নভেম্বরে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে সলমন খানের ‘টাইগার ৩’। মুক্তির পর বক্স অফিস থেকে চুটিয়ে ব্যবসা করেছে এই ছবি। কিন্তু ভাইজানের কেরিয়ারের আগের ছবিগুলি পর পর ব্যর্থ হল কেন? নিজের কেরিয়ারের ব্যর্থতা নিয়ে শেষ পর্যন্ত মুখ খুললেন অভিনেতা।
সলমনের ছবির নাকি বক্স অফিসে ব্যবসা করা মূল উদ্দেশ্য ছিল না। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই দাবি করেন অভিনেতা।
২০২১ সালে মুক্তি পেয়েছিল সলমন অভিনীত ‘অন্তিম: দ্য ফাইনাল ট্রুথ’ ছবিটি। মুক্তির পর বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে এই ছবি।
চলতি বছরের এপ্রিল মাসে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল ‘কিসি কা ভাই কিসি কি জান’। সলমন অভিনীত এই ছবিটিও বক্স অফিসে সে অর্থে লক্ষ্মীলাভ করেনি।
সলমনের দাবি, ‘অন্তিম: দ্য ফাইনাল ট্রুথ’ এবং ‘কিসি কা ভাই কিসি কি জান’ ছবি দু’টি ব্যর্থ হওয়ার কারণ সেগুলির টিকিটের মূল্য।
সাক্ষাৎকারে সলমন বলেন, ‘‘দর্শক ‘টাইগার ৩’ দেখতে যাওয়ার সময় প্রেক্ষাগৃহে অনেক টাকা খরচ করেছেন। কেউ ৬০০ টাকা দিয়ে টিকিট কেটেছেন, কেউ আবার ১০০০ টাকা খরচ করতেও দু’বার ভাবেননি।’’
তবে ‘অন্তিম: দ্য ফাইনাল ট্রুথ’ এবং ‘কিসি কা ভাই কিসি কি জান’ ছবি দু’টি মুক্তির সময় টিকিটের দাম নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হয়নি বলেই দাবি করেন সলমন।
সলমন জানান, ‘অন্তিম: দ্য ফাইনাল ট্রুথ’ এবং ‘কিসি কা ভাই কিসি কি জান’ ছবি মুক্তির পর টিকিটের সর্বাধিক মূল্য ছিল ২৫০ টাকা।
বক্স অফিসে ভাল ব্যবসা করার উদ্দেশ্য থাকলে ‘অন্তিম: দ্য ফাইনাল ট্রুথ’ এবং ‘কিসি কা ভাই কিসি কি জান’ ছবি দু’টির টিকিটের দাম বৃদ্ধির চিন্তাভাবনা করতেন ছবিনির্মাতারা। এমনটাই দাবি সলমনের।
সলমনের দাবি, তাঁর ছবিগুলি মুখ থুবড়ে পড়েছে তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু আখেরে তাতে কোনও ক্ষতি হয়নি বলেও জানান অভিনেতা।
সলমন বলেন, ‘‘আমরা হয়তো উপার্জন কম করেছি, কিন্তু টিকিটের দাম কম রাখার কারণে দর্শকের টাকা বাঁচিয়েছি। কিছু তো ভাল কাজ করেছি আমরা।’’
সলমন আরও জানান, যদি ‘কিসি কা ভাই কিসি কি জান’ ছবিটি এপ্রিল মাসে মুক্তি না পেয়ে সাম্প্রতিক কালে মুক্তি পেত, তবে তা আগের চেয়ে বক্স অফিস থেকে অনেক বেশি ব্যবসা করতে পারত।
কেরিয়ারের সাফল্য এবং ব্যর্থতা নিয়েও মন্তব্য করেন সলমন। অভিনেতা জানান সাফল্য পেলেও তার স্বাদ কখনওই উপভোগ করেননি তিনি।
সলমনের দাবি, কেরিয়ার জীবনে বিজয়ী হতে হলে ব্যর্থ হওয়াও প্রয়োজন। ব্যর্থতার যে তিক্ত স্বাদ, তা টের না পেলে আসল জয়ী হওয়া যায় না বলে জানান অভিনেতা।
‘টাইগার ৩’-এর সাফল্য নিয়ে সলমন জানান, দীপাবলি এবং বিশ্বকাপের সময়ে মুক্তি পেয়েছিল ‘টাইগার ৩’। তা সত্ত্বেও সলমন অভিনীত ছবিটি যে এত ভালবাসা পেয়েছে তা দেখে দর্শকের কাছে কৃতজ্ঞ ভাইজান।