শাহি পনির খেতে চান। কিন্তু মেনু কার্ডে দাম দেখে আর সে সব ভাবেন না! কিন্তু যদি আট টাকায় শাহি পনির পেয়ে যান? অস্বাভাবিক মনে হচ্ছে? নাহ্। একেবারেই সত্যি। তবে কিনা এটা ১৯৮৫ সালের দাম।
ডাল মাখনির দাম ১০ টাকারও কম! ১০০ বছর আগের কথা নয়। বিশ্বাস করা কঠিন হলেও ১৯৮৫ সালে এমনই ছিল দাম।
সম্প্রতি একটি রেস্তরাঁর ৩৭ বছরের পুরনো একটি বিলের ছবি ভাইরাল হয়েছে। হরিয়ানার লাজিজ রেস্তরাঁর ১৯৮৫ সালের সেই বিল দেখে লোকজন হতবাক।
বিলে দেখা যাচ্ছে, নৈশভোজের খরচ পড়েছে ২৬ টাকা। এখন সেই টাকায় কোনও রেস্তরাঁ তো দূর, রাস্তার ধারের হোটেলেও কোনও একটি পদ মিলবে না। এমনকি কোনও রেস্তরাঁয় এক বোতল বিশুদ্ধ জলের দামও তার থেকে বেশি।
১৯৮৫ সালের ওই বিলে দেখা গিয়েছে, এক প্লেট শাহি পনিরের দাম আট টাকা। এক প্লেট ডাল মাখনির দাম পাঁচ টাকা। এক বাটি রায়তার দাম পাঁচ টাকা।
২৬ টাকায় রেস্তরাঁয় নৈশভোজ শেষ। এখন বহু ক্যাফেতে এক কাপ কফিরই দাম ২০০ টাকা। এক প্লেট স্যান্ডউইচ খেতে গেলেও গুনতে হয় শ’দুয়েক টাকা।
এক প্লেট শাহি পনিরের দাম আট টাকা ছিল সে সময়। আর এখন ওই টাকায় মেলে দু’গ্রাম পনির।
১৯৮৫ সাল কিন্তু সুদূর অতীত নয়। অথচ হিসাব করে দেখা গিয়েছে, সেই সময় থেকে এখন পর্যন্ত খাবারের দাম বেড়েছে প্রায় ৪৯ গুণ।
২০২২ সালে হরিয়ানার ওই রেস্তরাঁর মতোই কোনও এক রেস্তরাঁয় এখন এক প্লেট শাহি পনিরের দাম ৩২৯ টাকা। তখন যা ছিল আট টাকা।
২০২২ সালে এক প্লেট বোঁদের রায়তার দাম ১৩৯ টাকা। একটি মাখন মাখানো রুটির দাম ২৪ টাকা। এক প্লেট তন্দুরি ডাল মাখনির দাম ৩৯৯ টাকা।
১৯৮৫ সালের তালিকা মেনে ওই খাবারগুলিই এখনকার দিনে অর্ডার করলে দাম পড়বে প্রায় ১১০০ টাকা। তার সঙ্গে জুড়বে জিএসটি-সহ নানা কর।
বিলটি দেখার পরেই সমাজমাধ্যমে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন অনেকে। মূল্যবৃদ্ধি দিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলেছেন কেউ। কেউ আবার আঙুল তুলেছেন সরকারের দিকে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, খাবার বা জিনিসের দাম যেমন বেড়েছে, নাগরিকদের আয়ও কি ততটাই বেড়েছে? জবাবে সমাজমাধ্যম ব্যবহারকারীদের একটা বড় অংশ নেতিবাচক উত্তর দিয়েছেন।