চলতি বছরের আইপিএলে প্রথম থেকেই হোঁচট খাচ্ছে পঞ্জাব কিংস। চারটি ম্যাচে হেরেছে তারা। গত বৃহস্পতিবার শিখর ধবনের গুজরাত টাইটানসের কাছে হেরেছে। তবে দলের সঙ্গে যুক্ত এক তরুণী কিন্তু প্রথম থেকেই নজর কেড়েছেন। সমাজমাধ্যমে তিনি পরিচিত হয়েছেন ‘রহস্যময়ী’ নামে। কে তিনি?
পঞ্জাব দলের সঙ্গে প্রায়ই দেখা যায় তাঁকে। দলের হয়ে সমাজমাধ্যমে পোস্ট দিতেও দেখা গিয়েছে ‘রহস্যময়ী’-কে। কী তাঁর নাম? জানা গিয়েছে, তরুণীর নাম শশী ধিমান।
পঞ্জাব কিংস যখন খেলতে নামে, মাঠের পাশে উল্লাসে ফেটে পড়েন শশী। দলের সমাজমাধ্যমের পেজে সঞ্চালনা করেন তিনি। ম্যাচের আগে এবং পরে আপডেট দেন। দলের শক্তি কী, দুর্বলতাই বা কী, তা-ও অকপটে জানান শশী।
পঞ্জাব কিংস এবং দলের ক্রিকেটারদের ছোটখাটো মজার ভিডিয়ো, রিল সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেন শশী। খেলার শেষে ক্রিকেটারদের সাক্ষাৎকার নেন তিনি। সেই ভিডিয়ো পোস্ট করেন সমাজমাধ্যমে।
শশীর পরিচয় জানতে বেশ উৎসুক সমাজমাধ্যম ব্যবহারকারীরা। ঝরঝরে পঞ্জাবি বলেন এই তরুণী। সে কারণেও পঞ্জাব কিংস ভক্তদের মধ্যে দারুণ জনপ্রিয় শশী।
শশী আদতে চণ্ডীগড়ের বাসিন্দা। ২০২০ সাল থেকে মুম্বইতে থাকেন তিনি। পেশায় এক জন কৌতুকশিল্পী।
মেডিক্যাল সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করেছেন শশী। ফার্মাসি (ওষুধ প্রস্তুত) নিয়ে গবেষণার কাজে ছিলেন। ফার্মা বিজ্ঞানী তিনি।
যদিও সেই কাজ শশীর খুব একটা পছন্দ ছিল না। মানুষজনকে হাসাতে পারতেন। মজা করতে পারতেন। এই গুণটাকেই কাজে লাগান শশী। হয়ে যান কৌতুকশিল্পী। চার বছর আগে কৌতুকশিল্পী হিসাবে হাতেখড়ি।
সমাজমাধ্যমে কৌতুকের ভিডিয়ো পোস্ট করতেন তিনি। ধীরে ধীরে ভাইরাল হতে থাকে সেই ভিডিয়ো। জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে শশীর। বিভিন্ন শহরে ছুটে গিয়ে অনুষ্ঠান করতেন তিনি। দিল্লি, জয়পুর, গুরুগ্রামে একাধিক অনুষ্ঠান করেছেন।
এই কৌতুকের ভিডিয়োর জন্য বিতর্কেও জড়িয়েছিলেন শশী। সেই ভিডিয়ো ইউটিউবে পোস্ট করেছিলেন তিনি। বিষয় ছিল ‘ডেটিং এবং ভারতীয় অভিভাবক’।
কী বলেছিলেন সেই ভিডিয়োতে? শশী বলেছিলেন, ‘‘আমি কখনওই মায়ের পছন্দের ব্যক্তিকে বিয়ে করব না। কারণ রোজ নিজের বাবাকে দেখছি। মায়ের যে কত বাজে পছন্দ, দেখলেই বোঝা যায়।’’
গত বছর শশীর এই মন্তব্য নিয়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। এক সমাজমাধ্যম ব্যবহারকারী লিখেছিলেন, ‘‘কৌতুকের নামে যা তা চলছে।’’ অন্য এক জন লিখেছিলেন, ‘‘এ সব বেয়াদবি।’’ এক জন আবার লিখেছিলেন, ‘‘কেউ এই ভিডিয়োটা ওঁর বাবাকে দেখান।’’
যদিও সেই ভিডিয়োর কারণেই পরিচিত হয়েছিলেন শশী। ২০২২ সালেই পঞ্জাব কিংসের সঙ্গে যুক্ত হন তিনি। সেই থেকে দলের প্রচারের কাজে রয়েছেন তিনি।
প্রতি বছরই আইপিএলে নজর কাড়েন কোনও না কোনও মহিলা। সেই মন্দিরা বেদীর থেকে শুরু হয়েছিস ‘ট্রেন্ড’। কেউ আবার ‘রহস্যময়ী’র তকমা পান। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাব্য মারান ‘জাতীয় ক্রাশ’-এর তকমা পেয়েছিলেন।
২০২১ সালের আইপিএলে শিরোনামে এসেছিলেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ম্যাসাজ থেরাপিস্ট নবনীতা গৌতম। আইপিএলের ম্যাচ চলাকালীন দলের পেসার কাইল জেমিসন খুনসুঁটি করছিলেন তাঁর সঙ্গে। ক্যামেরায় ধরা পড়েছিল সেই ছবি।
গত বছর থেকে শিরোনামে পঞ্জাব কিংসের শশী। এ বার তাঁর জনপ্রিয়তা আরও কিছুটা বেড়েছে, সে কথা মেনে নিয়েছেন পঞ্জাব কিংস ইলেভেনের ভক্তরাও।