Iran-Israel Conflict

ইজ়রায়েলের যুদ্ধবিমান বেশি তো ইরানের যুদ্ধজাহাজ! সামরিক শক্তিতে ‘এ বলে আমায় দেখো, ও বলে আমায়’

দু’দেশের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হলে কোন দেশ সামরিক শক্তিতে এগিয়ে থাকবে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। ইজ়রায়েল এবং ইরান— দুই দেশই সামরিক শক্তিতে একে অপরকে টেক্কা দিচ্ছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ১৬:৩২
Share:
০১ ১৪
Iran vs Israel: Which country has the better, bigger military

ইজ়রায়েলের ভূখণ্ডে ইরানের আচমকা হামলার ঘটনায় গোটা বিশ্ব আলোড়িত। ইরানের ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্রগুলি গুলি করে নামায় ইজ়রায়েল সেনাবাহিনী। পর পর প্রায় সাড়ে ৩০০ ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্রকে ধ্বংস করেছে ইজ়রায়েল। যার পর থেকেই আলোচনায় উঠে এসেছে ইজ়রায়েলের সামরিক শক্তি। শুধু ইজ়রায়েল নয়, ইরানের সামরিক শক্তিও ততটাই গুরুত্ব পাচ্ছে বিশ্বের অন্য দেশগুলির কাছে।

০২ ১৪
Iran vs Israel: Which country has the better, bigger military

ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ ছাড়া ইরান এখনও পর্যন্ত ইজ়রায়েলে আর কোনও হামলা চালায়নি। শনিবার মধ্যরাতে কয়েক ঘণ্টার যুদ্ধের পরেই ইজ়রায়েলের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে ইতি টেনেছে তেহরান। তবে ভবিষ্যতে ইরান যে চুপচাপ বসে থাকবেই, তা জোর দিয়ে বলা চলে না।

Advertisement
০৩ ১৪
Iran vs Israel: Which country has the better, bigger military

অন্য দিকে, ইজ়রায়েলও পাল্টা হামলার পথে যায়নি। তবে ইরানকে পাল্টা জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে তারা। ইজ়রায়েলি সেনাপ্রধান হারজ়ি হালেভি বলেই দিয়েছেন, “আমরা জবাব দেব।” পরে সেনাপ্রধানের এই হুঁশিয়ারির সঙ্গে আরও একটু সংযোজন করে ইজ়রায়েল ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ)-এর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি জানান, কোন সময়ে হামলা হবে, সেটা তাঁরাই ঠিক করবেন। ইরানও পাল্টা জানিয়ে দিয়েছে, তাদের উপরে হামলা হলে ‘কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে’ তারা জবাব দেবে।

০৪ ১৪

এই আবহে দু’দেশের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হলে কোন দেশ সামরিক শক্তিতে এগিয়ে থাকবে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। ইজ়রায়েল এবং ইরান— দুই দেশই সামরিক শক্তিতে একে অপরকে টেক্কা দিচ্ছে।

০৫ ১৪

মধ্যপ্রাচ্যে সবচেয়ে বড় সামরিক বাহিনী রয়েছে ইরানের কাছেই। তবে খুব একটা পিছিয়ে নেই ইজ়রায়েলও। ‘গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার’ ওয়েবসাইট সম্প্রতি একটি পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। সেই পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১৪৫টি দেশের মধ্যে সামরিক শক্তির বিচারে ইরানের স্থান ১৪তম। তার ঠিক তিন ধাপ পিছনে রয়েছে ইজ়রায়েল।

০৬ ১৪

ইরান এবং ইজ়রায়েলের মধ্যে জনসংখ্যার উল্লেখযোগ্য পার্থক্য রয়েছে। ইজ়রায়েলের জনসংখ্যা যেখানে মাত্র ৯০ লক্ষ, সেখানে ইরানের জনসংখ্যা সাত কোটির বেশি। তাই দু’দেশের সেনাকর্মীর সংখ্যার মধ্যেও তফাত দেখা যায়।

০৭ ১৪

ইরানে সক্রিয় সেনার সংখ্যা ছ’লক্ষ ১০ হাজার। সংরক্ষিত সেনার (রিজ়ার্ভ ফোর্স) সংখ্যা তিন লক্ষ ৫০ হাজার। আর আধা সামরিক বাহিনীতে রয়েছেন দু’লক্ষ ২০ হাজার জন।

০৮ ১৪

ইরানের তুলনায় ইজ়রায়েলের বাহিনীতে সেনার সংখ্যা অনেকটাই কম। বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দেশে সক্রিয় সেনার সংখ্যা মাত্র এক লক্ষ ৭০ হাজার। তবে সংরক্ষিত সেনার (রিজ়ার্ভ ফোর্স) সংখ্যা ইরানের থেকে কিছুটা বেশি। ইজ়রায়েলের সংরক্ষিত সেনার সংখ্যা চার লক্ষ ৬৫ হাজার। অন্য দিকে, আধা সামরিক বাহিনীতে রয়েছেন মাত্র ৩৫ হাজার জন।

০৯ ১৪

সেনাবাহিনীর দিক থেকে ইরান ইজ়রায়েলকে টেক্কা দিলেও সামরিক সরঞ্জাম, অস্ত্র ইত্যাদির দিক থেকে এগিয়ে তারা। ইরানের কাছে মোট সামরিক বিমান রয়েছে ৫৫১টি। ইজ়রায়েলে সামরিক বিমানের সংখ্যা ৬১২।

১০ ১৪

যুদ্ধবিমানের সংখ্যার দিক থেকেও ইজ়রায়েল এগিয়ে ইরানের থেকে। ইজ়রায়েলের কাছে রয়েছে ২৪১টি যুদ্ধবিমান। প্রযুক্তিগত দিক থেকে বিশ্বের উন্নততম যুদ্ধবিমান এফ-৩৫ রয়েছে তাদের কাছে। গত বছরে ৩৬টি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান কিনেছিল নেতানিয়াহু সরকার। আরও ৭৫টি কিনতে চলেছে ইজ়রায়েল। অন্য দিকে, ইরানের কাছে যুদ্ধবিমান রয়েছে ১১৬টি।

১১ ১৪

ইজ়রালের হাতে ১৪৬টি হেলিকপ্টার রয়েছে। তার মধ্যে ষুদ্ধে ব্যবহৃত হয় ৪৮টি। ইরানের কাছে রয়েছে ১২৯টি হেলিকপ্টার। যার মধ্যে মাত্র ১৩টি হামলার কাজে ব্যবহার করে তেহরান।

১২ ১৪

এক হাজার ৯৯৬টি ট্যাঙ্ক আছে ইরানের কাছে। ইজ়রায়েলের ক্ষেত্রে সেই সংখ্যাটি এক হাজার ৩৭০। ইজ়রায়েলের থেকে সামরিক গাড়িও বেশি রয়েছে ইরানের কাছে। ৬৫ হাজার ৭৬৫টি সামরিক গাড়ি রয়েছে ইরানের কাছে। ইজ়রায়েলের সামরিক বাহিনীতে রয়েছে ৪৩ হাজার ৪০৩টি গাড়ি।

১৩ ১৪

জলপথেও দু’দেশ তাদের সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করেছে। ছোট-বড় মিলিয়ে শতাধিক যুদ্ধজাহাজ রয়েছে ইরানের নৌবাহিনীর কাছে। ইজ়রায়েলের কাছে সব মিলিয়ে যুদ্ধজাহাজের সংখ্যা ৬৫। ইরানের কাছে ১৯টি ডুবোজাহাজ রয়েছে। ইজ়রায়েলের ভরসা মাত্র ৫টি ডুবোজাহাজ। আকাশপথে ইজ়রায়েলের সামরিক শক্তি বেশি হলেও, জলপথে ইরান বেশি শক্তিশালী।

১৪ ১৪

দু’দেশের সামরিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও খুব শক্তিশালী। সম্প্রতি ইরানের হামলা আটকে দিয়ে নজির গড়েছে ইজ়রায়েল। সে দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা চলছে বিশ্বের বিভিন্ন মহলে। তবে দু’দেশের কাছেই রয়েছে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র রুখে দেওয়ার মতো ক্ষমতাসম্পন্ন বিভিন্ন অস্ত্র।

সব ছবি: সংগৃহীত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement