সাবরমতী নদীর উপর ৩০০ মিটারের অত্যাধুনিক সেতু। নদীর পূর্ব এবং পশ্চিম অংশকে জুড়তে যে সেতু তৈরি হয়েছে মূলত পথচারীদের জন্য। সাইকেল আরোহীরাও এই সেতু ব্যবহার করতে পারবেন। শনিবার সেই অটল সেতুর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
দু’দিনের গুজরাত সফরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সফরের প্রথম দিনে ‘অটল সেতু’র উদ্বোধন করেন তিনি। ইতিমধ্যে আলোকসজ্জায় সেজে ওঠা সেতুর ছবি নেটমাধ্যমে ভাগ করে নিয়েছেন উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী। টুইটে তিনি লেখেন, ‘কী দারুণ দেখাচ্ছে না অটল সেতু!’
সাবরমতী নদীর উপর মূলত পথচারীদের জন্য তৈরি এই সেতুর নাম রাখা হয়েছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর নামে। যানজট এড়াতে শুধু পথচারী এবং সাইকেল আরোহীদের জন্য তৈরি হয়েছে অটল সেতু।
নিছক পারাপারের জন্য নয়, সাবরমতীর সৌন্দর্য উপভোগ করার সবরকম ব্যবস্থা রয়েছে এই সেতুতে। লক্ষ্য, পর্যটকদের আকর্ষিত করা। ৩০০ মিটার লম্বা এবং ১৪ মিটার চওড়া এই সেতুর অঙ্গসজ্জায় তাই বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। সাবরমতী পার হতে হতে সৌন্দর্য দেখতে সেতুর মাঝখানে দাঁড়িয়েও থাকা যাবে।
অটল সেতুর চোখধাঁধানো নকশা, এলইডি আলোর ব্যবহার এবং সেতুর পশ্চিম দিকে ফুলের বাগান চোখ টানবেই।
মোট দু’টি সরণি রয়েছে অটল সেতুতে। সেতুটি তৈরি হয়েছে আমদাবাদ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের উদ্যোগে। ২,৬০০ মেট্রিক টনের স্টিলের পাইপ, ছাদ তৈরির বিশেষ ফ্যাব্রিক দিয়ে তৈরি হয়েছে অটল সেতু। আর সেতুর রেলিংয়ে ব্যবহার হয়েছে স্টেনলেস স্টিল এবং কাচ।
অটল সেতুর পূর্ব দিকে রয়েছে শিল্প ও সংস্কৃতি কেন্দ্র। পশ্চিম দিকে ফুলের বড় বাগান।
শনি এবং রবিবার নিজের রাজ্য গুজরাতেই থাকবেন প্রধানমন্ত্রী। শনিবার অটল সেতুর উদ্বোধন করবেন। এ ছাড়া, খাদি উৎসবে যোগ দেবেন মোদী।
খাদি উৎসবে যোগ দেবেন প্রায় সাত হাজার শিল্পী। প্রধানমন্ত্রী ওই উৎসবের সূচনা করবেন। এ ছাড়াও শনিবার রয়েছে আরও কয়েকটি কর্মসূচি।
রবিবার ভূজে যাওয়ার কর্মসূচি রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। ২০০১ সালে ভয়ঙ্কর ভূমিকম্প হয় গুজরাতে। তাঁদের স্মৃতিতে ভূজে তৈরি স্মৃতিসৌধ উদ্বোধন করবেন মোদী।