টেসলা কর্তা ইলন মাস্কের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে যখন সারা বিশ্ব নানা রকম আলোচনা ও বিতর্কে ব্যস্ত, তখনই আরও এক চমক নিয়ে হাজির হলেন তিনি।
‘গিগাফ্যাক্টরি টেক্সাস’ সংস্থা দ্বারা আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকল অতিথিকে জানালেন, তিনি একটি বিমানবন্দর তৈরি করতে চলেছেন।
কেন তিনি এই সিদ্ধান্ত নিলেন তা জিজ্ঞাসা করা হলে এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, তাঁর দু’টি সংস্থার প্রধান দফতর একই জায়গায়। কিন্তু সেই দফতরগুলির আশপাশে যে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলি রয়েছে, তার দূরত্ব অনেক।
ফলে যাতায়াতে অসুবিধা হয়। তিনি সাধারণত, ‘২০১৫ গাল্ফস্ট্রিম জি৬৫০’-এ যাতায়াত করতেন। নিজের জন্য একটি প্রাইভেট জেটও কিনেছেন যা পরের বছর হাতে পাবেন টেসলার মালিক।
টেসলার গিগা টেক্সাস সহযোগী সংস্থার প্রধান দফতর রয়েছে অস্টিনে। ট্রাভিস কাউন্টির দক্ষিণ-পূর্বে কলোরাডো নদীর কাছে প্রায় ২,৫০০ একর জায়গার উপর এই দফতর তৈরি করেছিলেন ইলন। এই দফতরই বর্তমানে টেসলার প্রধান দফতর।
অস্টিনে বোরিং সংস্থারও প্রধান দফতর রয়েছে। ট্রাভিস কাউন্টির নিকটবর্তী ফ্লুগারভিলে এলাকায় এই দফতর অস্টিন এক্সিকিউটিভ এয়ারপোর্ট থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে।
এই বিমানবন্দরে ৬,০২৫ ফুটের রানওয়ে ছাড়াও ১ লক্ষ ৩০ হাজার বর্গফুট এলাকা জুড়ে বিমান নামানোর জায়গা রয়েছে।
গিগা টেক্সাসের দফতরের নিকটবর্তী বিমানবন্দরটি (অস্টিন বাগস্ট্রম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর) দফতর থেকে আট কিলোমিটার দূরে। দুই দফতর থেকে বিমানবন্দর এত দূরে থাকার কারণে শুধু তাঁর নিজের নয়, বাকিদেরও অসুবিধা হয় বলে ইলনের অভিযোগ।
ইলন আরও জানান, ইলেকট্রিক গাড়ি বানানোর জন্যে যে কাঁচামালের প্রয়োজন হয়, তার দাম বেড়েই চলেছে। এমনকি, ইলেকট্রিক গাড়ির উৎপাদন ও সরবরাহের ক্ষেত্রেও সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
সেই সূত্রে এখন ইলনের প্রধান দফতরে যাতায়াত লেগেই থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তাই শীঘ্রই এই বিমানবন্দরের কাজ শুরু হবে বলেই আভাস দিয়েছেন তিনি।
অস্টিনের পূর্বে বাস্ট্রপের কাছে বিমানবন্দর তৈরি করার চিন্তাভাবনা করলেও এখনও কোনও রকম চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
তবে, ইলন একাই নন, এই বিমানবন্দরের সুবিধা লাভ করতে পারবেন সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মীরাও।
গিগা টেক্সাসে থাকাকালীন এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, এখনও পর্যন্ত সংস্থা তরফে প্রচুর টাকা খরচ করা হয়েছে। তাদের কারখানায় আরও বেশি করে ইলেকট্রিক গাড়ি তৈরি করা উচিত।
যদিও এই প্রসঙ্গে মাস্কের সহকর্মীরা কোনও রকম মন্তব্য করেননি। কত দিনের মধ্যে এই বিমানবন্দর তৈরি হবে তার নির্ধারিত সময় জানানো হয়নি।
তবে, কোনও বিমানবন্দর তৈরি করার আগে ফেডেরাল বিমান চলাচল সংস্থা এবং পরিবেশ সুরক্ষা দফতরের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয়। অনুমতি নেওয়ার পরেই টেক্সাসের বুকে ইলনের ‘প্রাইভেট এয়ারপোর্ট’ তৈরি হবে।