‘মোদীজি থালি’। নতুন থালির এমনই নাম দিয়েছেন রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ। কারণ এই থালি তৈরিই করা হয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফরকে উপলক্ষ করে।
আমেরিকার নিউ জার্সি শহরের এই রেস্তোরাঁটির মালিক শেফ শ্রীপদ কুলকার্নি। তিনিই ‘মোদীজি থালি’র উদ্যোক্তা। আমেরিকায় মোদীর জনপ্রিয়তার কথা মাথায় রেখেই এই থালি প্রস্তুত করা হয়েছে।
মোদীর সফরের আগে ‘মোদীজি থালি’র হাত ধরে লাভের আশা রাখছেন রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ। কুলকার্নি জানিয়েছেন, আমেরিকায় প্রবাসী ভারতীয় বা ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের চাহিদা এবং স্বাদের কথা মাথায় রেখে এই থালি সাজানো হয়েছে।
নানা রকম পদ থাকবে ‘মোদীজি থালি’তে। অবশ্যই সে সব ভারতীয় পদ। কাশ্মীর, কলকাতা কিংবা চেন্নাই, ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের খাবারের স্বাদ একটি থালিতে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে।
চলতি মাসেই আমেরিকা যাওয়ার কথা মোদীর। আগামী ২২ জুন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেনের সঙ্গে নৈশভোজে যোগ দেবেন তিনি।
এ পর আমেরিকার কংগ্রেসে একটি যৌথ বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন মোদী। তিনিই হবেন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী যিনি আমেরিকার কংগ্রেসের বৈঠকে দ্বিতীয় বার যোগ দেবেন।
মোদীর নামে নিউ জার্সির রেস্তোরাঁর ওই থালিতে কী কী পদ থাকছে? অনেক ভেবেচিন্তে মেনু ঠিক করেছেন শেফ কুলকার্নি। এক থালিতে এক টুকরো ভারতকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন তিনি।
থালিতে থাকছে খিচুড়ি। বর্ষার দিনে বাঙালির প্রিয় এই খাবারটিকে ‘মোদীজি থালি’ থেকে বাদ দিতে পারেননি কর্তৃপক্ষ। বরং থালির অন্যতম আকর্ষণ চাল, ডালের এই পদ।
এ ছাড়া, ‘মোদীজি থালি’তে থাকবে কাশ্মীরি আলুর দম। ভারতের উত্তর-পশ্চিমের রাজ্যটির সংস্কৃতি এবং খাদ্যাভ্যাসকে এই একটি পদের মাধ্যমে ধরে রাখতে চেয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
উত্তর ভারতের বিখ্যাত ‘সরসোঁ কা সাগ’ থাকছে ‘মোদীজি থালি’তে। এটি মূলত পঞ্জাবি পদ। তবে সারা ভারতেই তা জনপ্রিয়। পালং শাক, সবুজ সরষে শাক, ভুট্টা দিয়ে এই পদটি তৈরি করা হয়।
বিশেষ মেনু থেকে দক্ষিণ ভারতও বাদ যাচ্ছে না। মোদীর নামে তৈরি আমেরিকার রেস্তোরাঁর থালিতে রাখা হয়েছে ইডলি। দক্ষিণ ভারতের জনপ্রিয় এই খাবারটিও পাওয়া যাবে ‘মোদীজি থালি’তে।
মোদীর নিজের রাজ্যকেও বাদ দেননি কুলকার্নি। ‘মোদীজি থালি’তে রাখা হয়েছে গুজরাতের বিশেষ খাবার ‘ধোকলা’। আমেরিকায় প্রবাসী গুজরাতিদের মধ্যে এই পদটি জনপ্রিয়।
দইয়ের ঘোল থাকবে ‘মোদীজি থালি’তে। গরমকালে এই পানীয়ের বিকল্প নেই। ভারতের কোথাও কোথাও একে ‘চাস’ বলা হয়। সারা দেশেই এটি জনপ্রিয়।
শেষ পাতে মিষ্টি এবং পাঁপড় তো থাকছেই। মিষ্টি হিসাবে কুলকার্নি ‘মোদীজি থালি’তে রেখেছেন রসগোল্লা। কলকাতার মিষ্টির স্বাদ আমেরিকায় তুলে ধরতে রসগোল্লার জুড়ি মেলা ভার।
কুলকার্নি জানিয়েছেন, ‘মোদীজি থালি’র জনপ্রিয়তার বিষয়ে তিনি আশাবাদী। এটি লোকে পছন্দ করলে এর পর তিনি ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের নামেও একটি বিশেষ থালি প্রস্তুত করবেন বলে ভেবেছেন।
২০২৩ সালকে রাষ্ট্রপুঞ্জ ‘আন্তর্জাতিক মিলেট বর্ষ’ হিসাবে ঘোষণা করেছে। তাই ‘মোদীজি থালি’তে মিলেট দিয়ে তৈরি একাধিক পদ রেখেছেল কুলকার্নি। এই শস্যটির প্রচারও করা হচ্ছে থালির মাধ্যমে।