পোষ্য হিসেবে নিজের খামারবাড়িতে রেখেছিলেন ক্যাঙারুটিকে। সেই পোষ্যই যে তাঁর মৃত্যুর কারণ হবে, ভাবতে পারেননি ৭৭ বছরের প্রৌঢ়।
ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার রেডমন্ডে। ঘাতক ক্যাঙারুটিকে দেখা মাত্র গুলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ৭৭ বছরের ওই প্রৌঢ়ের রেডমন্ডের খামারবাড়িতে একটি বুনো ক্যাঙারু রাখা ছিল। মঙ্গলবার সেই ক্যাঙারুই আচমকা বিগড়ে যায়।
হামলা করে মালিকের উপর। প্রৌঢ়ের উপর পোষ্য ক্যাঙারু হামলা করেছে, এই খবর পেয়ে নিকটবর্তী অ্যাম্বুল্যান্সে পরিষেবায় খবর দেন এক আত্মীয়।
দ্রুত অ্যাম্বুল্যান্স পৌঁছয় ওই খামারে। কিন্তু লোকজন দেখে ক্যাঙারুটি আবারও খেপে ওঠে। হামলা করে অ্যাম্বুল্যান্সের উপরই।
কোনও ক্রমে ক্যাঙারুটিকে সরিয়ে প্রৌঢ়কে উদ্ধার করা হয়। নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। কিন্তু তত ক্ষণে সব শেষ।
পুলিশ জানিয়েছে, ক্যাঙারুটিকে দেখা মাত্র গুলি করে মেরে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ায় ক্যাঙারুর আক্রমণে মানুষের মৃত্যুর খবর অতি বিরল। শেষ এমন খবর পাওয়া গিয়েছিল ৮৬ বছর আগে।
সিডনি মর্নিং হেরাল্ডে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৯৩৬-এ এমনই একটি ক্যাঙারুর হামলায় প্রাণ গিয়েছিল এক ব্যক্তির।
নিজের দু’টি পোষ্য কুকুরকে বাঁচাতে গিয়ে এই ঘটনা ঘটে। ক্যাঙারুটি ওই ব্যক্তির মাথা এবং মুখে আঘাত করেছিল বলে জানা যাচ্ছে।
কিন্তু ক্যাঙারু হঠাৎ খেপে উঠল কেন? প্রশ্ন উঠছে। ঘাতক ক্যাঙারুটি কোন প্রজাতির তা এখনও জানা না গেলেও, পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ায় ‘ওয়েস্টার্ন গ্রে’ প্রজাতির ক্যাঙারু পাওয়া যায়। তাদের গড় উচ্চতা হয় সাত ফুটের বেশি, ওজন ৭০ কেজি।