বিজয় মাল্য, মেহুল চোক্সী, নীরব মোদী— তালিকা ক্রমেই দীর্ঘতর হয়ে চলেছে। এই তালিকায় সম্প্রতি জুড়েছে আরও এক ঋণখেলাপির নাম। কোটি কোটি টাকা ধার নিয়েছিলেন। শোধ না করেই দেশ ছেড়েছেন তিনি।
পরিসংখ্যান বলছে ২০১৫ সাল থেকে ৭২ জন ঋণখেলাপি দেশ ছেড়েছেন। সেই তালিকায় রয়েছেন গুজরাতের নিতিন সন্দেসরা এবং তাঁর ভাই চেতন কুমার। এখন তাঁরা নাইজিরিয়ায়। বিনোদ অদানির বেয়াই যতীন মেহতাও এখন ফেরার।
ফেরারিদের তালিকায় এ বার নাম উঠল রামচন্দ্রন বিশ্বনাথনের। দেবাস মাল্টিমিডিয়ার চিফ একজ়িকিউটিভ অফিসার (সিইও) তিনি।
বিশ্বনাথন আদতে আমেরিকার নাগরিক। ২০০৪ সালে দেবাস মাল্টিমিডিয়া সংস্থা তৈরি করেন।
দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে মাল্টিমিডিয়া পরিষেবা দেওয়ার জন্য ইসরোর দু’টি উপগ্রহ ব্যবহারের কথা ছিল রামচন্দ্রনের। ২০০৫ সালে সেই নিয়ে ইসরোর সঙ্গে চুক্তি হয় তাঁর সংস্থার।
২০১১ সালে সেই চুক্তি বাতিল করে ভারত সরকার। শেষ পর্যন্ত ২০২১ সালে ওই সংস্থাও বন্ধ করে দেয় ন্যাশনাল কোম্পানি ল ট্রাইব্যুনাল।
অভিযোগ, ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র (ইসরো) থেকে ৫৭৯ কোটি টাকা নিয়ে ফেরার রামচন্দ্রন।
ইসরোর বাণিজ্যিক সহায়ক অ্যান্ট্রিক্স কর্পোরেশন থেকে ৫৭৯ কোটি টাকা সরানোর অভিযোগ উঠেছে ন’জনের বিরুদ্ধে। তাঁদের মধ্যে অন্যতম রামচন্দ্রন।
রামচন্দ্রনের বিরুদ্ধে টাকা নয়ছয়ের মামলা করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। বেঙ্গালুরুর বিশেষ আদালত তাঁকে ফেরারি অর্থনৈতিক অপরাধী ঘোষণা করে।
এই ঘটনায় ইডির আগে সিবিআইও মামলা করেছিল রামচন্দ্রন এবং অন্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে।
রামচন্দ্রন এখন আমেরিকায় রয়েছেন। সেখানে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে বিজ্ঞাপন দিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন এবং সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। তাঁর দাবি, রফার জন্য সরকারি কর্মচারীরা প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করেছেন।
বার বার সমন পাঠানোর পরেও আদালতে হাজিরা দেননি। তাই রামচন্দ্রনকে ফেরার ঘোষণা করেছে বেঙ্গালুরুর স্থানীয় আদালত।