দেশে তৈরি চতুর্থ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান তেজসের দু’আসন বিশিষ্ট নয়া সংস্করণে শনিবার সওয়ার হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ওড়ালেন তেজস।
বেঙ্গালুরুর ‘হিন্দুস্থান অ্যারোনটিকস লিমিটেড’ (হ্যাল)-এর বিমানঘাঁটি থেকে ওড়া তেজস মার্ক-১ ফাইটার জেটে মোদীর সঙ্গী ছিলেন ভারতীয় বায়ুসেনার এক আধিকারিক।
সেই অভিজ্ঞতার কথা এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করেছেন প্রধানমন্ত্রী। সঙ্গে দিয়েছেন ফাইটার পাইলটের পোশাক, ব্যালিস্টিক হেলমেট আর ইউভি গগ্লস পরিহিত নানা ছবিও।
২০১৯ সালে সেপ্টেম্বরে হ্যালের বেঙ্গালুরু এয়ারস্ট্রিপ থেকেই তেজসের দু’আসন বিশিষ্ট প্রশিক্ষণ বিমানের পরীক্ষামূলক উড়ানের সওয়ারি হয়েছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ।
মোদী লিখেছেন, ‘‘তেজসে সফল যাত্রা সম্পন্ন করলাম। এই অভিজ্ঞতা আমাকে দারুণ ভাবে সমৃদ্ধ করেছে। দেশবাসীর ক্ষমতার প্রতি আমার আস্থা বাড়িয়ে দিয়েছে।’’
মোদী প্রতিরক্ষাক্ষেত্রে দেশীয় উৎপাদন বাড়িয়ে আত্মনির্ভরতার যে বার্তা দিয়েছিলেন, তেজস যুদ্ধবিমানের বাণিজ্যিক উৎপাদন সেই পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
২০২১ সালের গোড়ায় দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ৪৮ হাজার কোটি টাকায় ৮৩টি তেজসের কেনার বিষয়ে ছাড়পত্র দিয়েছিল মোদীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটি।
দেশীয় প্রযুক্তির হালকা যুদ্ধবিমানের এক আসন বিশিষ্ট সংস্করণটি যুদ্ধে ব্যবহৃত হবে। দু’ইঞ্জিন বিশিষ্ট ১৮টি সংস্করণ পাইলটদের প্রশিক্ষণে ব্যবহার করা যাবে।
সত্তরের দশকে ভারতীয় বায়ুসেনায় অন্তর্ভুক্ত সাবেক সোভিয়েত জমানার মিগ-২১ যুদ্ধবিমানের পরিবর্ত হিসাবে ব্যবহৃত হবে ‘লাইট কমব্যাট এয়ারক্র্যাফ্ট’ তেজস।
বায়ুসেনার পাশাপাশি ভারতীয় নৌসেনাও তেজস কিনতে চলেছে। বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ আইএনএস বিক্রমাদিত্যে সফল উড়ান এবং অবতরণ পরীক্ষাও হয়েছে তেজসের।