দুনিয়ার সবচেয়ে দামি বই কোনটি জানেন? তা হল লিওনার্দো দা ভিঞ্চির রচনাসংগ্রহ ‘কোডেক্স লেস্টার’। ১৯৯৪-এ একটি নিলামে বিল গেটস এই বই <br> কিনেছিলেন ২০৯৪.৯৫ মিলিয়ন ডলারে। তবে বইটি কিনে নিজের লাইব্রেরিতেই বাক্সবন্দি করে রাখেননি মাইক্রোসফ্টের সহ-প্রতিষ্ঠাতা।<br> মাঝেমধ্যে তা বিভিন্ন মিউজিয়ামে প্রদর্শনের জন্য ধারও দেন তিনি।
‘লে মিজারেবলস’-এ ভিক্টর হুগো লিখেছিলেন দুনিয়ার দীর্ঘতম বাক্যটি। ৮২৩টি শব্দের ওই বাক্যের রেকর্ড এখনও অটুট।
বাইবেল নিয়ে বহু মানুষেরই উৎসাহের অন্ত নেই। সাহিত্যের ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যাবে, বাইবেল নিয়ে বহু বার বিতর্ক তৈরি হয়েছে।<br> আমেরিকান লাইব্রেরি অ্যাসোসিয়েশনের দাবি, নিষিদ্ধ বইগুলির তালিকায় বাইবেল রয়েছে ছ’নম্বরে। নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছেন বহু লেখকও।<br> আর এই তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন ‘লুকিং ফর আলাস্কা’র লেখক জন গ্রিন।
রোয়াল্ড ডালের লেখা পড়তে ভালবাসেন না এমন পাঠকের দেখা মেলা ভার। ছোটদের জগতে যে মায়াবি জাল বুনেছিলেন তিনি তার টান ছেড়ে বেরতে পারেননি অনেকেই।<br> তবে স্কুলে পড়ার সময় এই লেখকের লেখালেখি করতে বেশ অসুবিধা হত। এ নিয়ে প্রায়শই নালিশ করতেন রোয়াল্ড ডালের শিক্ষকেরা। এক জন শিক্ষক লিখেছিলেন, “আমি এমন কাউকে দেখিনি যে সব সময় এত উল্টোপাল্টা লিখতে পারে। যে শব্দের যা অর্থ রোয়াল্ড সব সময় তার উল্টোটাই লেখে।”
গত বছরের একটি সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, ফিনল্যান্ডে স্বাক্ষরতার হার ১০০ শতাংশ।<br> যদিও তা ঠিক কি না সে নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন অনেকেই।<br> উত্তর কোরিয়ারও দাবি, তাদের দেশে ১০০ শতাংশ মানুষই স্বাক্ষর। তা নিয়েও বেশ বিতর্ক রয়েছে।
বই পড়তে অনেকেই ভালবাসেন। কিন্তু, এ নিয়ে একটি অনন্য রেকর্ড আছে আইসল্যান্ডের।<br> মাথাপিছু হারে বই পড়ার ক্ষেত্রে দুনিয়ার সব দেশের মানুষজনের থেকে এগিয়ে রয়েছে ফিনল্যান্ড।
ভিক্টোরীয় যুগের সাহিত্যিক চালর্স ডিকেন্সের কেন্টের বসতবাড়িতে এমন একটি গোপন দরজা ছিল যা অবিকল আলমারির মতো দেখতে।<br> শুধু তা-ই নয়, তাতে আবার বেশ কয়েকটি নকল বইও ছিল। ন’খণ্ডের একটি বইয়ের নাম ‘দ্য লাইফ অব আ ক্যাট’।<br> অন্য একটি বই আবার ৪৭ খণ্ডের ছিল।
বিখ্যাত পরামর্শদাতা এলি আর জনসনের ১৯৯৫-এর একটি সমীক্ষার রিপোর্টের দাবি, আমেরিকার ৮৫ শতাংশ কিশোর অপরাধীই লেখাপড়া করতে পারে।
‘দা ভিঞ্চি কোড’ বা ‘অ্যাঞ্জেলস অ্যান্ড ডিমনস’-এর জনপ্রিয় বইয়ের লেখক ড্যান ব্রাউন প্রথম জীবনে পপ গায়ক ছিলেন।<br> ১৯৯৪-এ ‘অ্যাঞ্জেলস অ্যান্ড ডিমনস’ নামে তাঁর একটি পপ অ্যালবামও প্রকাশিত হয়। এর বছর ছয়েক পরেই অবশ্য একই নামে বই লেখেন তিনি।
চোখে মোটা কাচের চশমা। সারা ক্ষণই মুখ গুঁজে বইয়ের পাতায়। এমনধারা সাদাসিধে মুখচোরাদের স্কুল-কলেজে ‘নার্ড’ বলে হাসিঠাট্টা করে বহু পড়ুয়াই।<br> এই ‘নার্ড’ শব্দটির উৎপত্তি কোথা থেকে হয়েছে তা নিয়ে বিশেষ কিছু জানা না গেলেও ডা. সুস-এর বইতে প্রথম এই শব্দটির উল্লেখ মেলে। ১৯৫০-এ ‘ইফ আই রান দ্য জু’ বইয়ের একটি চরিত্রের নামই ছিল নার্ড।