স্বামী পেশায় ক্রিকেটার। কিন্তু তরুণী খেলার জগতের সঙ্গে যুক্ত নন। বরং তাঁর আগ্রহ রয়েছে ফ্যাশনের প্রতি। আয়েশা বাকেরের অনুগামীও রয়েছে প্রচুর।
১৯৯০ সালে কেপটাউনে জন্ম আয়েশার। শৈশব থেকেই ফ্যাশনের প্রতি আগ্রহ ছিল তাঁর।
আয়েশার দিদা পেশায় দর্জি ছিলেন। সেলাইয়ের কাজে পটু ছিলেন তিনি। পোশাকে কী ধরনের নকশা করলে ভাল লাগবে সেই ধারণা ছোট থেকেই আয়েশার মনে বাসা বাঁধে।
কেপটাউন থেকে স্কুল এবং কলেজের পড়াশোনা শেষ করেন আয়েশা। ব্যবস্থাপনা নিয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি।
এর পর লেখালেখির সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েন আয়েশা। নিজের একটি ওয়েবসাইটও খুলে ফেলেন।
খুব কম সময়ের মধ্যে ‘ফ্যাশন ব্লগার’ হিসাবে পরিচিতি পেয়ে যান আয়েশা। নামী পত্রিকায় ফ্যাশন এবং মেকআপ সংক্রান্ত টিপ্স নিয়ে লেখালেখি করে নজর কাড়েন তিনি।
ফ্যাশন ব্লগার হিসাবে জনপ্রিয় হওয়ার কারণে বিভিন্ন জায়গা থেকে পুরস্কারও পান আয়েশা। সফল ফ্যাশন বিশেষজ্ঞ হওয়ার পাশাপাশি তিনি এক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারের স্ত্রীও।
দক্ষিণ আফ্রিকার বাঁহাতি জোরে বোলার ওয়েন পারনেল। ১৯৮৯ সালে জুলাই মাসে জন্ম তাঁর। জন্মসূত্রে খ্রিস্টান হলেও ২০১১ সালে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন তিনি।
ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার পাঁচ বছর পর ২০১৬ সালে আয়েশাকে বিয়ে করেন ওয়েন।
আয়েশার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার কয়েক বছর পর বিয়ে করেন ওয়েন। সঙ্গীর জন্য ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন আয়েশাও।
আইপিএলে রয়্যাস চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (আরসিবি) দলের হয়ে জোরে বোলার হিসাবে খেলেছিলেন ওয়েন।
সমাজমাধ্যমে বেশ সক্রিয় আয়েশা। অধিকাংশ সময় তাকলাগানো পোশাক পরে ছবি এবং ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমের পাতায় পোস্ট করেন তিনি।
সমাজমাধ্যমে আয়েশার অনুগামীর সংখ্যা নজরে পড়ার মতো। ইতিমধ্যেই ইনস্টাগ্রামের পাতায় ক্রিকেটারের স্ত্রীর অনুগামীর সংখ্যা এক লক্ষের গণ্ডি পার করে ফেলেছে।