২০২২ সালের অগস্ট মাসে আট জন নৌসেনা আধিকারিককে আটক করেছিল কাতারের গোয়েন্দা সংস্থা। তাঁরা কাতারের বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত ছিলেন। তাঁদের বিরুদ্ধে ইজ়রায়েলে চরবৃত্তির অভিযোগ উঠেছিল।
মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল কাতারের আদালত। এর পরেই আসরে নামেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভারতের হস্তক্ষেপে কেবল যে তাঁদের সাজাই কমে তা নয় তাঁদের মুক্তিও দেয় কাতার সরকার। তারপরেই কাতার সফরে প্রধানমন্ত্রী।
সংযুক্ত আরব আমিরশাহির পরে গেলেন কাতারে। পশ্চিম এশিয়া সফরে গিয়ে নয়াদিল্লি-দোহা সম্পর্ক নিবিড় করতে সক্রিয় হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
বৃহস্পতিবার কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মহম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল-থানির সঙ্গে বৈঠক করলেন তিনি।
বিদেশ মন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘দুই রাষ্ট্রনেতার বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ, জ্বালানি, অর্থ এবং প্রযুক্তিক্ষেত্রে সহযোগিতা সম্প্রসারণের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’’
ঘটনাচক্রে, মোদীর সফরের আগেই গত সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) কাতারের জেলে বন্দি ভারতীয় নৌসেনার আট জন প্রাক্তন আধিকারিককে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
তাঁদের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল কাতারের আদালত। সেই নির্দেশ নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে টানাপড়েন চলেছে। শেষ পর্যন্ত মোদী সরকারের আবেদন মেনে নিয়েছে কাতার।
ইজ়রায়েলের গুপ্তচর সংস্থা মোসাদের হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে ধৃত এবং মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ওই অবসরপ্রাপ্ত নৌসেনাদের মুক্তি ভারত-কাতার সম্পর্ককে আরও মজবুত করবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার পাশাপাশি মোদী-থানির বৈঠকে পশ্চিম এশিয়ার সাম্প্রতিক পরিস্থিতি এবং আঞ্চলিক উন্নয়ন নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক।
দুই রাষ্ট্রনেতা আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার উপর গুরুত্ব দিয়েছেন। দোহার আমিরি দিওয়ানে মোদীর সম্মানে বিশেষ নৈশভোজেরও আয়োজন করেছিলেন থানি।
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী হিসাবে এটি মোদীর দ্বিতীয় কাতার সফর। এর আগে ২০১৬ সালে কাতারে গিয়ে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক, অর্থনৈতিক এবং প্রযুক্তিগত সহযোগিতা সংক্রান্ত সাতটি চুক্তি করেছিলেন তিনি।