স্বাধীনতা দিবসে এ যেন নতুন সূর্যোদয়! একদা মাওবাদীদের দাপটে ত্রস্ত হয়ে থাকত ওই এলাকা। ১৫ অগস্টের দিন উড়ত কালো রঙের পতাকা। সেই পরিস্থিতি বদলাল এ বার।
স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তিতে এই প্রথম ওই বিচ্ছিন্ন এলাকায় (স্থানীয় পরিভাষায় স্বাভিমান অঞ্চল) উড়ল জাতীয় পতাকা। ঘটনাস্থল ওড়িশার মলকানগিরি।
সোমবার ওড়িশার ওই বিচ্ছিন্ন এলাকায় মাওবাদী স্মৃতিসৌধের উপর তিরঙ্গা ওড়ালেন গ্রামবাসীরা।
এক সময় ওই এলাকা ছিল মাওবাদী কার্যকলাপের আঁতুরঘর। একই সঙ্গে ছিল সিপিআই (মাওবাদী)-র অন্ধ্র-ওড়িশা বর্ডার স্পেশাল জোনাল কমিটির সদর দফতর।
অতীতে ওড়িশার ওই এলাকায় স্বাধীনতা দিবসের উদ্যাপনের বিরোধিতা করত ওই নিষিদ্ধ সংগঠন। স্বাধীনতা দিবস ও প্রজাতন্ত্র দিবসে তিরঙ্গার বদলে তারা ওড়াত কালো পতাকা।
কিন্তু রাজ্য সরকার, প্রশাসন ও নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতায় পরিস্থিতি বদলেছে ওই এলাকায়।
এলাকার উন্নয়নের পাশাপাশি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে একাধিক উন্নয়নমূলক কাজ করা হয়েছে। যার মধ্যে স্থানীয় গ্রামবাসীদের স্মার্টফোন বিলি অন্যতম।
বিচ্ছিন্ন এলাকায় বেশ কয়েকটি নিরাপত্তার শিবির তৈরি করা হয়। এর ফলেই ধীরে ধীরে ওই এলাকা থেকে পাততাড়ি গোটান মাওবাদীরা।
সেই সব দিন পেরিয়ে সোমবার অন্য সকল দেশবাসীর মতো ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ পালনে মেতে ওঠেন ওড়িশার ওই বিচ্ছিন্ন এলাকার বাসিন্দারা।
রবিবার দেখা গেল স্থানীয় স্কুল পড়ুয়ারা জাতীয় পতাকা নিয়ে মিছিল করছে।
মাওবাদীদের তৈরি স্মৃতিসৌধে পতাকা হাতে ওই গ্রামের খুদেদের ছবিও প্রকাশ্যে এসেছে।
এখনও এই অঞ্চলে টহল দেয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। তাঁদের সঙ্গেও গ্রামবাসীরা জাতীয় পতাকা নিয়ে ছবি তুলেছেন।
সব মিলিয়ে বলতেই হচ্ছে, গত কয়েক বছরে বেশ খানিকটা বদলে গিয়েছে মলকানগিরি। তারই পরিচয় মিলল ১৫ অগস্ট।