এক বার নয় তিন-তিন বার! সিনেমার মতো শোনালেও আসলেই চিনের সেনার আগ্রাসনকে ঘোল খাইয়ে ছেড়েছিল ভারতীয় সেনা। ২০২০ সালের ঘটনাটি কারও অজানা নয়, কোভিড আতঙ্কের মধ্যেই পূর্ব লাদাখের গলওয়ান উপত্যকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর চিনের আচমকা হামলাকে পরাস্ত করেছিল ভারতীয় ফৌজ।
তবে শুধু সেই এক বারই নয়। জনগণের অজান্তেই লালফৌজকে আরও দুই বার শায়েস্তা করেছিল ভারতীয় সেনা। ২০২০ সালের পরের এই দুই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
এ কথাও অজানাই থাকত যদি না সেনার অনুষ্ঠানে বীরত্বের জন্য পুরস্কৃতদের প্রশস্তিপত্রে লেখা ওই লাইনগুলি প্রকাশ্যে পড়া হত।
গত সপ্তাহে সেনার পশ্চিম কমান্ডের অলঙ্করণ সমাবেশে বীরত্বের জন্য সেনাকর্মী এবং আধিকারিকদের পুরস্কৃত করা হচ্ছিল। সেই পুরস্কারের প্রশস্তিপত্রও পাঠ করা হয় সেখানে।
তাতেই উঠে এসেছে ভারতীয় সেনাদের বীরত্বের এই অপ্রকাশিত কাহিনি।
চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)-র আচমকা আগ্রাসনের কী ভাবে মোকাবিলা করেছিল ভারতীয় সেনা এবং তা করতে গিয়ে কোন পথে এল সাফল্য, তা বিস্তারিত ভাবে প্রশস্তিপত্রে বর্ণিত হয়েছে।
প্রশস্তিপত্রে বলা দু’টি ঘটনাই ঘটেছে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২২ নভেম্বরের মধ্যে। যদিও এ নিয়ে সেনার তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া আসেনি।
সেনার পশ্চিম কমান্ডের সদর দফতর চণ্ডীমন্দিরে। গত ১৩ জানুয়ারি সেখানেই বীরত্বের জন্য সেনাকর্মী এবং আধিকারিকদের পুরস্কৃত করার অলঙ্করণ সমারোহের আয়োজন করা হয়েছিল।
সেই অনুষ্ঠানের ভিডিয়ো তাদের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলেও প্রকাশিত হয়েছিল। তা থেকেই সেনার বীরত্বের দুই অভিযানের কথা মানুষ জানতে পারেন।
যদিও সোমবার থেকে সেই ভিডিয়োটিও নামিয়ে নেওয়া হয়েছে।
২০২০ সালের জুনে গলওয়ান উপত্যকায় হাতাহাতির পর ভারতীয় সেনা ৩,৪৮৮ কিলোমিটার দীর্ঘ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর চিনের লালফৌজের মোকাবিলা করতে উচ্চ পর্যায়ের যুদ্ধ প্রস্তুতি শুরু করে দেয়।
এর পরেই সম্প্রতি জানা গেল, পূর্ব লাদাখে গলওয়ানের পরেও একই রকম ভাবে পর পর অন্তত দু’বার চিনের সেনার চূড়ান্ত আগ্রাসী মনোভাবের মোকাবিলা করতে সফল হয়েছে ভারতীয় সেনা।
তবে শুধু পূর্ব লাদাখই নয়, চিনের ফৌজ অরুণাচলের তাওয়াং সেক্টরেও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর একই রকম আগ্রাসনের ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করেছিল।