আর পাঁচটা কুকুরছানার মতো নয়, জন্ম থেকেই পিকাসোর চোয়ালটা ছিল বেশ বাঁকা। <br> সামনের একটা দাঁত আবার অনেকটাই বাইরে বেরিয়ে রয়েছে। ভাই পাবলোর সঙ্গে একসঙ্গেই বেড়ে উঠেছে সে।
পথের ধারে এক আস্তাকুঁড়ে ব্রিডিং করিয়ে জন্ম পাবলো-পিকাসোর। <br> জন্মের পরই অন্য কুকুরদের সঙ্গে দু’ভাইকেই আস্তাকুঁড় থেকে তুলে নিয়ে যায় তাদের ব্রিডার। কুকুরের প্রজনন ঘটিয়ে তাদের ভাল দামে বেচা তাঁর পেশা।
পাবলো-পিকাসোর ঠাঁই হয় পশুপাখিদের এক শেল্টারে। <br> তবে পিকাসোর তো মুখে বেশ বিকৃতি রয়েছে তাই সেখানেই ধীরে ধীরে তাকে মেরে ফেলার জন্য রেখে দেওয়া হয়। ভাইয়ের সঙ্গে একই পরিণতি হতে চলেছিল পাবলোরও।
ধীরে ধীরে শেল্টারের সব কুকুর বিক্রি হতে থাকে। শুধু একা পড়ে থাকে পিকাসো। চোয়ালের বিকৃতির জন্য তাকে কেউ দত্তক নিতে রাজি নন।
তবে শেষমেশ পিকাসোর কপালও যেন খুলে যায়। ওরেগনের এক সংস্থা লভেবল ডগ রেসকিউ-এর এগ্জিকিউটিভ ডিরেক্টর লিসেল উইলহার্ডের নজরে পড়ে যায় পিকাসো। আশ্রয়হীন কুকুরদের জন্য কাজ করে ওই সংস্থা।
লিসেল উইলহার্ড শেল্টারে এসে জানতে চেয়েছিলেন, ‘অদ্ভুত’ দেখতে কোনও কুকুর আছে? বা এমন কোনও কুকুর আছে যার বিশেষ সাহায্যের প্রয়োজন। শেল্টার কর্তৃপক্ষ পিকাসোর ছবি তুলে তা পাঠিয়ে দেন লিসেলকে।
ছবি দেখামাত্রই পিকাসোকে মনে ধরে যায় লিসেলের।
লিসেল বলেন, “পিকাসোকে প্রথম দেখেই ভাল লেগে গিয়েছিল। অনেকটা প্রথম দেখাতেই প্রেমের মতো। <br> ছোট্ট বিছানায় গুটিয়ে য়ে রয়েছে সে। চোয়ালটা অনেকটাই বাঁকানো। তবে শান্তশিষ্ট চোখদু’টো দেখে মনে হয় যেন খুব দুখী!”
সংস্থার তরফে ঠিক করা হয়, পাবলোর সঙ্গে পিকাসোকেও দত্তক নেওয়ার জন্য রাখা হবে।
এর পর পিকাসোর মুখের অপারেশন করা হয়। অপারেশনের পর চোয়ালের বাঁকা ভাবটা আর নেই। <br> বের হয়ে আসার দাঁতটাকে ঠেলে মুখের ভিতরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগের মতোই শান্তশিষ্ট রয়েছে সে। তবে এখন বেশ হাসিখুশি পিকাসো।