নতুন করে চোখ রাঙাতে শুরু করেছে করোনা। আমেরিকা, চিন, সিঙ্গাপুর ঘুরে করোনার নতুন উপরূপ এসে পৌঁছেছে ভারতে। বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যাও।
নতুন উপরূপের নাম জেএন.১। করোনা নিয়ে ইতিমধ্যেই নড়েচড়ে বসেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। বিভিন্ন রাজ্যে কোভিড পরীক্ষা বৃদ্ধির নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
যদিও নতুন উপরূপ খুব ভয়ঙ্কর নয় বলেই জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। মৃত্যুর আশঙ্কাও অনেকটাই কম।
কোভিডের নতুন উপরূপ নিয়ে উদ্বেগের মাঝে একটি প্রশ্ন সকলের মনেই দানা বেঁধেছে। আবার কি তবে টিকা নিতে হবে?
কোভিড টিকা নেওয়ার হুড়োহুড়ি কি আবার শুরু হবে? রবিবার সেই প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দিলেন দেশের কোভিড প্যানেলের প্রধান। ইন্ডিয়া-সারস-সিওভি২ জিনোমিক কনসোর্টিয়ামের প্রধান এনকে অরোরা সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের কাছে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
অরোরা জানান, এই মুহূর্তে কোভিডের নতুন উপরূপ জেএন.১-এর জন্য কোনও আলাদা টিকার প্রয়োজন নেই। তবে সতর্ক থাকতে হবে সকলকে।
তিনি বলেন, ‘‘ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের সতর্ক থাকতে হবে। যাঁদের কোমর্বিডিটি রয়েছে, যাঁদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাসকারী কোনও ওষুধ খেতে হয়, তাঁদেরও বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। তবে এখনই এই নতুন উপরূপের জন্য আলাদা প্রতিষেধকের প্রয়োজন নেই।’’
শুধু জেএন.১ নয়, অরোরা জানিয়েছেন, ওমিক্রনেরও বহু উপরূপের খোঁজ মিলেছে। কিন্তু কোনওটাই সে ভাবে জাঁকিয়ে বসতে পারেনি। জেএন.১-এও তেমন জোরালো সংক্রমণ দেখা যায়নি এখনও পর্যন্ত।
এই উপরূপের প্রভাবে হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছে না। মৃত্যুও হচ্ছে না তেমন। এই উপরূপে আক্রান্ত রোগীরা দুই থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠছেন বলেও জানিয়েছেন অরোরা।
জ্বর, কাশি, সর্দি ছাড়াও ডায়েরিয়া এবং গা-হাত-পা ব্যথার মতো উপসর্গ থাকছে রোগীদের।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩২২ জন। করোনায় মৃত্যু হয়েছে এক জনের।
তিনি কেরলের বাসিন্দা। শনিবারের চেয়ে নতুন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কমেছে রবিবার। শনিবার দেশে মোট আক্রান্ত হয়েছিলেন ৭৫২ জন।