বিপুল ঐশ্বর্যের মালিক তিনি। দুনিয়ায় প্রথম ২০ জন ধনীর মধ্যে অন্যতম। বার বার শিরোনামে এসেছেন গৌতম আদানি। এ বার তিনি শিরোনামে তাঁর বেতনের জন্য।
আদানি গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে যে বেতন গৌতম পান, তা নাকি বেশ কম। রিলায়্যান্স কর্তা মুকেশ অম্বানীর থেকে নাকি তাঁর বেতন অনেকটাই কম।
ভারতে আদানি দ্বিতীয় ধনী ব্যক্তি। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ৮৫০০ কোটি ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৭ লক্ষ কোটি টাকা।
সারা পৃথিবীতে ধনীদের তালিকায় ১৯ নম্বরে নাম রয়েছে তাঁর। মোট সম্পত্তির নিরিখে ভারতে বেশ কয়েক বার তিনি ছাপিয়ে গিয়েছেন মুকেশকে। তবে তাঁর বেতন কিন্তু অন্য কথা বলে।
২০০৯ সাল থেকে মুকেশ বেতন পান ১৫ কোটি টাকা। প্রতি মাসে ওই বেতন পান রিলায়্যান্স কর্তা।
২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে গৌতম পেয়েছেন ৯.২৬ কোটি টাকা। আদানি এন্টারপ্রাইস লিমিটেড (এইএল) এবং আদানি পোর্টজ় অ্যান্ড এসইজ়েড লিমিটেড (এপিএসইজ়েড) থেকেই মূলত ওই বেতন পান তিনি।
এইএল থেকে গৌতম ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে বেতন পেয়েছেন ২.১৯ কোটি টাকা। ভাতা পেয়েছেন ২৭ লক্ষ টাকা। অর্থাৎ ওই সংস্থা থেকে মোট ২.৪৬ কোটি টাকা পেয়েছেন তিনি। গত বছরের থেকে তিন শতাংশ বেতন বৃদ্ধি পেয়েছে তাঁর।
যদিও ওই একই সংস্থা থেকে গৌতমের পরিবারের সদস্যেরা কিন্তু তাঁর থেকে বেশি বেতন পান। ভাই রাজেশ আদানি, ভাইপো প্রণব আদানির বেতন গৌতমের থেকে বেশি।
রাজেশ এইএল থেকে পান ৮.৩৭ কোটি টাকা বেতন। যার মধ্যে ৪.৭১ কোটি টাকা লাভের কমিশন হিসাবে পান। প্রণব পান ৬.৪৬ কোটি টাকা বেতন। তার মধ্যে ৪.৫ কোটি টাকা কমিশন হিসাবে পান।
এইএলের এগ্জ়কিউটিভ ডিরেক্টর পদে রয়েছেন বিনয় প্রকাশ। তাঁর বেতন বছরে ৮৯.৩৭ কোটি টাকা। সংস্থার চিফ ফিনানশিয়াল অফিসার যুগশিন্দর সিংহের বেতন ৯.৪৫ কোটি টাকা।
এপিএসইজ়েড থেকে ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে গৌতম বেতন পেয়েছেন ১.৮ কোটি টাকা। তার সঙ্গে কমিশন পেয়েছেন ৫ কোটি টাকা।
এপিএসইজ়েড থেকে গৌতমের ছেলে কর্ণ বেতন পেয়েছেন ৩.৯ কোটি টাকা। যদিও তাঁর ছেলে, ভাই এবং ভাইপো একাধিক সংস্থা থেকে বেতন পান না।
এইএল সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, প্রতি বছর তাদের কর্মীদের ১২ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি পায়।
মুকেশ অম্বানী অতিমারির সময় থেকে আর বেতন নেন না। তার আগে ১৫ কোটি টাকা ছিল তাঁর মাসিক বেতন।
টেলিকম সংস্থার কর্তা সুনীল ভারতী মিত্তল ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে বেতন পেয়েছিলেন ১৬.৭ কোটি টাকা। ওই বছর রাজীব বজাজ পেয়েছিলেন ৫৩.৭ কোটি টাকা, পবন মুঞ্জল ৮০ কোটি টাকা।