জুন মাসে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়ার পর প্রায় তিন মাসের বিরতি। ওটিটির পর্দায় মুক্তির পাশাপাশি টেলিভিশনের পর্দায়ও সম্প্রচারিত হল বহুল প্রশংসিত হরর কমেডি ঘরানার ছবি ‘মুঞ্জ্যা’। এই ছবিতে রুক্কুর চরিত্রে অভিনয় করে নজর কেড়েছেন ভাগ্যশ্রী লিমায়ে। বড় পর্দায় এই নতুন মুখকে ঘিরে তৈরি হয়েছে দর্শকের কৌতূহল।
‘মুঞ্জ্যা’ ছবিতে মুখ্যচরিত্রে অভিনয় না করলেও পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করে দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছেন ভাগ্যশ্রী। বড় পর্দায় নিজেকে ফুটিয়ে তোলার জন্য যথেষ্ট সময়ও পেয়েছিলেন তিনি। তবে বড় পর্দায় এই প্রথম অভিনয় নয় তাঁর।
১৯৯৩ সালের ৭ নভেম্বর মহারাষ্ট্রে জন্ম ভাগ্যশ্রীর। সেখান থেকেই স্কুল এবং কলেজের পড়াশোনা শেষ করেন তিনি। কলেজের গণ্ডি পার করার পর চাকরির সন্ধান করছিলেন ভাগ্যশ্রী।
কেরিয়ারের শুরুতে বাঁধাধরা কোনও চাকরি না করলেও সংবাদমাধ্যমের একটি চ্যানেলে সঞ্চালিকা হিসাবে কাজ শুরু করেছিলেন ভাগ্যশ্রী। পুরনো এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, প্রথম বেতন হিসাবে ১৫০০ টাকা পেয়েছিলেন অভিনেত্রী।
ভাগ্যশ্রী বলেছিলেন, ‘‘আমার জীবনের প্রথম উপার্জন। কী ভাবে খরচ করব তা বুঝে উঠতে পারছিলাম না। আমি, বাবা-মাকে নিয়ে আমাদের প্রিয় এক রেস্তরাঁয় খেতে গিয়েছিলাম। খুব আনন্দ পেয়েছিলাম আমি।’’
অভিনয়ের প্রতি ভাগ্যশ্রীর আগ্রহ ছিল শৈশব থেকেই। অডিশন দেওয়ার পর ছোট পর্দায় অভিনয়ের সুযোগ পান তিনি। পাশাপাশি বিজ্ঞাপনের মুখ হিসাবেও দেখা যায় তাঁকে।
‘ঘাগড়ে অ্যান্ড সুন’, ‘বস মাঝি লড়াচি’, ‘কান্দে পোহে’ নামের একাধিক মরাঠি ধারাবাহিকে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে ভাগ্যশ্রীকে।
২০২১ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘সত্যমেব জয়তে ২’। জন আব্রাহম অভিনীত এই ছবির মাধ্যমে বলিপাড়ায় পা রাখেন ভাগ্যশ্রী।
‘সিস্টারহুড’ নামে একটি ওয়েব সিরিজ়ে অভিনয় করতে দেখা যায় ভাগ্যশ্রীকে। ইউটিউবের নামকরা চ্যানেলে স্বল্পদৈর্ঘ্যের ভিডিয়োয় অভিনয়ের সুযোগও পান তিনি।
কানাঘুষো শোনা যায়, খ্যাতনামী মরাঠি অভিনেতা ভূষণ প্রধানের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন ভাগ্যশ্রী। দুই তারকাকে একসঙ্গে বহু জায়গায় দেখা যেতে থাকে।
ভূষণের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ভাগ্যশ্রীকে এক পুরনো সাক্ষাৎকারে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানিয়েছিলেন, ভূষণের সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই। বরং অভিনেতা তাঁর খুব কাছের বন্ধু।
ভাগ্যশ্রীর কথায়, ‘‘মরাঠা ইন্ডাস্ট্রির গুটি কয়েক অভিনেতার সঙ্গে আমার খুবই ভাল বন্ধুত্ব রয়েছে। তাঁদের মধ্যে ভূষণ অন্যতম। আমরা একসঙ্গে অনেক সময় কাটিয়েছি। আমাদের বেশির ভাগ সময় একসঙ্গে দেখা যায় বলেই হয়তো রটনা শুরু হয়েছে।’’
সাক্ষাৎকারে ভাগ্যশ্রী বলেছিলেন, ‘‘তবে ভূষণ আর আমি সব সময় মজা করি। আমাদের নিয়ে কী খবর হচ্ছে তা একে অপরকে জানাই। কার পাঠানো খবরের শিরোনাম কত বেশি রসালো তা নিয়ে ঠাট্টা করি আমরা।’’
‘মুঞ্জ্যা’ ছবিতে অভিনয়ের পর রাতারাতি জনপ্রিয়তা পেয়েছেন ভাগ্যশ্রী। ইতিমধ্যেই ইনস্টাগ্রামের পাতায় অভিনেত্রীর অনুগামীর সংখ্যা পাঁচ লক্ষের গণ্ডি পার করে ফেলেছে।