বিলাসবহুল বিশালাকার ‘ভাসমান হোটেল’। লোকধারণ ক্ষমতা প্রায় পাঁচ হাজার!
সম্প্রতি ‘স্কাই ক্রজ’ নামে এ রকমই একটি বিমানের নকশা দেখা গিয়েছে একটি ভিডিয়োতে।
পারমাণবিক সংযোজন (নিউক্লিয়ার ফিউশন) দ্বারা চালিত দৈত্যাকার বিমানটি এক বার উড়ানের পর বেশ কয়েক মাস ধরে ভেসে থাকতে সক্ষম হবে।
নতুন যাত্রীদের আনা-নেওয়ার জন্য হোটেলটিতে যুদ্ধজাহাজের মতো ডক থাকবে। সেখানে ছোট বিমানও ওঠানামা করতে পারবে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে চলা এই জাহাজটিতে থাকবে পরমাণু শক্তিচালিত ২০টি ইঞ্জিন।
বিমানটি এমন ভাবে নকশা করা হয়েছে যাতে এটি মাসের মাসের পর ভাসমান অবস্থায় থাকতে পারে।
যাত্রী ওঠানামা, বিমানের যান্ত্রিক সমস্যার দেখাশোনা, সবই হবে মাঝ আকাশে।
বিমানটির আসল নক্শা তৈরি করেছিলেন টনি হোমস্টন। সেই নক্শার ওপর ভিত্তি করে হাসেম আলঘাইলি নামে এক ব্যক্তি ভবিষ্যতের বিমানের এই ভিডিয়োটি তৈরি করেছেন।
ইউটিউবে ভিডিয়োটি শেয়ারও করেছেন হাসেম। তাঁর মতে ‘স্কাই ক্রজ’ পরিবহণ ব্যবস্থার ভবিষ্যতের ঝলক।
তাঁর ভিডিয়োটিতে অনেকে প্রশ্ন করেছিলেন যে, বিমানটি চালাবে কে?
উত্তরে হাসেম বলেন, ‘এই উচ্চ প্রযুক্তিসম্পন্ন বিমানে চালকের দরকার কী? এটি হবে স্বতন্ত্র।’
কিন্তু এই বিশালাকার বিমানটির অন্যান্য কাজের জন্য দরকার প্রচুর সংখ্যক কর্মী।
ভিডিয়োটিতে দেখা গিয়েছে, বিমানটিতে থাকবে রেস্তরাঁ, জিম, শপিং মল, সিনেমা হল, এমনকি সুইমিং পুলও।
নকশাটিতে বিমানের কিছু বিলাসবহুল কক্ষের নমুনা দেখানো হয়েছে যা বিয়ে বা অন্য কোনও অনুষ্ঠানে ব্যবহার করা যেতে পারে।
যদিও নকশাটির সঙ্গে সহমত নন অনেকে। অনেকে মন্তব্য করেছেন, বিমানটির নকশা বিজ্ঞানের অনেক সাধারণ বিষয়কেই এড়িয়ে গিয়েছে।
অনেকে বলেছেন, যদি এক বার পরমাণু চুল্লিতে কোনও যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা দেয়, তবে বিমানটি দুর্ঘটনায় পড়বে যা সহজেই কোনও শহরকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে সক্ষম হবে।
বিমানটির বিশাল আয়তন এবং বিলাসবহুল ব্যবস্থাপনা দেখে অনেকে লিখেছেন, ‘ক্ষমতা অনুযায়ী সবচেয়ে নীচের ডেকের টিকিট কেটে দেখা গেল সেখানে পা রাখার পর্যন্ত জায়গা নেই।’
এই হোটেল তৈরির খরচ, পরমাণু শক্তিচালিত ইঞ্জিন ইত্যাদি নজরে রেখে বলাই যায় যে, বেশ দামি হতে পারে স্কাই ক্রজের টিকিট।
বর্তমান প্রযুক্তির সাহায্যে এই বিমান তৈরি করা গেলেও এই হোটেলের যা ভাড়া হবে তা উচ্চবিত্তরা ছাড়া কারও নাগালে থাকবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।