বলিউডে তাঁর পরিচয় ‘সিরিয়াল কিসার’ হিসাবে। সোজা কথায় চুম্বনদৃশ্যে অভিনয়ে জড়তাহীন, দক্ষও। তিনি ইমরান হাসমি। সেই ইমরানকেও এক বার চুম্বনের দৃশ্যে লজ্জায় ফেলে দিয়েছিলেন এক নায়িকা ।
ইমরানের আগে বা পরে বলিউডের আর কোনও অভিনেতা ‘সিরিয়াল কিসার’ তকমা পাননি। সে দিক থেকে বিচার করলেও ইমরানের কাছে ঘটনাটি লজ্জার। কারণ এক নায়িকার কাছে তাঁর তকমা খোয়াতে বসেছিলেন ‘চুম্বনে দক্ষ’ অভিনেতা।
নায়িকার নাম নার্গিস ফকরি। ইমরানের সঙ্গে যে ফিল্মের শ্যুটিংয়ে ঘটনাটি ঘটে, সেই ছবির নাম ‘আজহার’।
ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন ক্যাপ্টেনের জীবন নির্ভর ওই ছবিতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন ইমরান। নার্গিসকে দেখা গিয়েছিল তাঁর বান্ধবীর চরিত্রে।
ছবিতে নার্গিস এবং ইমরানের একটি গানের শ্যুটিং হচ্ছিল। গানের নাম ‘বোল দো না জারা’। ওই গানেই নায়ক-নায়িকার চুম্বনের দৃশ্য ছিল।
নার্গিস জানিয়েছেন, গানটির দৃশ্যায়নের সময় ইমরানকে এক বার চুম্বন করার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু শ্যুটিংয়ে তাঁকে এক বার নয়, পাঁচ বার চুম্বন করতে বলা হয় ইমরানকে। সেই চুম্বনের দৃশ্যও পুনর্গৃহীত হতে থাকে।
বিরক্ত হয়ে নার্গিস আপত্তি তোলেন। নায়িকা বলেন, চুক্তিতে এত বার চুম্বনের কথা তাঁকে জানানো হয়নি। অতএব এর জন্য তিনি অতিরিক্ত পারিশ্রমিক চান।
একটি সাক্ষাৎকারে পরে সেই অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়ে নার্গিস মজার ছলে বলেছিলেন, ‘‘গানের নাম ‘বোল দো না জারা’। অর্থাৎ আমি কি বলতে চাই, তা জানতে চাওয়া হচ্ছে। কিন্তু আমার ঠোঁট যদি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ওর ঠোঁটেই আটকে থাকে তা হলে আমি বলব কী করে!’’
এমনকি এ নিয়ে ইমরানকেও দোষারোপ করতে ছাড়েননি নার্গিস। বলেছিলেন, ‘‘ও এমন ভাব করছিল, যেন কিচ্ছু জানে না। যেন ওরও এ ব্যাপারে খুবই লজ্জা এবং অস্বস্তি হচ্ছে। কিন্তু আমি জানি, ও পুরো বিষয়টাই আগে থেকে জানত। আর তখন পরিস্থিতির মজা নিচ্ছিল।’’
চরিত্রের প্রয়োজনে একটি নকল গোঁফ লাগাতে হয়েছিল ইমরানকে। চুম্বন দৃশ্যে সেই গোঁফও নার্গিসের অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ।
তবে এত আপত্তি, অস্বস্তি এবং রাগারাগির শেষ দৃশ্যে নার্গিসের কাণ্ড দেখে চমকে যান পরিচালক।
সেই দৃশ্যেও ইমরানকে চুমু খেতে বলা হয়েছিল অভিনেত্রীকে। তবে এ বার নার্গিসের অভিনয় দেখে অবাক হয়ে যান ইমরানও। দেখা যায় পরিচালক ‘কাট’ বলার পরও ইমরানকে চুম্বন করেই চলেছেন অভিনেত্রী।
এর পর পরিচালক আরও বেশ কয়েক বার ‘কাট’ বলেন। তার পরও সহ অভিনেতাকে ছাড়েননি নায়িকা। বরং আরও বেশি জড়িয়ে ধরে তিনি তাঁর দীর্ঘ চুম্বন জারি রাখেন। লজ্জায় লাল হয়ে উঠতে দেখা যায় ইমরানকে।
শেষে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পরিচালক এবং শ্যুটিংস্থলে উপস্থিত বাকি কলাকুশলীরা হেসে ওঠেন। তার পর থামেন নার্গিস।