ব্যবসায়ীরা তাঁর নাম শুনেছেন। ব্যবসায়ী মহলে তাঁকে নিয়ে চর্চাও চলতে থাকে। কিন্তু এ বার সাধারণের কাছে পরিচিত নাম হয়ে উঠলেন অনন্ত ইয়ার্ডি। না চাইতেই পকেট থেকে ৭০ কোটি টাকা দিয়েছেন তিনি!
শিক্ষার উন্নয়ন খাতে এই দান করেছেন তিনি। অনন্ত এই টাকা দান করেছেন আইআইটি দিল্লির স্কুল অব আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স-কে। কেন তিনি হঠাৎ আইআইটি দিল্লিকে এই বড় অঙ্কের টাকা দান করলেন?
তাঁর সঙ্গে আসলে আইআইটি দিল্লির নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। এই কলেজ থেকেই পাশ করেছিলেন তিনি। আইআইটি দিল্লির প্রাক্তনী অনন্ত।
অনন্ত চান এই কলেজের ছাত্রছাত্রীরা কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা, ডেটা সায়েন্স এবং বিভিন্ন যন্ত্রপাতি নিয়ে গবেষণা করে সফল হয়ে উঠুন। অনন্ত নিজেও মেধাবী ছাত্র ছিলেন।
এই কলেজ থেকেই ১৯৬৮ সালে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে স্নাতকের ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন। তিনি স্বর্ণপদকও পেয়েছিলেন।
গত ৪০ বছর ধরে রিয়েল এস্টেট অটোমেশন শিল্পের পরিচিত মুখ তিনি। বিশ্ব জুড়ে রিয়েল এস্টেট সংক্রান্ত বিবিধ সমস্যার সমাধান করার জন্য একটি সফটওয়্যার তৈরি করেন তিনি।
নিজের সংস্থা গড়ে তোলার আগে অবশ্য অন্য একটি সংস্থার অধীনে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার হিসাবে কাজ করেছিলেন দীর্ঘ সময়। ১৯৮২ সালে নিজের সংস্থা গড়ে তোলেন।
উত্তর আমেরিকার সবচেয়ে বড় রিয়েল এস্টেট সফটওয়্যার সংস্থা এটিই। অনন্ত শুধু দিল্লি আইআইটি-কেই প্রথম বার অনুদান দিলেন তা নয়। এর আগেও বিশ্ব জুড়ে এমন বহু শিক্ষাকেন্দ্রে অনুদান পঠিয়েছেন তিনি।
জীবনের একটা দীর্ঘ সময় ক্যালিফোর্নিয়ায় কাটিয়েছেন অনন্ত। তাঁর সংস্থা অন্তত ৮০টি দেশে শাখা-প্রশাখা বিস্তার করেছে। কর্মীর সংখ্যা প্রায় আট হাজার।
পরিবার নিয়ে আলোচনা পছন্দ করেন না একেবারেই। যে কারণে তাঁর ব্যবসা নিয়ে একাধিক শিরোনাম, চর্চা হলেও ব্যক্তিগত জীবন অধরাই রয়ে গিয়েছে।
তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ কত? একটি সংবাদমাধ্যম থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, পাঁচ কোটি ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৩৭২ কোটি টাকা।