Shakti Kapoor-Mithun Chakraborty

খলনায়ক হয়েও নায়ককে ভয়! মিঠুনকে দেখে কেন থরথর করে কাঁপতেন শক্তি কপূর?

এক পুরনো সাক্ষাৎকারে মিঠুনের সঙ্গে প্রথম আলাপ নিয়ে মুখ খোলেন শক্তি। কলেজে পড়াকালীন যে মিঠুনকে ভয় পেতেন, সে কথাও অকপটে স্বীকার করেন শক্তি।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩ ১৫:৫৩
Share:
০১ ১৫
 Shakti Kapoor was afraid of actor Mithun Chakraborty

মিঠুন চক্রবর্তী বলিপাড়ার একমাত্র বলি অভিনেতা যাঁর সঙ্গে শতাধিক ছবিতে কাজ করেছেন শক্তি কপূর। হিন্দি ফিল্মজগতে আশি থেকে নব্বইয়ের দশকে খলনায়ক হিসাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন শক্তি। পর্দায় দুঃসাহসিকতার পরিচয় দিলেও পর্দার পিছনে মিঠুনকে নাকি প্রচণ্ড ভয় পেতেন শক্তি।

ছবি: সংগৃহীত।

০২ ১৫
 Shakti Kapoor

ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার ছাত্র ছিলেন শক্তি। শক্তির চেয়ে এক বছরের সিনিয়র ছিলেন মিঠুন।

ছবি: সংগৃহীত।

Advertisement
০৩ ১৫
Mithun Chakraborty

১৯৭২-’৭৪ ব্যাচের ছাত্র ছিলেন মিঠুন। স্নাতক স্তরের পড়াশোনা শেষ করে ওই কলেজেই শিক্ষক হিসাবে যুক্ত হয়েছিলেন অভিনেতা।

ছবি: সংগৃহীত।

০৪ ১৫

কলেজে রাকেশ রোশন, বিনোদ খন্নার সঙ্গে বেশির ভাগ সময় কাটাতেন শক্তি। এক পুরনো সাক্ষাৎকারে মিঠুনের সঙ্গে প্রথম আলাপ নিয়ে মুখ খোলেন শক্তি। কলেজে পড়াকালীন যে মিঠুনকে ভয় পেতেন, সে কথাও অকপটে স্বীকার করেন শক্তি।

ছবি: সংগৃহীত।

০৫ ১৫

শক্তি জানান, রাকেশ, বিনোদের সঙ্গে একটি ফোর্ড গাড়িতে চেপে কলেজ যাচ্ছিলেন তিনি। কলেজে পৌঁছনোর পর তিনি দেখতে পান, কলেজের মূল ফটকের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন লম্বা চেহারার এক ব্যক্তি। টানটান চেহারা হলেও সেই ব্যক্তির পরনে ছিল ছেঁড়া লুঙ্গি।

ছবি: সংগৃহীত।

০৬ ১৫

শক্তির হাতে ধরা ছিল বিয়ারের বোতল। কলেজের গেটের সামনে অচেনা ব্যক্তিকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে গাড়ি থেকে নেমে পড়েন শক্তি। ওই ব্যক্তির কাছে গিয়ে সুরাপানের প্রস্তাব দেন তিনি।

ছবি: সংগৃহীত।

০৭ ১৫

প্রস্তাব দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শক্তির চুলের মুঠি ধরে ফেলেন ওই ব্যক্তি। তার পর বলেন, ‘‘আমি তোমার চেয়ে এক বছরের বড়। আমাকে মদ্যপান করতে বলছ কোন সাহসে?’’ তার পরেই শক্তিকে ঘিরে ধরেন তাঁর সিনিয়রেরা।

ছবি: সংগৃহীত।

০৮ ১৫

শক্তির চুলের মুঠি ধরে একটি অন্ধকার ঘরের ভিতর নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। শক্তি সাক্ষাৎকারে জানান, তাঁদের মধ্যে ছিলেন বিজয়েন্দ্র ঘাটগের মতো তারকাও। ঘরের ভিতর নিয়ে গিয়ে শক্তিকে ভয় দেখাতে শুরু করেন তাঁরা।

ছবি: সংগৃহীত।

০৯ ১৫

চোখেমুখে জলের ছিটেও দেওয়া হতে থাকে শক্তিকে। সেই সময় লম্বা চুল ছিল শক্তির। সিনিয়রেরা সকলে মিলে শক্তির চুলের প্রশংসা করেন। কিন্তু তার কিছু ক্ষণ পর অভিনেতার সমস্ত চুল কেটে ফেলেন তাঁরা। এমনটাই দাবি করেন শক্তি।

ছবি: সংগৃহীত।

১০ ১৫

এর পর কলেজের এলাকার আশপাশে যদি সুরাপান করতে দেখা যায়, তবে শক্তির অবস্থা আরও খারাপ হবে বলে ভয়ও দেখান সিনিয়রেরা। এমনকি, কলেজের সিনিয়রের সঙ্গেও যেন ভদ্র ব্যবহার করেন, তা নিয়েও শাসন করা হয় শক্তিকে।

ছবি: সংগৃহীত।

১১ ১৫

শেষ পর্যন্ত মিঠুনের আসল পরিচয় জানতে পারেন শক্তি। কিন্তু তার পরেও রেহাই পাননি তিনি। শক্তি জানান যে, রাতে সুইমিং পুলের ঠান্ডা জলের মধ্যে তাঁকে সাঁতার কাটার নির্দেশ দেন সিনিয়রেরা। পুলে কিছু ক্ষণ সাঁতার কাটার পর কোনও ক্রমে পালিয়ে যান শক্তি।

ছবি: সংগৃহীত।

১২ ১৫

শক্তি জানান যে, কলেজের ছাত্রাবাসের ভিতর পালিয়ে যাওয়ার পর তাঁকে আরও কঠোর শাস্তি দেওয়ার জন্য খুঁজে বেড়াচ্ছিলেন সিনিয়রেরা। সেই সময় শক্তিকে খুঁজে পান মিঠুন। কিন্তু শাস্তি না দিয়ে বরং শক্তিকে ভিতর থেকে ঘরের দরজা আটকে দিতে বলেন মিঠুন।

ছবি: সংগৃহীত।

১৩ ১৫

সিনিয়রদের হাত থেকে শক্তিকে বাঁচিয়েছিলেন মিঠুন। সকালে শান্ত মাথায় শক্তিকে তাঁর ভুলও বুঝিয়ে দিয়েছিলেন মিঠুন। পরে মিঠুনের সঙ্গে ছাত্রাবাসে একই ঘরে থাকতেন শক্তি।

ছবি: সংগৃহীত।

১৪ ১৫

সাক্ষাৎকারে শক্তি বলেছেন যে, মিঠুনকে শুরুর দিকে ভয় পেলেও ধীরে ধীরে সেই ভয় কেটে যায়। তিনি বলেন, ‘‘আমি যখনই মিঠুনের কাছে আরও খাবার চাইতাম, উনি রাগ করতেন না। আগে আমাদের খাওয়ানোর পর তিনি নিজে খেতেন।’’

ছবি: সংগৃহীত।

১৫ ১৫

শক্তির মন্তব্য, পুরো ইন্ডাস্ট্রিতে তিনি মিঠুন ছাড়া আর কারও কথা শোনেন না। শক্তি বলেন, ‘‘মিঠুন যদি আমার গালে চড়ও মারেন, তবুও আমি কিছু মনে করব না। অন্য কারও কথা শুনি না আমি। কিন্তু মিঠুনের কথা একবাক্যে পালন করি।’’

ছবি: সংগৃহীত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement