বচ্চনের সঙ্গেও কথা বলেছিলেন সুভাষ। কিন্তু সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন ‘জুনিয়র বচ্চন’।
পছন্দের তালিকায় বলিউডের ‘খিলাড়ি’ অক্ষয় কুমারকেও রেখেছিলেন পরিচালক। বলিপাড়া সূত্রে খবর, ‘যুবরাজ’ ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব দিলে তা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন অক্ষয়।
‘যুবরাজ’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য ধর্মেন্দ্রের পুত্র সানি দেওলকেও প্রস্তাব দিয়েছিলেন সুভাষ বলে বলিপাড়ায় গুঞ্জন। সানিও পরিচালকের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।
বলিপাড়ার অন্য এক খান তথা পটৌডি রাজপরিবারের নবাব সইফ আলি খানকেও ‘যুবরাজ’ ছবিতে অভিনয় করার জন্য প্রস্তাব দিয়েছিলেন সুভাষ। জানা যায়, পরিচালকের প্রস্তাবে রাজি হননি সইফও।
‘যুবরাজ’ ছবির জন্য পরিচালকের পছন্দের তালিকায় ছিলেন সঞ্জয় দত্ত এবং অজয় দেবগনও। কানাঘুষো শোনা যায়, দুই অভিনেতাকেই প্রস্তাব দিয়েছিলেন সুভাষ। কিন্তু দু’জনেই পরিচালকের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।
শেষ পর্যন্ত ‘যুবরাজ’ ছবিতে মুখ্যচরিত্রে অভিনয়ের জন্য সলমনকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন সুভাষ। সেই প্রস্তাবে রাজিও হয়েছিলেন অভিনেতা।
‘যুবরাজ’ ছবিতে সলমনের ছেড়ে দেওয়া চরিত্রে অভিনয় করতে রাজি হন জ়ায়েদ। ছবির শুটিংও পুরোদমে শুরু হয়।
বলিপাড়া সূত্রে খবর, ‘যুবরাজ’ ছবির শুটিং করতে মোট খরচ হয়েছিল ৪৮ কোটি টাকা। কিন্তু ছবিমুক্তির পর বক্স অফিসে লক্ষ্মীলাভ করেনি।
বলিপাড়া সূত্রে জানা যায়, ‘যুবরাজ’ ছবিটি বক্স অফিসে ১৭ কোটি টাকার লোকসান করে। মাত্র ৩১ কোটি টাকা উপার্জন করেছিল ছবিটি। শুধু তাই নয়, সলমনের কেরিয়ারের অন্যতম ব্যর্থ ছবি হিসাবে দাগিয়ে দেওয়া হয় ‘যুবরাজ’কে।